অবমাননাকর যুদ্ধ, the Sacrilegious War গাজাতুল ফিজার (Ghazwatul Fijar) এর কাহিনী বর্ননার আগে প্রথমে আমরা দেখব তৎকালীন আরবের অবস্থা কেমন ছিল-সৈয়দ আখতার রিজভীর বর্ণনায়- The Arabs belonged to one ethnic race, but history does not record that they were ever united as one nation. They were divided into tribes and clans, each having its own chief or chieftain. They, no doubt, spoke the same language, but each tribe followed a different dialectal variation. Indeed, even religion was not a binding force. Almost every house had its own god; tribes had their own supreme deities.
In the south were the small principalities of Himyar, Awza and Aqyal. In the middle and northern Arabia lived the tribes of Bakr, Taghlib, Shaiban, Azd, Qudha'ah, Khandaf, Lakhm, Juzam, Banu Hanifa, Tay, Asad, Hawazin, Ghatfan, and Aws, Khazraj, Thaqif, Quraish and others; they were frequently engaged in intensive warfare. Bakr and Taghlib had been fighting each other for forty years. Blood engagements had ruined many a tribe of Hadhramaut. Aws and Khazraj had exhausted themselves through a protracted war, and the Battle of Fijar between the Banu Qais and Quraish had not yet ended.
If any member of a tribe was killed, the tribe considered itself duty bound to seek revenge not merely upon the murderer but also on the tribe to which he belonged. Since there was no effective machinery to settle such disputes, this invariably touched off furious wars, which lasted for generations. Tribal might, dash and alacrity, were the only guarantee of a precarious security.
The desert and the hills were the home of fierce nomadic tribes who lived largely on plunder and depredation, but trade was also a major source of livelihood for them. Only a few months of the year were regarded as sacred. It was only then that bloodshed was stopped in order to facilitate the performance of the annual pilgrimage to Mecca or to do trade at Ocatz But even this convention was at times relaxed to suit the convenience of individual tribes. Only the precincts of the Ka'ba were considered sacred and were free from bloodshed. It is to this state of affairs that the Qur'an has drawn attention:
Do they not see that we have made a sacred territory secure for them, while men are carried off by force all around them?-(Qur'an, 29:67)
মুহম্মদ সবেমাত্র কিশোর, তখন ‘গাজাতুল ফিজার’ বা 'অবমাননাকর যুদ্ধ' সংগঠিত হয়েছিল। এই যুদ্ধ নানা ভাগ্য-বিপর্যয় ও বহু মানুষের প্রাণহানীর মধ্যে দিয়ে দীর্ঘকাল চলেছিল। মক্কার নিকটবর্তী ওকাজ (Ocatz) (নাখালা ও তায়েফের মধ্যবর্তী একটি জায়গা) নামক স্থানে বাৎসরিক মেলাকে কেন্দ্র করে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। একদিকে ছিল কুরাইশ ও বনি কিনানা (Banu Kinana) এবং অন্যদিকে Hawazin tribes বনি কায়েস (Banu Qais) ও বনি আয়লান (Banu Aylan) গোত্র।
শহর ও পল্লীতে বসবাসকারী আরবদের মধ্যে যারা সিরীয়, পারস্যিক ও রোমকদের মধ্যে প্রচলিত শিথিল নৈতিকতা গ্রহণ করেছিল তাদের মধ্যে নারী জাতির অবস্থা চরম অধঃপতিত অবস্থায় পৌঁছেছিল। কিন্তু কিছু যাযাবর আরবদের মধ্যে নারীরা বহুল পরিমানে স্বাধীনতা উপভোগ করত এবং তাদের গোত্রসমূহের সৌভাগ্যের উপর অত্যধিক প্রভাব বিস্তার করত। তারা যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে গমন করত এবং বীরত্বের পথে তাদের অনুপ্রাণিত করত। সাহসিকতা ও উদারতা ছিল পুরুষদের মহোত্তম গুণ আর যৌনসূচিতা ছিল নারীর মহোত্তম গুণ। কোন গোত্রের একজন মহিলাকে অবমাননা করলে উপদ্বীপের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত আগুন জ্বলে উঠত। যে অবমাননাজাত যুদ্ধ চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত চলেছিল সেই Sacrilegious War -গাজ্জাতুল ফিজার শুরু হয়েছিল ওকাজ মেলায় এক তরুণীর অপমানকে কেন্দ্র করে।
আরবের প্রসিদ্ধ এই ওকাজের মেলা বসত প্রতি বৎসর পবিত্র যুলকাদ (Dhul-Qadah) মাসে। তখন যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া বা ক্রোধের বশে মানুষের রক্তপাত করা নিষিদ্ধ ছিল। এছিল ‘এক ধরনের ঐশী যুদ্ধ বিরতি’। অবশ্য ওকাজ ছাড়াও বিভিন্ন ঋতুতে মক্কার আশে পাশে বেশ কয়েকটি মেলা বসত যার কয়েকটি বসত মক্কার অনতিদূরে অবস্থিত মারউজ জহরানের (Marr al Tzahran) নিকটবর্তী মাজনায় (Mujanna) এবং বাকীগুলি আরাফাত পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত জুল-মার্জাজে (Dzul Majaj)। কিন্তু ওকাজের মেলা ছিল এক বিরাট জাতীয় ব্যাপার। এখানে এই পবিত্র মাসে সর্ববিধ শত্রুতা ও গোত্র বিরোধী ষড়যন্ত্র মুলতবী থাকত বলে আরবের বিভিন্ন অঞ্চল ও দূরবর্তী দেশ থেকে বিশ্বের বাণিজ্য সম্ভার এখানে জমায়েত হত। এই উৎসবের সপ্তাহ গুলিতে ওকাজ আনন্দ ও উত্তেজনার জমকাল দৃশ্য ধারণ করত।
কিন্তু এই চিত্রের অন্যদিকও ছিল। নর্তকীরা তাদের আধুনিক প্রতিনিধি ‘মিসরের আলমাস ও গাওয়াজিন’দের মত তাঁবু থেকে তাঁবুতে ঘুরে বেড়াত, আর গান ও ফূর্তির মাধ্যমে মরুভূমির প্রমত্ত সন্তানদেরকে উত্তেজিত করত। কারিন্থবাসীদের মত লম্পটদের সমাবেশও ঘটত মেলাতে। মদ্যপায়ী লম্পট ও হৈ হুল্লোড়কারীরা প্রায়ই তুমূল বাক-বিতন্ডা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হত। জুয়ার আড্ডায় মক্কার জুয়াড়ীরা সারারাত কাটিয়ে দিত। এসব কাজ ওকাজের মেলাকে কালিমা লেপন করত।
যাহোক, আমরা এখন দেখি গাজাতুল ফিজারের পটভূমি কি ছিল- At the fair of Ocatz, a rivalrous spirit had been, about this period, engendered between the Quraish and the Bani Hawazin, a numerous tribe of kindred descent (those sprang through Qais and Aylan, from Modhar and Maadd, the ancestors of the Quraish), which dwelt in between Mecca and Taif. An arrogant poet, vaunting the superiority of his tribe, had been struck by an indignant Hawazinite; a maid of Hawazin descent rudely treated by some Quraishite youths; an importunate creditor insolently repulsed.
The circumstances form a curious illustration of Arab manners. The Hawazin creditor seated himself in a Conspicuous place with a monkey by his side, and said, "who will give me another such ape, and I will give him in exchange my claim on such a one,"- naming his creditor with his full pedigree from Kinana, an ancestor of the Quraish. This he kept continually vociferating to the intense annoyance of the Kinana tribe, one of whom drew his sword and cut off the monkey's head. In an instant the Hawazin and Kinana tribes were embroiled in bitter strife. The poet mentioned in the text, and also the murderer Birradh who, as shown below, actually kindled the war, belonged to the Bani Kinana. The war therefore embraced a wider range than the Quraishite family, who formed a portion only of the Kinana tribe.
On each occasion the sword was unsheathed, blood began to flow, and the conflict would have become general unless the leaders had interfered to calm the excited people. Such was the origin of the Fijar, or Sacrilegious War, so called because it occurred within the sacred term, and was eventually carried into the sacred territory. These incidents suggested the expediency of requiring all who frequented the fair to surrender, while it lasted, their arms, and to deposit them with Abdallah ibn Jodan, a Quraishite chief descended from Taym, an uncle of Qussai. By this precaution, peace was preserved for several years, but when a wanton murdered, it supplied a more serious cause of offence.
Noman V. Prince of Hira, despatched to the fair of Ocatz a caravan richly laden with perfumes and musk. It proceeded under the escort of Orwa, a warrior of the Bani Hawazin. Birradh a friend of the Quraish, jealous at being supplanted in the convoy of the merchandise, watched his opportunity, and falling upon Orwa as he encamped by a fountain near Fadac (the spot was called Awara, in the valley of Tayman, north of Medina), slew him, and fled with the booty to conceal himself in Khaibar; On his way thither he met a Quraishite whom he charged to proceed with expedition to the fair then being held at Ocatz, and communicate the intelligence to Harb (who was his confederate or halif) and the other Quraishite chiefs (a poet called Bishr). The message was conveyed, and Abdallah ibn Jodaan, thus privately informed of the murder, immediately restored to all their arms, and feigning urgent business at Mecca at once departed with his whole tribe.
Harb is said to have urged Abdallah to give up only the Quraishite, and to withhold the Hawazin arms; so that they might fall upon the latter unprepared. Abdallah rejected the proposal as perfidious. But it looks very like an Abasside tradition to vilify the Umayads. It is noted that Harb was the son of Umaya and father of Abu Sufian.
But the news of the murder began rapidly to spread at Ocatz, and as the sun went down it readied the ears of Abu Bera, Chief of the Hawazin; who, forthwith perceiving the cause of the precipitate departure of the Quraish, rallied his people around him and proceeded in hot pursuit. The Quraish had already entered the sacred limits, and the Bani Hawazin contented themselves with challenging their enemy to a re-encounter at the same period of the following year. The challenge was accepted, and both parties prepared for the struggle. Several battles were fought with various success, and hostilities, more or less formal, were prolonged for four years, when Otba, son of Rabia (the nephew of Harb) proposed a truce.
The dead were numbered up, and as twenty had been killed of the fighting. Hawazin more than of the Quraish, the latter consented to pay the price of their blood, and for this purpose delivered hostages. One of the hostages was Abu Sufian, the famous antagonist in after days of Muhammad.
In some of these engagements, the whole of the Quraish and their allies were engaged. Each tribe was commanded by a Chief of its own; and Abdallah ibn Jodaan guided the general movements. The descendants of Abd Shams and Nowfal were headed by Harb, the son of Umaya, and took a distinguished part in the warfare. The children of Hashim were present also, under the command of Zubeir, the eldest surviving son of Abd al Muttalib.
যাহোক, যুদ্ধে প্রথমে বনি কায়েসের জয়ের সূচণা দেখা দিলেও পরিশেষে কুরাইশরা জয়লাভ করে এবং সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে কুরাইশদের অংশগ্রহণ ছিল ন্যায়সঙ্গত। মুহম্মদের চতুর্দশ বৎসর বয়সের সময় (দ্বিতীয়বার) যুদ্ধ অরম্ভ হয়ে তার বিশ বৎসর বয়োক্রমঃকালে তা শেষ হয়েছিল। মুহম্মদও শেষবারের ঐ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন; অবশ্য তিনি অস্ত্র হাতে তুলে নেননি, কেবল চাচা আবু তালিবের হাতে তীর কুড়িয়ে দিতেন।
সমাপ্ত।
উৎস: al-islam.org, Life of Mahomet- Sir William Muir, The spirit of Islam-Syed Ameer Ali.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন