১ মার্চ, ২০১২

Nadr ibn Harith: হারিছ ও তার সুন্দরী বাঁদী কাহিনী।


নবী মুহম্মদ (Muhammad) যখন ইসলাম প্রচার শুরু করেন তখন কুরাইশগণ তার বিরোধিতায় নামে। এটা এ কারণে যে, তিনি তাদের এতদিনের ভালবাসার দেবদেবীগণকে অসার ও তুচ্ছ প্রতিপন্ন করছিলেন। তিনি প্রচার করছিলেন- তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওজ্জা এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে?-(৫৩:১৯-২০) এগুলি (অবাস্তব) নামমাত্র, তোমরা ও তোমাদের পূর্ব পুরুষরা ঐগুলিকে গড়ে নিয়েছ, আল্লাহ ওর জন্যে কোন প্রমাণ ও নিদর্শণ প্রদান করেননি।-(৫৩:২৩)

আল লাত (al-Lat) -তায়েফের অধিবাসী সকিফ গোত্রের, আল উজ্জা (al-Uzza)-কুরাইশ গোত্রের এবং আল মানাত (al-Manat) -বনি হেলালের দেবতা ছিল। সুতরাং নবীজী যখন বললেন, -আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের উপাসনা কর, সেগুলি দোযখের ইন্ধন-(২১:৯৮) এতে পৌত্তলিকদের বিতৃষ্ণার অবধি রইল না। তারা বলতে লাগল, ‘এতে আমাদের উপাস্যদের চরম অবমাননা করা হয়েছে।’

ইসলামপূর্ব আরবে অত্যন্ত সম্মানিত দেবী ছিলেন আল-লাত, আল-মানাত ও আল-উজ্জা। যারা ‘আল্লাহর দুহিতা’ (বানাতাল্লাহ) হিসেবেই আরববাসীর কাছে অধিক পরিচিত ছিল। আরবি ভাষাভাষী নাবাতিয়েনরা আল-লাতকে যুদ্ধের দেবী হিসেবে পূজা করত। আল-উজ্জা ছিলেন আরবের প্রেমের দেবী, পশু ও মানুষ বলি দেয়া তার আরাধনার অঙ্গবিশেষ। আর আল-মানাত ছিলেন ভাগ্যের দেবী।

আরবদের কাছে আল-লাত চন্দ্রের, আল-মানাত শুক্র গ্রহের এবং আল-উজ্জা ছিলেন লব্ধক (সাইরিয়াস) নক্ষত্রের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবেও বিবেচিত হত। কা’বাগৃহে তাওয়াফ করতে তাই পৌত্তলিক কুরাইশগণ এইসব দেব-দেবীদের নাম উচ্চারণ করত। মক্কা থেকে চল্লিশ মাইল দূরে দক্ষিণ-পূর্বে তায়েফে আল-লাত দেবীর পূজা হত; মক্কার পূর্বদিকে নাখলাতে আল-উজ্জা দেবীর এবং মক্কার অনতিদূরে মদিনার পথে খুদাইল নামক জায়গায় মানাত দেবীর পূজা হত।

কুরাইশগণ তাদের ধর্ম ও দেবতাদের সান্নিধ্য পরিত্যাগে সম্মত ছিল না। আবার তারা জানত নবীজী সত্যবাদী। তিনি জীবনে একটিও মিথ্যে কথা বলেননি। একারণে তারা তাকে 'আল আমিন' উপাধিতে ভূষিত করেছিল। তাই তারা ইবনে যবআরীর কাছে এই বিষয়ে নালিশ করল। সবশুনে তিনি বললেন, ‘তোমরা তাকে গিয়ে বল- খ্রীষ্টানরা ঈসার, ইহুদিরা ওযাইরের এবাদত করে। তাদের সম্পর্কে হে মুহম্মদ, আপনি কি বলেন? তারাও কি দোযখে যাবেন?’
কুরাইশরা ভীষণ খুশী হল। তারা বলল, ‘বাস্তবিকই তিনি এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না।’

তাদের প্রশ্নের জবাবে এই আয়াত নাযিল হল-যাদের জন্যে প্রথম থেকেই আমার কল্যাণ নির্ধারিত হয়েছে তারা জাহান্নাম থেকে দূরে থাকবে।-(২১:১০১)

এসময় ফরীশীরা যেভাবে ঈসাকে প্রলোভিত করেছিলেন কুরাইশগণও তেমনি নবী মুহম্মদকে পার্থিব সম্মান ও প্রতিপত্তির প্রলোভন দেখিয়ে তার কর্তব্যপথ থেকে বিচ্যুত করতে চেষ্টা করল। নাজার ইবনে আল-হারিছ ও ওকবা ইবনে আবি রাবিয়া, আবু জেহেল সহ কয়েকজন কুরাইশ নেতৃবৃন্দ নবীজীর কাছে এলেন। আর ওকবা ইবনে আবি রাবিয়া (ওয়ালিদের পিতা) এগিয়ে এসে নবীজীকে বললেন, ‘হে ভ্রাতুস্পপুত্র! তুমি তোমার ব্যক্তিগত গুণাবলী ও বংশ গৌরবের অধিকারী। কিন্তু এখন তুমি আমাদের মধ্যে দলাদলি ও বিরোধ বাঁধিয়ে দিয়েছ; তুমি আমদের দেবদেবীকে প্রত্যাখ্যান করেছ; আমাদের পূর্বপুরুষদের বিরুদ্ধে নাস্তিকতা আরোপ করেছ। আমরা তোমাকে একটি প্রস্তাব দিতে চাই; ভালকরে ভেবে দেখ তুমি গ্রহণ করতে পার কি-না।’

নবীজী বললেন, ‘হে ওয়ালিদের পিতা। বলুন আমি শুনছি।’
ওতবা বললেন, ‘হে আমার ভ্রাতুস্পপুত্র! যদি তুমি এই কাজ দিয়ে সম্পদশালী হতে চাও তবে আমরা তোমার জন্যে আমাদের প্রত্যেকের চেয়ে অধিক সম্পদ জোগাড় করে দেব।
--যদি তুমি সুন্দরী স্ত্রী চাও তবে আমরা মক্কার সর্বাপেক্ষা সুন্দরী কন্যার সঙ্গে তোমার বিবাহের ব্যবস্থা করব।
--যদি তুমি সম্মান ও প্রতিপত্তি চাও তবে আমরা তোমাকে আমাদের নেতা বানাব এবং তোমার নির্দেশ ছাড়া কোন কাজ করব না।
--যদি তুমি রাজ্য চাও, তবে তোমাকে আমাদের নৃপতি বানাব, আর
--যদি কেনি দুষ্টাত্মা তোমার উপর ভর করে থাকে, তবে তাকে ছাড়িয়ে ফেলব। যদি সে তোমাকে ছেড়ে যেতে না চায় তবে আমরা বড় বড় চিকিৎসক আনাব এবং যত অর্থ লাগুক তোমাকে সুস্থ্য করে তুলব।’

নবীজী বললেন, ‘হে ওয়ালিদের পিতা! আপনার কি বলা শেষ হয়েছে?’
তিনি বললেন, হ্যাঁ’, তখন নবীজী বললেন, ‘আমি ঐশ্বর্যলাভে ইচ্ছুক নই, প্রতিপত্তি ও রাজ্যলাভেও আমার বিন্দুমাত্র লোভ নেই। আমি আল্লাহ কর্তৃক আপনাদের কাছে সুসংবাদদাতা হিসেবে প্রেরিত হয়েছি। আমি আপনাদেরকে তাঁর বাণী শুনিয়েছি, আপনাদেরকে উপদেশ দিয়েছি। আমি যে বাণী প্রাপ্ত হয়েছি তা যদি আপনারা গ্রহণ করেন তবে তিনি আপনাদের প্রতি ইহজগতে ও পরজগতে খুশী থাকবেন। আর আপনারা যদি আমার উপদেশ প্রত্যাখ্যান করেন তবে আমি ধৈর্য্য ধারণ করব এবং আমার ও আপনাদের বিচারের ভার তাঁর হাতে ন্যস্ত করব।’ অত:পর তিনি পাঠ করলেন-

‘পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। পরম করুণাময় আল্লাহর তরফ থেকেই এ কালাম নাযিল করা হয়েছে; এ এমন কিতাব-যার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে; আরবী ভাষায় কোরআন জ্ঞানীদের জন্যে তো সুসংবাদদাতা, সতর্ককারী। কিন্তু বেশীরভাগ লোকই তা এড়িয়ে যাচ্ছে-যেন তারা শুনতেই পায়নি। তারা বলছে, ‘তুমি আমাদেরকে যেদিকে ডাকছ, তা থেকে আমাদের মন যে পর্দার আড়ালেই রয়েছে। আর আমাদের কানে মোহর করা রয়েছে। আর আমাদের ও তোমার মাঝখানে যেন একটা পর্দা রয়েছে। সুতরাং তুমি তোমার কাজ করতে থাক। আর আমরাও নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকব।’-(৪১:২-৮)

আল্লাহর নির্দেশ তুমি ঘোষণা করে দাও, ‘আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার কাছে এই ওহী এসেছে; তোমাদের মাবুদ মাত্র একজনই। সুতরাং সোজা তাঁর দিকেই নিবিষ্ট হও। আর তোমরা তার কাছে ক্ষমা চাও, আর মুশরিকরা ধ্বংস হোক। যারা যাকাত আদায় করে না, আর আখিরাতকেও যারা অস্বীকার করছে।যারা ঈমান এনেছে আর নেক কাজও করেছে-তাদের জন্যে পারিশ্রমিক রয়েছে-যা মওকুফ করা হবে না। এ কথা সত্য সুনিশ্চিত।’

কোরআনের আয়াতগুলি আবৃত্তি করে নবীজী ওকবার দিকে ফিরে বললেন, ‘আপনি আল্লাহর নির্দেশ শুনলেন, এখন আপনার কাছে যে পন্থা উত্তম মনে হয় সেটাই আপনি গ্রহণ করতে পারেন।’

'Well, Muhammad,' they said, 'if you won't accept any of our propositions, you know that no people are more short of land and water, and live a harder life than we, so ask your Lord, who has sent you, to remove for us these mountains which shut us in, and to straighten out our country for us, and to open up in it rivers like those of Syria and Iraq, and to resurrect for us our forefathers, and let there be among those that are resurrected for us Qusayy b. Kilab, for he was a true shaikh, so that we may ask them whether what you say is true or false. If they say you are speaking the truth, and you do what we have asked you, we will believe in you, and we shall know what your position with God is, and that He has actually sent you as an apostle as you say.'

He replied that he had not been sent to them with such an object. He had conveyed to them God's message, and they could either accept it with advantage, or reject it and await God's judgement.

They said that if he would not do that for them, let him do something for himself. Ask God to send an angel with him to confirm what he said and to contradict them; to make him gardens and castles, and treasures of gold and silver to satisfy his obvious wants. He stood in the streets as they did, and he sought a livelihood as they did. If he could do this, they would recognize his merit and position with God, if he were an apostle as he claimed to be.

He replied that he would not do it, and would not ask for such things, for he was not sent to do so, and he repeated what he had said before.
They said, 'Then let the heavens be dropped on us in pieces, as you assert that your Lord could do if He wished, for we will not believe you unless you do so.'
The apostle replied that this was a matter for God; if He wanted to do it with them, He would do it.
They said, 'Did not your Lord know that we would sit with you, and ask you these questions, so that He might come to you and instruct you how to answer us, and tell you what He was going to do with us, if we did not receive your message? Information has reached us that you are taught by this fellow in al-Yamama, called al-Rahman, and by God we will never believe in the Rahman. Our conscience is clear. By God, we will not leave you and our treatment of you, until either we destroy you or you destroy us.'
Some said, 'We worship the angels, who are the daughters of Allah.' Others said, 'We will not believe in you until you come to us with God and the angels as a surety. [Sirat, p. 134]

নবী মুহম্মদের ব্যক্তি চরিত্রের কারণেই তার উপদেশ সম্বন্ধে মক্কার গৃহে গৃহে নানারূপ আলোচনা ও আন্দোলন আরম্ভ হল। তার ঘোর বিরোধীরা মন্তব্য করল, ‘ঐ কোরআন মিথ্যে বৈ নয়, মুহম্মদই তা উদ্ভাবণ করেছেন এবং অন্য লোকেরা তাকে সাহায্য করেছে।’
অনেকে বলল, ‘এগুলো তো পুরাকালের রূপকথা, যা তিনি লিখে রেখেছেন। এগুলো সকালে সন্ধ্যায় তাকে শেখান হয়।’

কেউ কেউ বলল, ‘এ কেমন রসূল যে, খাদ্য আহার করে এবং হাটে বাজারে চলাফেরা করে? তার কাছে কেন কোন ফেরেস্তা নাযিল করা হল না, যে তার সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকত? অথবা তিনি ধন-ভান্ডার প্রাপ্ত হলেন না কেন, অথবা তার একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে তিনি আহার করতেন?’

অনেকে আবার বলল, ‘আমাদের কাছে ফেরেস্তা অবতীর্ণ করা হল না কেন? অথবা আমরা আমাদের পালনকর্তাকে দেখি না কেন?’
আবার কেউ কেউ বলল, ‘আমাদের জন্যে তাই যথেষ্ট, যার উপর আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে পেয়েছি।’
অতঃপর তারা মুসলমানদেরকে দেখলেই বলতে লাগল, ‘তোমরা তো একজন জাদুগ্রস্থ ব্যক্তিরই অনুসরণ করছ?’

এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াতসমূহ নাযিল হল- অবিশ্বাসীরা বলে, এটা মিথ্যে বৈ নয়, যা তিনি উদ্ভাবণ করেছেন এবং অন্যলোকেরা তাকে সাহায্য করেছে।’ অবশ্যই তারা অবিচার ও মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছে।

তারা বলে, ‘এগুলো তো পুরাকালের রূপকথা, যা তিনি লিখে রেখেছেন। এগুলো সকালে ও সন্ধ্যায় তার কাছে শেখান হয়।’ বল, একে তিনিই অবতীর্ণ করেছেন, যিনি নভঃমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের গোপন রহস্য অবগত আছেন। তিনি ক্ষমাশীল মেহেরবান।

তারা বলে, ‘এ কেমন রসূল যে, খাদ্য আহার করে এবং হাটে বাজারে চলাফেরা করে? তার কাছে কেন কোন ফেরেস্তা নাযিল করা হল না, যে তার সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকত? অথবা তিনি ধন-ভান্ডার প্রাপ্ত হলেন না কেন, অথবা তার একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে তিনি আহার করতেন?’ 

জালেমরা বলে, ‘তোমরা তো একজন জাদুগ্রস্থ ব্যক্তিরই অনুসরণ করছ?’ দেখ, তারা তোমার কেমন দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে। অতএব তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, এখন তারা পথ পেতে পারে না। কল্যাণময় তিনি, যিনি ইচ্ছে করলে তোমাকে তদাপেক্ষা উত্তম বস্তু দিতে পারেন-বাগ-বাগিচা, যার তলদেশে নহর প্রবাহিত হয় এবং দিতে পারেন তোমাকে প্রাসাদসমূহ।(২৫:৪-১০)

তারা আরও বলে যে, তার কাছে কোন ফেরেস্তা কেন প্রেরণ করা হল না? যদি আমি কোন ফেরেস্তা প্রেরণ করতাম, তবে গোটা ব্যাপারটাই শেষ হয়ে যেত। অতঃপর তাদেরকে সামান্য অবকাশ দেয়া হত না। যদি আমি কোন ফেরেস্তাকে রসূল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হত। এতেও ঐ সন্দেহ করত, যা এখন করছে। নিশ্চয়ই তোমার পূর্ববর্তী পয়গম্বরগণের সাথেও উপহাস করা হয়েছে।-(৬:৮-১০)

যখন তাদেরকে বলা হয় যে, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান এবং রসূলের দিকে এস; তখন তারা বলে, আমাদের জন্যে তাই যথেষ্ট, যার উপরে আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে পেয়েছি। যদি তাদের বাপ-দাদারা কোন জ্ঞান না রাখে এবং হেদায়েত প্রাপ্ত না হয় তবুও কি তারা তাই করবে?-(৫:১০৪)

যারা আমার সাক্ষাৎ আশা করে না, তারা বলে, ‘আমাদের কাছে ফেরেস্তা অবতীর্ণ করা হল না কেন? অথবা আমরা আমাদের পালনকর্তাকে দেখি না কেন? তারা নিজেদের অন্তরে অহঙ্কার পোষণ করে এবং গুরুতর অবাধ্যতায় মেতে উঠেছে। যেদিন তারা ফেরেস্তাদেরকে দেখবে, সেদিন অপরাধীদের জন্যে কোন সুসংবাদ থাকবে না এবং তারা বলবে, কোন বাঁধা যদি তা আটকে রাখত!-(২৫:২১-২২)

এসময় মুহম্মদ সম্পর্কে নাজার ইবনে আল-হারিছ (Nadr ibn al-Harith) এমন মন্তব্য করলেন যা কুরাইশদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করল। তিনি জনতাকে সমবেত করে বললেন, ‘হে কুরাইশগণ! আল্লাহ তোমাদের উপর এমন এক বিষয় অবতীর্ণ করেছেন যার উপর আর কোন ছল-চাতুরী চলবে না, মুহম্মদ তোমাদেরই মাঝে লালিত-পালিত, তোমাদের মাঝেই তিনি বয়োঃপ্রাপ্ত হয়েছেন। তোমরাই তাকে আল-আমিন উপাধি দিয়েছ। তোমরা সবাই তাকে ভালবাসতে, আর তার আচার-আচরণের জন্যে ভূয়সী প্রশংসা করতে। সকলে তাকে সত্যবাদী বলে জানতে।

--কিন্তু পৌঢ় বয়সে যখন তিনি ঐশী বাণী প্রচার করতে লাগলেন, তখন তোমরা তাকে যাদুকর, গণক, পাগল ইত্যাদি বলা শুরু করলে। অথচ এই সকল লোকের প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। আর সেই অভিজ্ঞতার আলোকে একথা বলা যায় যে, তিনি এসবের কিছুই নন, তবে আমি বলছি যে, তার বাণীর চেয়ে আমার বাণী আরও সুন্দর আর সুমধুর্। অতএব, তোমরা সবাই আমার বাণীর অনুসরণ কর।’

পার্সিয়ান নৃত্য।
নাজার ছিলেন দারুণ নাদওয়ার সদস্য এবং একজন ব্যবসায়ী (কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন একজন ডাক্তার, আর তায়েফ থেকে তার মক্কায় আগমন)। তিনি ব্যবসায়িক কারণে বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করতেন, ফলে রাজা-বাদশাদের কিচ্ছা-কাহিনীর অনেক কিছুই তিনি জানতেন। তাছাড়া তিনি রুস্তম, ইছফেনদিয়ার ও পারস্য সম্রাটদের কিচ্ছা-কাহিনীর বই পারস্য থেকে ক্রয় করে এনেছিলেন। তিনি পৌত্তলিকদের বললেন, ‘মুহম্মদ তোমাদেরকে আ‘দ, সামুদ প্রভৃতি সম্প্রদায়ের কিচ্ছা-কাহিনী শোনায়, কিন্তু আমি তোমাদেরকে পারস্য সম্রাটদের সেরা কাহিনী শোনাব।’

নাজার সুললিত ভাষায় সম্রাটদের কাহিনী পৌত্তলিকদের শুনাতে লাগলেন। এগুলি ছিল চটকদার গল্পগুচ্ছ, ফলে পৌত্তলিকদের যারা আগে কোরআনের আলৌকিকতা ও অদ্বিতীয়তার কারণে তা শোনার আগ্রহ পোষণ করত ও গোপনে শুনতও, তারা এখন কোরআন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার ছুতা পেয়ে গেল।

পৌত্তলিকদের গল্প শুনান শেষে নাজার বলতে লাগলেন, ‘বল, মুহম্মদের বাণী অপেক্ষা আমার বাণী কোন অংশে শ্রেষ্ঠ ও শ্রুতিমধুর নয়?’ 


জনৈক সাহাবী তার কথা শুনে বললেন, ‘কোরআন সমগ্র বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে-‘এর বিরোধীরা যদি সত্য হয়ে থাকে, তবে কোরআনের ছোট একটি সূরার অনুরূপ একটি সূরা উপস্থাপন করে দেখিয়ে দিক।’
নাজার বললেন, ‘আমরা যদি ইচ্ছে করি তবে আমরাও এমন কালাম বলতে পারি।’

পার্সিয়ান নৃত্য।
নাজার আল্লাহর বাণী অবতীর্ণ করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন। কিন্তু অনুরূপ কোন বাণী অবতীর্ণ করতে ব্যর্থ হলেন তিনি। তখন ঐ সাহাবী বললেন, ‘তাহলে একথা বলা যায় যে, আমরা যদি ইচ্ছেকরি তবে আমরাও এমন কালাম বলতে পারি’- এমন কথা লাজ-লজ্জার অধিকারী কোন ব্যক্তিই বলতে পারে না।’
নাজার বললেন, ‘হে আল্লাহ, এই কোরআনই যদি সত্য হয়ে থাকে, তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণ কর, কিম্বা কোন কঠিন আযাব নাযিল কর।’

নাজার পারস্য থেকে এক সুন্দরী বাঁদী ক্রয় করে এনে তাকে কোরআন শ্রবণ থেকে মানুষকে ফেরানোর কাজে নিয়োগ করলেন। আর তিনি লোকদেরকে ডেকে বলতে লাগলেন, ‘মুহম্মদ তোমাদেরকে কোরআন শুনিয়ে নামাজ কায়েম করতে, রোজা রাখতে এবং ধর্মের জন্যে প্রাণ বিসর্জনের কথা বলেন। এতে কষ্টই কষ্ট। এস, এই সুন্দরী নারীর কন্ঠে গান শুন ও উল্লাস কর।’

তার কথা ও জবাব কোরআন এভাবে দিয়েছে- ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেম কে হবে যে, আল্লাহর প্রতি মিথ্যে আরোপ করে অথবা বলে, ‘আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ তার প্রতি কোন ওহী আসেনি এবং যে দাবী করে যে, আমিও নাযিল করে দেখাচ্ছি, যেমন আল্লাহ নাযিল করেছেন।(৬:৯৩)

আর কেউ যখন তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে তবে বলে, ‘আমরা শুনেছি, ইচ্ছে করলে আমরাও এমন বলতে পারি, এ তো পূর্ববর্তীদের ইতিকথা বৈ তো কিছুই নয়।’ 

নাজার ইবনে হারিছের শিরোচ্ছেদ
তাছাড়া তারা যখন বলতে আরম্ভ করে যে, ‘ইয়া আল্লাহ, এ যদি তোমার পক্ষ থেকে আগত সত্য দ্বীন হয়ে থাকে, তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণ কর কিম্বা আমাদের উপর বেদনাদায়ক আযাব নাযিল কর।’

কিন্তু আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না, যতক্ষণ তুমি তাদের মাঝে অবস্থান করবে। তাছাড়া যতক্ষণ তারা ক্ষমা প্রার্থণা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না।(৮:৩১-৩৩)

এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং তাকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। এদের জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। যখন ওদের সামনে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন ওরা দম্ভের সাথে এমনভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন ওরা তা শুনতেই পায়নি অথবা যেন ওদের দু‘কান বধির।(৩১:৬-৭)

নাজর ইবনে আল-হারিছকে নিয়ে এ ধরণের আয়াত নাযিল হলে, কুরাইশ নেতৃবৃন্দ নবী মুহম্মদ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে তার সাথে আবু জেহেল ও ওকবা ইবনে আবি মূয়িতকে মদিনায় ইহুদি পন্ডিতদের কাছে পাঠান। কেননা, তারা ছিল কিতাবধারী, ফলে নবীদের সম্পর্কে তাদের সম্যক উপলব্ধি ও ধারণা ছিল।

সুতরাং তারা মদিনায় গিয়ে ইহুদি পন্ডিতদের নিকট নবীজীর বর্ণনা দিল এবং তার বাণীর কিছুটা তাদের সামনে তুলে ধরল। অত:পর তারা বলল, `You are the people of the Tawrah and we have come to you so that you can tell us about this companion of ours.' 

সবশুনে ইহুদি পন্ডিতগণ তিনি সত্য নবী কিনা তা পরীক্ষার জন্যে কয়েকটি প্রশ্ন তার নিকট রাখতে বলে এবং জানায় “যদি তিনি উত্তর দিতে পারেন বুঝবে তিনি সত্য নবী, অন্যথায় নয়। আর তার উত্তরের ভিত্তিতে তোমরা তোমাদের করণীয়র বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।” ইহুদি রাব্বিদের দেয়া প্রশ্নগুলো ছিল- 
ক). Who were "the Sleepers of the Cave"? 
খ). What is the story of Khidr? ও
গ). What do you know about Dhul-Qarnayn? 

অবশ্য ইবনে ইসহাকের মতে প্রশ্নগুলো ছিল-
ক). What was the story of People of the Cave?
খ). What was his story of a man who travelled a great deal and reached the east and the west?গ). What is it Ruh (soul or spirit)?

তারা ফিরে এসে সকলকে বললেন, ‘আমরা একটি চুড়ান্ত ফয়সালার ব্যবস্থা করতে পেরেছি।’

কুরাইশরা সদলবলে প্রশ্নগুলো নিয়ে মুহম্মদের কাছে হাযির হলেন। তিনি সবকিছু শুনে বললেন, ‘তোমরা আগামীকাল এস।’ কিন্তু তিনি ‘আল্লাহ চাইলে’ অর্থাৎ ইনশাল্লাহ (Insha'Allah) বলতে ভুলে গেলেন।
তারা চলে গেলেন।

মুহম্মদ ওহী আগমনের অপেক্ষায় থাকলেন। কিন্তু পরদিন ওহী এল না। এভাবে দিনের পর দিন অতিক্রান্ত হতে লাগল। আর কুরাইশরাও তাকে ঠাট্টা করতে লাগলেন। তাদের অনেকে বলতে লাগলেন, ‘মুহম্মদের আল্লাহ তাকে পরিত্যাগ করেছেন।’

পনের দিন পর জিব্রাইল কুরাইশদের প্রশ্নের উত্তর সম্বলিত সূরা কাহফ নিয়ে অবতরণ করলেন। এই সূরায় ওহী বিলম্বের কারণ হিসেবে বলা হল-ভবিষ্যতে কোন কাজ করার ওয়াদা করলে ইনশাল্লাহ বলা উচিৎ। “তুমি কোন কাজের বিষয়ে বলবে না যে, সেটি ‘আমি আগামীকাল করব’ ‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে (ইনশাল্লাহ)’ বলা ব্যতিরেকে। যখন ভুলে যাও, তখন তোমার পালনকর্তাকে অধিক ভাবে স্মরণ কর এবং বল, ‘আশাকরি আমার পালনকর্তা আমাকে এর চাইতেও নিকটতম সত্যের পথনির্দেশ করবেন।’-(১৮:২৩-২৪)

এই নাজার ইবনে হারেছ পরবর্তীতে তামাশাচ্ছলে মুসলমানদের পরিণতি স্বচক্ষে অবলোকনের জন্যে হুনায়েনের যুদ্ধ দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে মুসলমানদের বিপর্যয়ের সময় তার মন পরিবর্তিত হয়। ঐ সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। 

বি:দ্র: অবশ্য এমনও জানা যায়, বদর যুদ্ধে ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে হত্যা করা হয়। ওকবা ইবনে আবু মূয়িতের সাথে নিহত অপরজন ছিলেন নাজার ইবনে আল হারিছ। নবীজীর নির্দেশে আলী তাদেরকে শিরোচ্ছেদ করেন।-ইবনে কাছির; মুবারকপুরী; সুনান আবু দাউদ,২৫৮৬। তবে যাই হোক না কেন তাদেরকে হত্যা করলেও তা হবে তাদের অপরাধের তুলনায় নগণ্য শাস্তিস্বরূপ।

নাজার ইবনে হারিছের কিছু অপরাধ আমরা উপরে বর্ণনা করেছি কিন্তু সব নয়। সে আরও যে সব অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল তা অতি জঘণ্য, সে শারিরিক নির্য়াতনের মাধ্যমে নিরাপরাধ মুসলমানদের হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করত এবং সেসব কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ইন্ধন দিত।He was not only a staunch opponent of Muhammad and his followers, but also directly involved in killing the early Muslims by physical torturing with the Meccan. According to Ibn Hajar al-Asqalani, Nadr Ibn al-Harith was most likely among those who had brutally killed Muhammad's step-son, Harith bin Abi Halah

ইসলাম প্রচারের শুরুতে নবী মুহম্মদ কোন একদিন কতিপয় ভক্ত সমবিহারে কা’বা গৃহে গমন করে, সেখানে একেশ্বরবাদ প্রচার করতে চাইলেন। চারিদিকে হুলস্থূল পড়ে গেল, সকলে মার-মার করে ছুটে এল এবং তার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করতে শুরু করল। এসময় বিবি খদিজার পুত্র, হারেছ ইবনে আবি হালাঃ (নবী মুহম্মদের সৎপুত্র) এসে তাদের দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করে। তখন এই নাজার ইবনে হারিছ কুরাইশদের উত্তেজিত করে তোলে এবং তাদেরকে সাথে নিয়ে হারেছকে আক্রমণ করে হত্যা করে। আর তাতে নিরপরাধ এক যুবকের শোণিতে কা’বার প্রাঙ্গণ রঞ্জিত হয়েছিল। আর ওকবা ইবনে আবু মূয়িতের অপরাধ! হুহ!!

আল ওয়ালিদের পিতা ওকবা ইবনে আবু মূয়িত একজন অন্যতম কুরাইশ নেতা ছিলেন। তিনি কোন সফর থেকে ফিরে এলে শহরের গণ্যমান্য লোকদের দাওয়াত করতেন এবং নবীজীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতেন। এ ধরণের এক নিমন্ত্রণে নবীজী একদিন তার বাসগৃহে গেলেন। যখন ওকবা তার সামনে খানা উপস্থিত করলেন, তখন নবীজী বললেন, “আমি তোমার খানা গ্রহণ করতে পারি না যে পর্যন্ত না তুমি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ এক, এবাদতে তাঁর কোন অংশীদার নেই এবং আমি তার রসূল।” তখন ওকবা সাক্ষ্য দিলেন এবং নবীজী খাদ্য গ্রহণ করলেন।

উবাই ইবনে খলফ ছিলেন ওকবার ঘনিষ্ট বন্ধু। তিনি যখন ওকবার ইসলাম গ্রহণের কথা জানতে পারলেন, তখন খুবই রাগান্বিত হলেন। ওকবা ওজর পেশ করলেন, “কুরাইশ বংশের সম্মানিত অতিথি মুহম্মদ আমার গৃহে আগমন করেছিলেন। তিনি খাদ্য গ্রহণ না করে ফিরে গেলে তা আমার জন্যে অবমাননাকর হত। তাই অমি তার মনোরঞ্জনের জন্যে ইসলাম গ্রহণ করেছি।

উবাই বললেন, "আমি তোমার এই ওজর কবুল করব না, যে পর্যন্ত না তুমি গিয়ে তার গর্দানে পা রেখে তার মুখে থুথু নিক্ষেপ করবে।"

হতভাগ্য ওকবা বন্ধুর কথায় সম্মত হলেন এবং অত:পর তিনি ঐ কাজটি করলেন যখন নবীজী কা’বাতে উপবিষ্ট ছিলেন। এরপর তাদের সম্পর্কে এই আয়াত নাযিল হয়েছিল- “জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, “হায় আফসোস, আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বণ করতাম! হায় আমার দুর্ভাগ্য, আমি যদি ওমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে বিভ্রান্ত করেছিল।” -(২৫:২৭-২৯) 

বদর যুদ্ধে কুরাইশদের পক্ষে ওকবা ও উবাই দু‘জনই অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধের শুরুতে উবাই নিহত হয় আর যুদ্ধ শেষে ধৃত হয় ওকবা। অত:পর ঐশী নির্দেশে নবীজী তাকে শিরোচ্ছেদের আদেশ দেন্‌। এদের হত্যাকান্ডের সাথে নবীজীকে দায়ী করা আর কুরাইশ সেনাপতিকে দায়ী করা সমান (কুরাইশ সেনাপতির সাথে যুদ্ধে না এলে তারা মরত না -এই যুক্তিতে) এবং নিতান্ত হাস্যকর। মূলত: তারা নিজেরাই নিজেদের হত্যা করেছে কৃত ঘৃণ্য অপরাধের দ্বারা। যা হোক, ওকবার হত্যার ব্যাপারটি এখন আমরা ঈমাম হাসানের কাছ থেকে শুনি-

খলিফা ওসমানকে হত্যার দায়ে ওকবার পুত্র ওয়ালিদ খলিফা আলীকে অভিযুক্ত করলে প্রত্যুত্তরে ঈমাম হাসান তাকে বলেছিলেন, “I do not blame thee for thy hatred at the present time, O thou son of Abu-Mait! and indeed how can I reproach thee for thy invective's against my father, when of a truth he lashed thee with eighty lashes for drinking wine? (খলিফা ওসমান তার চাচাত ভাই আল ওয়ালিদ ইবনে ওকবাকে কূফার গভর্ণর করেছিলেন।ঐ দায়িত্ব পালনকালে তিনি মাতাল অবস্থায় কোন এক নামাজে ঈমামতি করতে গিয়ে দু'রাকাতের নামাজ ৪ রাকাত পড়িয়েছিলেন। বিষয়টি দরবারে উত্থাপিত হলে খলিফা ওসমানের নির্দেশে শাস্তিস্বরূপ আলী তাকে ৮০টি বেত্রাঘাত করেন। -See Sahih Bukhari, Volume 5, Book 57, Number 45; volume 5, book 58, number 212; Ta'rikh al-Tabari, volume XV, p-120). And by command of my maternal grandfather my father killed thy father who had been taken and bound, and my maternal grandfather killed him by command of my Lord God?

And when thy father stood before the executioner, he said, “Be gracious unto my young sons after me, O Muhammad!” But my maternal grandfather replied, “Hell-fire is their portion” (ওকবার সন্তানগণ এভাবে উপাধি পেল "Sibyat un-Ndr" অর্থাৎ Children of the Fire, or of Hell-fire,). For with him there could be no place for them excepting hell-fire, and with my father there could be nothing for them excepting the lash and the sword.” 

তবে ঐতিহাসিক Abu'l-Faraj-Isfahani তার Kitab-al-Aghany (Book of Songs)-তে কিন্তু আলীকে নয়, আসেম ইবনে সাবেতকে শিরোচ্ছেদকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সমাপ্ত।

ছবি: Wikipedia, iranchamber, templedancefestival.blogspot.
উৎস: 

  • Wikipedia
  • Husayn Haykal, Muhammad (2008). The Life of Muhammad. 
  • Al-Isaba Fi Tamyizis-Sahaba, by Ahmad bin 'Ali bin Hajar Al-'Asqalani, 
  • Irfan Shahîd., Byzantium and the Arabs in the Sixth Century, 
  • Mubarakpuri, The Sealed Nectar 
  • Muhammad Saed Abdul-Rahman, The Meaning and Explanation of the 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Moses: কোরাণিক ক্যানভাসে নবী মূসা।

Abu Hena Mostafa Kamal  01 May, 2017 মি সরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ফেরাউন। হঠাৎ করে তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। কিন্তু তিনি কোন উত্তরাধিকারী ন...