নবী মুহম্মদের (Muhammad) বিবাহ সংক্রান্ত নানা কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। তিনি সম্ভবত: ১৩টি বিবাহ করেছিলেন যার সবগুলো্ই তিনি করেছিলেন পৌঢ় বয়সে ১মা স্ত্রীর মৃত্যুর পর। ২৫ বৎসর বয়সে তিনি ৪০ বৎসর বয়সী বৃদ্ধা খাদিজাকে বিবাহ করেন। আর অবশিষ্টদের বিবাহ করেন ১ম স্ত্রী মারা গেলে ৫০ বৎসর বয়সের পর। এই আর্টিকেলে আমরা দেখব তার এসব বিবাহের পিছনে কি কি কারণ কাজ করেছিল।
নবী মুহম্মদের সকল বিবাহগুলো পর্যালোচনা পর, আমাদের ধারণা নীচের কারণগুলো তার এসব বিবাহের পিছনে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছিল-
ক). Helping out the widows of his companions as they were unable to bear their livelihood because of detachment from their family due to their conversion as Muslim.
খ). Creating family bonds between him and his companions (Muhammad married the daughters of Abu Bakr and Umar, whereas Uthman and Ali married his daughters. Thus we find a family bonding with him with the rightly guided Caliphs).
গ). Spreading the message by uniting different clans through marriage and honoured them in both life.
ঘ). His character was certified by God almighty and with this marriage a follower of him got opportunity from them to learn & practice a ideal Muslim familial life to lead his own.
ঙ). সর্বোপরি, সমাজের অবহেলিত ঐ সব বয়স্ক, তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা নারীরা (With the exception of Aisha) অতবড় মর্যাদায় ভূষিত হতে পেরেছেন কেবলমাত্র তার দয়া ও মহত্ত্বের কারণে।
At that time, according to Scholar Isaac Klein "other elements became factor in marriage were- climate, social conditions, economic conditions, and even political conditions.”-[Isaac Klein, A Guide to Jewish Religious Practice, p. 396]
যা হোক, এবার আমরা তার প্রত্যেকটি বিবাহের ঘটনাগুলো দেখি-
খ). Creating family bonds between him and his companions (Muhammad married the daughters of Abu Bakr and Umar, whereas Uthman and Ali married his daughters. Thus we find a family bonding with him with the rightly guided Caliphs).
গ). Spreading the message by uniting different clans through marriage and honoured them in both life.
ঘ). His character was certified by God almighty and with this marriage a follower of him got opportunity from them to learn & practice a ideal Muslim familial life to lead his own.
ঙ). সর্বোপরি, সমাজের অবহেলিত ঐ সব বয়স্ক, তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা নারীরা (With the exception of Aisha) অতবড় মর্যাদায় ভূষিত হতে পেরেছেন কেবলমাত্র তার দয়া ও মহত্ত্বের কারণে।
At that time, according to Scholar Isaac Klein "other elements became factor in marriage were- climate, social conditions, economic conditions, and even political conditions.”-[Isaac Klein, A Guide to Jewish Religious Practice, p. 396]
যা হোক, এবার আমরা তার প্রত্যেকটি বিবাহের ঘটনাগুলো দেখি-
বিবি খাদিজা: পূর্ণ নাম- খাদিজা বিনতে খোওয়াইলিদ। তিনি আত্মীয়তার দিক থেকে মুহম্মদের দূর সম্পর্কের চাচাত বোন। সেই আমলে যখন নারী জাতির দুর্গতির ও লাঞ্ছনার যেখানে সীমা ছিল না তখন এই সতী-সাধ্বী নারী শূচিতায় ও শুভ্রতায় ছিলেন অনন্যা। এ কারণে অনেকে তাকে তাহেরা নামেও সম্বোধন করত। তার দু‘বার বিবাহ হয়েছিল, কয়েকটি সন্তানও (হারেছ, জয়নব, রোকাইয়া ও উম্মে কূলসুম) ছিল। তার স্বামী আবি হালা বা আতিক, কেউ একজন মৃত্যুকালে অগাধ ধন-সম্পত্তি রেখে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তার ঐ স্বামীর বিস্তৃত বাণিজ্যের হাল ধরেন। কর্মচারীর মাধ্যমে তিনি নানা দেশে বাণিজ্য পরিচালনা করতেন এবং নিজেই সমস্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধান করতেন। (বিদ্র: অনেকে অবশ্য একথা বলেন যে খাদিজা অবিবাহিতা ছিলেন এবং তিনি তার পিতৃ ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। আর কন্যা তিনটি (জয়নব, রোকাইয়া ও উম্মে কূলসুম) তার অকালে মৃত্যুবরণ করা বোন হালার। অবশ্য সুন্নী মুসলিমদের অধিকাংশেরই বিশ্বাস এরা মুহম্মদেরই সন্তান য়দিও শিয়া মুসলিমদের এ ধরণের কোন বিশ্বাস নেই।)
মুহম্মদ যখন ২০ বৎসর বয়সে পদার্পণ করেন, তখন খাদিজার নিকট থেকে তিনি তার সিরিয়াগামী এক বাণিজ্য বহর পরিচালনার দায়িত্বভার পান। আর মুহম্মদ বিজ্ঞতার সঙ্গে ঐ বাণিজ্যকর্ম সম্পাদন করেছিলেন এবং খাদিজাও তার কর্তব্য কর্মে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এই প্রতিক্রিয়া ক্রমশঃ অনুরাগে রূপান্তরিত হয়। তার আগ্রহে এবং মুহম্মদের সম্মতিতে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের মধ্যে বিবাহের প্রস্তাব ও আলোচনা হল। মুহম্মদের পক্ষে তার চাচা আবু তালিব এবং খাদিজার পক্ষে তার চাচা আমর বিন আসাদ এই বিবাহে অভিভাবকত্ব করেন। বিবি খাদিজার পিতা খোওয়াইলিদ ফিজার যুদ্ধের পূর্বেই মারা গিয়েছিলেন। এ কারণে এই বিবাহে তার চাচা আমর বিন আসাদ যথানিয়মে কন্যা সম্প্রদান করেন।
বিবাহের সময় মুহম্মদের বয়স ছিল পঁচিশ ও তার স্ত্রীর চল্লিশ। দু‘জনের মধ্যে বয়সের তারতম্য থাকা সত্ত্বেও একে অন্যের প্রতি তাদের ভালবাসা ছিল প্রগাঢ়। এই বিবাহ মুহম্মদের জন্যে বয়ে এনেছিল শান্তি ও প্রত্যাহিক পরিশ্রম থেকে মুক্তি, যা তার মনকে প্রস্তুত করার জন্যে অপরিহার্য ছিল। এ ছাড়াও তিনি লাভ করেছিলেন এক অনুরক্তা স্ত্রীর হৃদয়, যিনি সর্বপ্রথম তার নব্যুয়তে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। বিবি খাদিজার জীবিত অবস্থায় মুহম্মদ অন্যকোন পত্নী গ্রহণ করেননি।
শেব গিরিসংকটের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তিলাভের পর ৬২০ খ্রীঃ বিবি খাদিজা মৃত্যুবরণ করেন। গিরি সংকটের অনাহার বৃদ্ধা খাদিজার শরীর সহ্য করতে পারেনি।
খাদিজার মৃত্যু ছিল মুহম্মদের জন্যে এক দুঃসহ আঘাত। যখন কেউ তাকে বিশ্বাস করত না, তখন একমাত্র তিনিই তার প্রগাঢ় ভালবাসা ও অবিচল বিশ্বাস নিয়ে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই তিনি তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে একদা আয়েশাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, 'যখন সকল লোক আমাকে অগ্রাহ্য করেছিল- সেই তখন আমার প্রতি ঈমান এনেছিল। সকলে যখন আমার কথাকে মিথ্যে বলেছিল, সে-ই তখন তার সত্যতা স্বীকার করেছিল। যখন অন্যরা আমাকে বর্জন করেছিল-তখন সে-ই ধর্মকার্যে ব্যয় করার নিমিত্তে তার ধন-ভান্ডার লুটিয়ে দিয়েছিল।’
বিবি সওদা: কুরাইশদের পৌত্তলিকতা থেকে ফেরানোর কাজে হতাশ হয়ে মুহম্মদ অন্যত্র তার প্রচার কাজ চালানোর সংকল্প গ্রহণ করেন। মক্কা তার বাণীকে প্রত্যাখান করেছে, তায়েফ হয়তঃ তার বাণী শুনতে পারে এই আশা নিয়ে তিনি জায়েদকে সঙ্গে নিয়ে তায়েফবাসীদের কাছে যান। সেখান থেকে মক্কায় ফিরে আসার অল্পদিন পর মুহম্মদ সওদা বিনতে জামায়া নাম্নী এক বর্ষীয়ান বিধবাকে বিবাহ করলেন। বিবি সওদার প্রথম স্বামীর নাম ছিল সাকরান, আস সাকরান বিন আমর। তারা উভয়ে এক সাথে মুসলমান হন এবং একসাথে আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। অতঃপর স্বামীর মৃত্যুতে তিনি মক্কায় ফিরে আসেন। এসময় এই নিরাশ্রয়, নিঃসহায় মহিলাটির অবস্থা চরম শোচনীয় হয়েছিল।
বিবি সওদার যৌবণ অতিক্রান্ত হয়েছিল। তিনি মুহম্মদের খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘হযরত বিবাহ করার সাধ আমার নেই। তবে আমি কেয়ামতে আপনার সহধর্মিনীরূপে উত্থিত হবার বাসনা করি।’
মুহম্মদ তাকে স্ত্রীরূপে বরণ করে নিলেন। নবু্য়্যতের দশম বৎসরের শাওল মাসে এই বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এসময় বিবি সওদার বয়স ছিল ৫৫ বৎসর।
বিবি আয়েশা: বিবি সওদাকে বিবাহ করার কিছুদিন পর মুহম্মদ আবু বকরের কন্যা আয়েশাকে বিবাহ করেছিলেন। আবু বকরের সাধ ছিল তিনি আল্লাহর রসূলের সাথে রক্তের সম্পর্ক স্থাপন করেন। তাই তিনি বিবাহের বয়স না হলেও তার কন্যা আয়েশাকে পত্নীরূপে গ্রহণ করতে মুহম্মদকে অনুরোধ করেন।আবু বকরের এ প্রত্যাশা যুক্তিযুক্ত। ইসলামের জন্যে তিনি প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আর তাই মুহম্মদ তার এ বাসনা পূর্ণ করে তাকে এ জগতে এবং পরকালে যথাযোগ্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন। এসময় আয়েশার বয়স ছিল ৯ বৎসর। প্রকৃতপক্ষে তার বয়স ৬ না ৯ বৎসর তা বিতর্কিত। বস্তুত: হাদিসের কোন কোন বইতে বিবি আয়েশা তার বয়স ৬, আবার কোথাও ৬ বা ৭ বৎসর বলে উল্লেখ করেছেন।
বিবাহের তিন বৎসর পর আয়েশা স্বামীর ঘর করতে আসেন। মুহম্মদ এ সময় মদিনাতে হিজরত করেছিলেন। বিবাহের বাসর মদিনাতে উৎযাপিত হয়। বয়োবৃদ্ধ বিবি সওদা ঐ সময় নিজের দাম্পত্যাধিকার আয়েশাকে দান করেছিলেন।
৫৭ হিজরীতে বিবি আয়েশা মারা যান। মুয়াবিয়ার নিয়োগকৃত মদিনার আমীর আল ওয়ালিদ বিন ওৎবার নির্দেশে আবু হুরায়রা তার জানাজার নামাজ পড়ান। তাকে জান্নাতুল বাকীতে সমাহিত করা হয়।
বিবি হাবসা: প্রকৃত নাম হাফসা বিনতে ওমর। তার স্বামী খুনাইস ইবনে হুদাইফা বদর যুদ্ধে নিহত হন। তার বয়স আয়েশার কাছাকাছি। হযরত ওমর তার এই বিধবা কন্যাকে বিবাহের জন্যে ওসমানকে প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওসমান প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিলে তিনি আবু বকরকে প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু বকরও প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন কেননা হাবসা ছিলেন মুখরা। এতে ওমর অপমানিত বোধ করেন এবং খোলা তরবারী হাতে বেরিয়ে আসেন। এই বিবাদের সুষ্ঠ ফয়সালা করতে মুহম্মদ হাবসাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। হিজরী ৩য় সনে এই বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। বিবাহের পর সমবয়সী হওয়ায় আয়েশা ও হাবসার মধ্যে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
এই প্রকৃত ঘটনা। কিন্তু আনেকেই আমার সঙ্গে একমত হবেন না জানি। তাই বাড়তি কিছু যোগ করতে হল। ওসমান ওমরের প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন কারণ মুহ্ম্মদ তাকে ঐ বিবাহ করার অনুমতি দেননি। এতে মুহম্মদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী আবু বকর ধারনা করেন রসূলূল্লাহ নিজেই তাকে বিবাহ করতে চান। এ কারণে ওমর তাকে প্রস্তাব দিলে তিনিও তা ফিরিয়ে দেন। যাইহোক, হাবসার বিবাহের পর আবু বকর ওমরকে তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেবার কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন হাবসাকে বসূলূল্লাহর বিবাহ করার ইচ্ছে দেখেই তিনি ঐ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন নি। কিন্তু এটা যে তার অনুমান একথা না বলাতে অমুসলিমগণ রসূলুল্লাহর এই বিবাহ নিয়ে কটাক্ষ্ করে থাকে।
বিবি জয়নব: তার
পূর্ণ নাম জয়নব বিনতে খোজাইমা। বদর যুদ্ধে তার স্বামী ওবায়দা বিন আল হারিস আহত হন এবং পরে মারা যান। এসময় তার বয়স ছিল আয়েশা ও হাবসার কাছাকাছি। তিনি অসম্ভব দয়ালূ ছিলেন দরিদ্রদের প্রতি। এ কারণে তাকে 'উম্মূল মাসাকিন' বা 'দরিদ্রের মাতা' বলা হত। ইদ্দত শেষে মুহম্মদ তাকে বিবাহ করেন। ৪র্থ হিজরীতে এই বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিবাহের আট মাস পরে সামান্য অসুখে তিনি মারা যান।
উম্মে সালমা: তার পূর্ণ নাম হিন্দ বিনতে আবি উমাইয়া। তার স্বামী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল আসাদ ওহোদ যুদ্ধে আহত ও পরে মারা যান। এসময় গর্ভবতী অবস্থায় ৩টি ছোট ছোট সন্তান নিয়ে তিনি বেশ বিপদে পড়েন। ইদ্দত শেষে সালমাকে বিবাহের জন্যে আবু বকর ও ওমর প্রস্তাব দেন। কিন্তু সালমা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে মুহম্মদ প্রস্তাব দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন। মুহম্মদের সঙ্গে বিবাহের সময় তার বয়স ছিল ২৯। মুহম্মদের সকল স্ত্রীদের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বাপেক্ষা রুপবতী এবং সকলের অপেক্ষা অধিক আয়ূ প্রাপ্ত। ৮৪ বৎসর বয়সে তিনি মারা যান।
বিবি জয়নব: হিজরী ৫ম সনের শেষভাগে মুহম্মদ জয়নব বিনতে জহসকে বিবাহ করেন। তার পূর্ব নাম ছিল বার্রা (বার্রা- অর্থ সৎ কর্মপরায়ণ। তার জন্মের পর পিতামাতা শখ করে এই নাম রেখেছিলেন। অতঃপর ‘.. তোমরা নিজেদের পবিত্রতা দাবী কোরও না।’-(৩৩:৫৩) আয়াত নাযিল হওয়ার পর মুহম্মদ কারও এই ধরণের নাম রাখতে নিষেধ করেন যাতে নিজের বিষয়ে এমন দাবী করা হবে যা হয়তঃ তারা নয়। বার্রা- এই নামে সৎ হওয়ার দাবী রয়েছে। সুতরাং তার নাম পরিবর্তণ করে জয়নব রাখা হয়)।
মুহম্মদ তার এই ফুফাত বোন জয়নবের সাথে মুক্তদাস জায়েদের বিবাহ দিয়েছিলেন। তিনি যখন জায়েদের সঙ্গে জয়নবের এই বিবাহের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন তখন জয়নব ও তার ভ্রাতা আব্দুল্লাহ ইবনে জহস এই সম্বন্ধ স্থাপনে ‘আমরা বংশ-মর্যাদায় তার চাইতে শ্রেষ্ঠ ও উন্নত।’ -এই বলে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছিলেন। তখন মুহম্মদ তাদেরকে বিবাহে রাজী হতে নির্দেশ দিলেন। কিন্তু তারা এই নির্দেশও উপেক্ষা করলেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হল-আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে-সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।-(৩৩:৩৬) জয়নব ও তার ভ্রাতা এ আয়াত শুনে তাদের অসম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়ে বিবাহে রাজী হয়েছিলেন।
বিবাহ হলেও অত্যন্ত সুন্দরী, সম্ভ্রান্ত ও সম্পদশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা জয়নব মুক্ত ক্রীতদাস স্বামী জায়েদকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেননি। তাছাড়া মুহম্মদের সহধর্মিনী হবার সাধ তার পূর্ব হতেই ছিল। তিনি প্রায়শঃ জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে জয়েদকে তুচ্ছ প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে বলতেন যে, এমনকি হযরতও তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছেন। (মুহম্মদ জায়েদের বাড়ীতে কোন একবার জয়নবের অনাবৃত মুখ দর্শণ করে স্বাভাবিক প্রশংসায় বলেছিলেন, ‘হৃদয়ের অধিপতি আল্লাহর জন্যে সর্ববিধ প্রশংসা।’) তিনি এটা করতেন এমনভাবে, যা শুধুমাত্র নারীরাই জানে কিভাবে তা করতে হয় এবং স্বাভাবিকভাবে তা জায়েদের মনঃস্তাপ বৃদ্ধি করেছিল এবং এই বিতৃষ্ণা একসময় তাকে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্ররোচিত করল।
জায়েদ তাকে পরিত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন এবং মুহম্মদের কাছে তা প্রকাশ করলেন। এতে মুহম্মদ তাকে বললেন, ‘তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছে থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর।’
জায়েদ জয়নবের বিরুদ্ধে ভাষাগত শ্রেষ্ঠত্ব, গোত্রগত কৌলিন্যাভিমান এবং আনুগত্য ও শৈথিল্য প্রদর্শণের অভিযোগ উত্থাপন করলেন এবং মুহম্মদের নিষেধ সত্ত্বেও তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন না। মুহম্মদ এতে দুঃখিত হয়েছিলেন, কারণ তিনিই এই বিবাহ-বন্ধনের আয়োজন করেছিলেন।
এদিকে তালাক সংগ্রহের পর জয়নব মুহম্মদকে তাকে বিবাহ করার জন্যে সানুনয় অনুরোধ চালিয়ে যেতে থাকলেন। তখন তাকে বিবাহ করার বাসনা মনে জাগলেও মুহম্মদ দ্বিধা-দ্বন্ধে ছিলেন লোকনিন্দার ভয়ে, এই ভেবে- এ বিয়ে বৈধ না অবৈধ হবে। অতঃপর নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হবার পর তিনি জয়নবকে বিবাহ করেন। এই বিবাহের পরও জায়েদ এবং মুহম্মদের মধ্যে শুরু-শিষ্য সম্পর্কের সামান্যতম অবনতি ঘটেনি। এই ঘটনা সংক্রান্ত কোরআনের আয়াতসমূহ-
আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তুমিও যাকে অনুগ্রহ করেছ; তাকে যখন তুমি বলেছিলে, ‘তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছে থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর।’
তুমি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলে, যা আল্লাহ প্রকাশ করে দেবেন। তুমি লোকনিন্দার ভয় করছিলে, অথচ আল্লাহকে ভয় করা উচিৎ।-(৩৩:৩৭)
‘তুমি যে স্ত্রীকে মায়ের মত বলে বর্জন কর আল্লাহ তাকে সত্যিই তোমার মা করেননি, অথবা যাকে তুমি আপন পুত্র বলে ঘোষণা কর, তাকে তোমার প্রকৃত পুত্র করেননি, এ সমস্ত তোমার মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শণ করেন। পালিত পুত্ররা তাদের আপন পিতার নামে পরিচিত হোক এ-ই আল্লাহর কাছে অধিকতর ন্যায়সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ পরিচয় না জান তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যূতি হলে গোনাহ নেই তবে ইচ্ছেকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’-(৩৩:৪-৫)
তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়, তুমি তার অনুসরণ কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।(৩৩:২) আল্লাহ নবীর জন্যে যা নির্ধারণ করেন তাতে তার কোন বাঁধা নেই। পূর্ববর্তী নবীদের ক্ষেত্রে এটাই ছিল আল্লাহর চিরাচরিত বিধান। আল্লাহর আদেশ নির্ধারিত, অবধারিত।-(৩৩:৩৮)
এই বিবাহ পৌত্তলিকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। তারা বিমাতা ও শাশুড়ীকে বিবাহ করত। কিন্তু দত্তক পিতা কর্তৃক দত্তক পুত্রের বিবর্জিত স্ত্রীকে বিবাহ করাকে নিন্দনীয় কাজ হিসেবে দেখত। কোরআনের নীচের এই আয়াত নাযিল হবার পর এই ভ্রম নিরসন করে। ‘কিন্তু জায়েদ যখন জয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে তোমার স্ত্রীরূপে দান করলাম, যাতে পালিত পুত্রের স্ত্রীদের বিবাহ করা সম্বন্ধে বিশ্বাসীদের মনে কোনরূপ খটকা না লাগে?’ -(৩৩:৩৭)
বিবি জুওয়াইরিয়া: বনি মুস্তালিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মুসলমানদের অভিযান সম্পূর্ণরূপে সফল হল। এই যুদ্ধে বেশ কয়েকজনকে বন্দী করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ছিলেন মুস্তালিক গোত্র প্রধান হারিস বিন আবু দিদার এর কন্যা জুওয়াইরিয়া।
গণিমতের বন্টনে জুওয়াইরিয়া, সাবেত ইবনে কায়েসের ভাগে পড়লেন। তখন তিনি কায়েসের সঙ্গে একটি কিতাবতের (নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া) চুক্তি করলেন। এতে কায়েস তার জন্যে একটি মোটা অঙ্কের অর্থ (৯ উকিয়া স্বর্ণ) নির্ধারণ করলেন, যা পরিশোধ করা সহজ সাধ্য ছিল না। তখন তিনি মুহম্মদের কাছে এই অর্থের জন্যে আবেদন করলেন তার স্বাধীনতা ফিরে পাবার জন্যে। তৎক্ষণাৎ তার আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেল।
আবেদন মঞ্জুর হওয়াতে জুওয়াইরিয়া অভিভূত হয়ে পড়লেন। অতঃপর এই করুণার স্বীকৃতি ও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ হিসেবে তিনি তৎক্ষণাৎ নিজেকে মুসলমান হিসেবে ঘোষণা দিলেন। সাথে সাথে তিনি মুহম্মদকে বিবাহ করারও প্রস্তাব পেশ করলেন। এসময় মুস্তালিক গোত্রপ্রধান কন্যাকে ফিরিয়ে নেবার আবেদন নিয়ে মুহম্মদের দরবারে হাযির হলেন। মুহম্মদ তাকে বললেন, ‘আপনি আপনার কন্যাকে জিজ্ঞেস করুন, তার মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অতঃপর হারিস কন্যার অভিমত জানতে চাইলে তিনি (কন্যা) বললেন, ‘আমি মুসলমান হয়েছি সুতরাং রসূলুল্লাহর আশ্রয় ছেড়ে অন্য কোথাও যাব না।’
মুহম্মদ তার অভিমত জানতে পেরে তাকে বিবাহ করে স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন।
মুসলমানেরা এই সম্বন্ধের খবর জানতে পেয়ে বলল, ‘বনি মুস্তালিকগণ এখন রসূলুল্লাহের আত্মীয় এবং আমরা তাদের সাথে তদ্রুপ আচরণ করব।’
অতঃপর প্রত্যেক বিজয়ী তৎক্ষণাৎ তাদের বন্দীদের মুক্তি প্রদান করল। সকলে স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে এই বিবাহকে মুবারকবাদ জানাল।
মুসলমানেরা এই সম্বন্ধের খবর জানতে পেয়ে বলল, ‘বনি মুস্তালিকগণ এখন রসূলুল্লাহের আত্মীয় এবং আমরা তাদের সাথে তদ্রুপ আচরণ করব।’
অতঃপর প্রত্যেক বিজয়ী তৎক্ষণাৎ তাদের বন্দীদের মুক্তি প্রদান করল। সকলে স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে এই বিবাহকে মুবারকবাদ জানাল।
বিবি রায়হানা: প্রকৃত নাম রায়হানা বিনতে যায়েদ ইবনে আমর। ইহুদি গোত্র বনি কুরাইজা অঙ্গীকৃত চুক্তি ভঙ্গ করায় মুসলিম বাহিনী তাদের অবরোধ করে। অত:পর তারা আত্মসমর্পণ করে একটি মাত্র শর্তের বিনিময়ে যে তাদের বিচারের ভার আওস গোত্রের প্রধান সা’দ বিন মু'আজের উপর নির্ভর করতে হবে। নবীজী তাদের দাবী মেনে নেন।
সা’দের সঙ্গে কুরাইজা গোত্রের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্থতা ও সূ-সম্পর্ক ছিল। ইহুদি এই গোত্রটি মুহম্মদ ও মুসলিমদের বিচার প্রত্যাশি নয় জেনে সা’দ যুক্তিসংগতভাবে তাদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বিধান অনুসারে তাদের বিচার করেন।
তাওরাতের বিধান অনুসারে কুরাইজা গোত্রের পুরুষদেরকে হত্যা করা হয় এবং নারীদেরকে দাসদাসী হিসেবে মুসলিমদের মাঝে বন্টন করা হয়। এই বন্টনে তরুনী রায়হানা মুহম্মদের ভাগে পড়ে। তিনি ছিলেন বনি নাজির গোত্রের কন্যা, কিন্তু বিবাহ সূত্রে বনি কুরাইজা গোত্রভুক্ত হয়েছিলেন।
মসজিদে নব্বী সংলগ্ন জান্নাতুল বাকী। |
কিন্তু বিবাহের পর হিজাব পরিধানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করায় নবীজীর সঙ্গে আবারও তার বিরোধের সুত্রপাত হয়। কেউ কেউ বলেন, নবীজী তাকে ডিভোর্স দেন আর তিনি তার আত্মীয়বর্গের মাঝে ফিরে যান। আবার কেউ কেউ বলেন, পরবর্তীতে তিনি নবীজীর দাসী হিসেবেই নবীজীর মৃত্যুর বৎসর খানেক আগে মারা যান এবং তাকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
বিবি সফিয়া: মদিনা থেকে বিতাড়িত ইহুদিরা তাদের স্বগোত্রীয় লোকদের কাছে খায়বরে আশ্রয় নিয়েছিল। খায়বর শব্দের অর্থ সুরক্ষিত স্থান। এখানে অনেকগুলি সুরক্ষিত দূর্গ ছিল যাদের মধ্যে 'আল কামুস' ছিল প্রধান।
খায়বরের ইহুদিরা পূর্ব থেকেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ও দুর্দমনীয় বিদ্বেষ পোষণ করত এবং তাদের স্বগোত্রীয় লোকদের আগমনে এই অনুভূতি একটি প্রবল শক্তিতে রূপান্তরিত হল। তারা একটি প্রাচীন চুক্তির মাধ্যমে বনি গাতাফানদের বেদুইন দল ও অন্যান্য গোত্রের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হল এবং মুসলমানদের ধ্বংস সাধনের নিমিত্তে একটি সম্মিলিত দল গঠনের চেষ্টা চালাতে লাগল।
খায়বর দূর্গ। |
সুতরাং হুদাইবিয়া থেকে ফিরে আসার কয়েক সপ্তাহ পরে, ৭ম হিজরীর মুহররম মাসের প্রথমদিকে চৌদ্দশত সৈন্যের এক বাহিনী খায়বরের বিরুদ্ধে প্রেরিত হল।
মুসলমানরা ইহুদিদের কাছে সন্ধির শর্তাদি প্রদান করল। কিন্তু তারা তা অস্বীকার করল। ফলে, অবরোধ আরোপ করা হল এবং তাদের প্রবল বাঁধা সত্ত্বেও একটির পর একটি দূর্গের পতন হতে লাগল। আল কামুস দূর্গটি ছিল সর্বাপেক্ষা দুর্ভেদ্য। অবশেষে তারও পতন হল। অতঃপর ইহুদিরা ক্ষমাপ্রার্থনা করল।
মুহম্মদ ছিলেন কোমলমতি, অত্যন্ত ক্ষমাশীল এবং দয়ালু। সুতরাং ইহুদিরা ক্ষমা পেল। মুহম্মদ তাদেরকে তাদের জমি জমা ও স্থাবর সম্পত্তি ভোগ-দখলের নিশ্চয়তা প্রদান করলেন (সদাচরনের উপর) এবং একই সঙ্গে তাদের নিজস্ব ধর্ম পালনেরও স্বাধীনতা দিলেন। কিন্তু যেহেতু তারা নিয়মিত করসমূহ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে, কাজেই এখন থেকে প্রজাতন্ত্রের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা ভোগের জন্যে তিনি তাদের উপর প্রজাতন্ত্র কর আরোপ করলেন- এই করের পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছিল উৎপন্ন শস্যের অর্ধেক।
যাইহোক, মারাত্মক কিছু অপরাধ সংঘটিত করার কারণে কামুস দূর্গের অধিপতি কেনানা, কেনানা ইবনে আল রবির প্রাণদন্ড দেয়া হয়েছিল। তার স্ত্রী সফিয়া, পূর্ণ নাম সফিয়া বিনতে হুয়াইয়া বিন আখতাব। তার অপূর্ব দৈহিক সৌন্দর্য্যের খ্যাতি ছড়িয়ে ছিল তার গোত্র মাঝে। খায়বর যুদ্ধের গনিমতের বন্টনে সে দেহয়ার ভাগে পড়েছিল, কেননা সেই তাকে বন্দী করেছিল। এতে সাহাবীরা মুহম্মদকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি-সফিয়া একজন গোত্রপতির কন্যা। এ কথা জানতে পেরে মুহম্মদ দেহয়াকে বন্দীদের মধ্যে থেকে যে কোন একজনকে বেঁছে নিতে বলেন এবং সফিয়ার কাছে দু'টি বিকল্প প্রস্তাব পেশ করেন-
-তিনি স্বসন্মানে স্বাধীন ভাবে নিজ গোত্র মাঝে ফিরে যেতে পারেন, অথবা,
-মুসলমান হিসেবে মদিনাতে বসবাস করতে পারেন।
সফিয়া আল্লাহ ও তার রসূলকে বেঁছে নেন। এইসময় তার বয়স ছিল সতের বৎসর। পূর্ব থেকেই তিনি ইসলামের প্রতি অনুরাগিনী ছিলেন। মুহম্মদের অসাধারণ ব্যক্তিত্বের খ্যাতি তাকে মুগ্ধ করেছিল। তাই তিনি ইসলাম গ্রহণ করে তার সহধর্মিনী হবার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন। মুহম্মদ তার এই আকাঙ্খা অপূর্ণ রাখেননি, তিনি তাকে বিবাহ করেছিলেন।আর তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, এই বিবাহ বনি নাজিরদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করবে। যাহোক, বিবাহের পর প্রায় সমবয়সী আয়েশা ও হাবসার সঙ্গে সফিয়ার সখ্যতা গড়ে উঠেছিল।
মুহম্মদ ছিলেন কোমলমতি, অত্যন্ত ক্ষমাশীল এবং দয়ালু। সুতরাং ইহুদিরা ক্ষমা পেল। মুহম্মদ তাদেরকে তাদের জমি জমা ও স্থাবর সম্পত্তি ভোগ-দখলের নিশ্চয়তা প্রদান করলেন (সদাচরনের উপর) এবং একই সঙ্গে তাদের নিজস্ব ধর্ম পালনেরও স্বাধীনতা দিলেন। কিন্তু যেহেতু তারা নিয়মিত করসমূহ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে, কাজেই এখন থেকে প্রজাতন্ত্রের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা ভোগের জন্যে তিনি তাদের উপর প্রজাতন্ত্র কর আরোপ করলেন- এই করের পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছিল উৎপন্ন শস্যের অর্ধেক।
যাইহোক, মারাত্মক কিছু অপরাধ সংঘটিত করার কারণে কামুস দূর্গের অধিপতি কেনানা, কেনানা ইবনে আল রবির প্রাণদন্ড দেয়া হয়েছিল। তার স্ত্রী সফিয়া, পূর্ণ নাম সফিয়া বিনতে হুয়াইয়া বিন আখতাব। তার অপূর্ব দৈহিক সৌন্দর্য্যের খ্যাতি ছড়িয়ে ছিল তার গোত্র মাঝে। খায়বর যুদ্ধের গনিমতের বন্টনে সে দেহয়ার ভাগে পড়েছিল, কেননা সেই তাকে বন্দী করেছিল। এতে সাহাবীরা মুহম্মদকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি-সফিয়া একজন গোত্রপতির কন্যা। এ কথা জানতে পেরে মুহম্মদ দেহয়াকে বন্দীদের মধ্যে থেকে যে কোন একজনকে বেঁছে নিতে বলেন এবং সফিয়ার কাছে দু'টি বিকল্প প্রস্তাব পেশ করেন-
-তিনি স্বসন্মানে স্বাধীন ভাবে নিজ গোত্র মাঝে ফিরে যেতে পারেন, অথবা,
-মুসলমান হিসেবে মদিনাতে বসবাস করতে পারেন।
সফিয়া আল্লাহ ও তার রসূলকে বেঁছে নেন। এইসময় তার বয়স ছিল সতের বৎসর। পূর্ব থেকেই তিনি ইসলামের প্রতি অনুরাগিনী ছিলেন। মুহম্মদের অসাধারণ ব্যক্তিত্বের খ্যাতি তাকে মুগ্ধ করেছিল। তাই তিনি ইসলাম গ্রহণ করে তার সহধর্মিনী হবার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন। মুহম্মদ তার এই আকাঙ্খা অপূর্ণ রাখেননি, তিনি তাকে বিবাহ করেছিলেন।আর তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, এই বিবাহ বনি নাজিরদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করবে। যাহোক, বিবাহের পর প্রায় সমবয়সী আয়েশা ও হাবসার সঙ্গে সফিয়ার সখ্যতা গড়ে উঠেছিল।
উল্লেখ্য- মুহম্মদের স্ত্রীদের কেউ কেউ প্রায়শ: সফিয়াকে টিজ করতেন তার ইহুদি বংশোদ্ভূততার কারণে। অনেকেই সন্দেহ পোষণ করতেন ইসলামের প্রতি তার আনুগত্য নিয়ে। অনেকে আবার এমন সন্দেহ পোষণ করতেন যে, তিনি হয়ত: তার পরিবারবর্গের হত্যাজনিত কারণে প্রতিশোধ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন। এসব কানাকানি শুনতে পেয়ে মুহম্মদ বা ওমর খুবই অসন্তুষ্ট হন এবং এ ধরণের অমূলক সন্দেহকে উড়িয়ে দিয়ে তার আনুগত্য নিশ্চিত করেন। সফিয়া নবী হারুণের বংশধর ছিলেন। আর তাই তার ইহুদি বংশোদ্ভূততার বিষয়ে মুহম্মদ একদা তাকে বলেন- "কেউ পুনরায় তোমাকে অপদস্থ করলে তাকে শুনিয়ে দিও- 'আমার স্বামী মুহম্মদ, পিতা নবী হারুণ এবং চাচা নবী মূসা। সুতরাং আমার অবস্থান অন্য সকলের চেয়ে শ্রেয়তর'।"
সফিয়া, ৬৭০ বা ৬৭২ সনে মুয়াবিয়ার শাসনামলে মারা যান এবং তাকে জান্নতুল বাকীতে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি লক্ষাধিক দিরহাম মূল্যমানের ভূ-সম্পত্তি ও সম্পদ রেখে যান। এই সম্পদের এক তৃতীয়াংশ তিনি ইহুদি ধর্মালম্বী তার ভগ্নির পুত্রকে ওসিয়ত করে যান। আর তার মদিনার বাসস্থান মুয়াবিয়া এক লক্ষ আশি হাজার দিরহামে কিনে নেন।
বিবি মেরী: মুহম্মদ তার প্রচারিত ধর্ম সর্বমানবের কাছে পৌঁছিবে-যে উদার বাসনা দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তার অনুসরণে তিনি প্রতিবেশী রাজন্যবর্গ ও তাদের প্রজাকূলকে সত্যধর্ম ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিয়ে কতিপয় দূত প্রেরণ করেছিলেন। এইসব রাজন্যবর্গের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গ্রীকসম্রাট হেরাক্লিয়াস, পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজ ও মিসরের রোমান শাসনকর্তা মুকাউকিস। মুকাউকিস বিনয় নম্র ভাষায় মুহম্মদের পত্রের উত্তর দিয়েছিলেন এবং ইসলাম গ্রহণ ও বশ্যতার নিদর্শণস্বরূপ তার কাছে মেরী ও শিরী নাম্নী-দু‘জন খ্রীষ্টান কন্যা ও একটি দুষ্প্রাপ্য শ্বেতবর্ণের অশ্ব উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। মুহম্মদ এই উপহার প্রত্যাখ্যান করেননি। তিনি নিজে মেরীকে বিবাহ করেন এবং শিরীকে কবি হাসসানের সাথে বিবাহ দেন।
Muhammad sent a letter to Muqawqis, summoning him to Islam, was answered evasively; but with his answer the ruler of Egypt sent a rich present of a thousand measures of gold, twenty robes of fine cloth, a mule, a she-ass and, as the crown of the gift, two Coptic Christian slave girls escorted by an elderly eunuch. The girls were sisters, Mary and Shirin, and both were beautiful, but Mary was exceptionally so, and the Prophet marvelled at her beauty. He gave Shirin to Hassan ibn Thabit, and lodged Mary in the nearby house where Safiyyah had lived before. - Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources, LXXI/277-278.
In this year Hātib b. Abi Balta'ah came back from al-Muqawqis bringing Māry and her sister Shīrīn, his female mule Duldul, his donkey Ya'fūr, and sets of garments. With the two women al-Muqawqis had sent a eununch, and the latter stayed with them. Hātib had invited them to become Muslims before he arrived with them, and Māry and her sister did so. The Messenger of God lodged them with Umm Sulaym bt. Milhān. Māry was beautiful. The Prophet sent her sister Shīrīn to Hassān b. Thābit and she bore him 'Abd al-Rahmān b. Hassān. -History of the Prophets and Kings.
যাহোক, মুহম্মদের সঙ্গে মেরীর বিবাহ নিয়ে বিতর্ক করেন অনেকে। তবে যারা বিতর্ক করেন, তাদের কেউই মুহম্মদ যে মেরীকে বিবাহ করেননি, তার স্বপক্ষে কোন যুক্তি বা প্রমান উপস্থাপন করতে পারেননি।তারা কেবল নিম্ন বর্ণিত তথ্য উপস্থাপন করেন, এটা ভুলে যান যে,মুসলিম বিবাহে অনুষ্ঠানিকতা অবশ্যিক নয়, শুধু কলেমা দ্বারা আল্লাহকে সাক্ষী রেখেই বিবাহ করা যায়। যাহোক তাদের তথ্যগুলো এবার আমরা দেখি-
ক)- বসুলুল্লাহ মেরী আল কিবতীকে বিবাহ করেননি বরং তিনি তার রক্ষিতা/উপপত্নী ছিলেন। তাকে মিসরের শাসক আল মুকাউকিস উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। এ ঘটনা হুদাইবিয়ার সন্ধির পর। মেরী আল কিবতী খৃষ্টান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মুসলমান হন।-The Life of Prophet.
খ)- আল্লাহর রসূল তাকে আশ্রয় দেন- অর্থাৎ মেরী আল কিবতী ও তার বোনকে উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান-এর সাথে থাকতে দেন।পরে রসূলুল্লাহ তাদের কাছে আসেন এবং তাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে বলেন। তিনি মেরীকে রক্ষিতা হিসেবে নেন এবং তাকে তার আল আওয়ালীর সম্পত্তিতে বসবাস করতে দেন। ..তিনি একজন ভাল মুসলিমে পরিণত হন।-al-Tabaqat al-Kubra, 1/134-135.
গ)- মহানবীর চারজন রক্ষিতা ছিলেন, যাদের একজন হচ্ছেন মেরী।-Ibn al-Qayyim, Biography.
ঘ)- আবু ওবায়দা বলেন: তার চারজন রক্ষিতা ছিল- মেরী, যিনি ছিলেন তার পুত্রসন্তান ইব্রাহিমের মাতা; রায়হানা; আরেকজন সুন্দরী দাসী রমনী যাকে তিনি যুদ্ধবন্দী হিসেবে পেয়েছিলেন; এবং আর একজন দাসী রমনী যাকে জয়নব বিনতে জহস তাকে দিয়েছিলেন।-Zad al-Ma'ad,1/114.
মসজিদে নব্বীকে বেষ্টন করে তৈরী হুজরা |
মেরীর গর্ভেই মুহম্মদের ৪র্থ পুত্র ইব্রাহিম জন্মগ্রহণ করে। ইব্রাহিম ১৭/১৮ মাস বয়সের সময় মারা যায়। অশ্বটির নাম ছিল দুলদুল। তিনি প্রায়ই এতে সওয়ার হয়ে ঘুরে বেড়াতেন। তার মৃত্যুর পর ইমাম হোসেন এটিকে ব্যাবহার করতেন।
১৬ হিজরীর মুহররম মাসে খলিফা ওমর-এর শাসনামলে মেরী মারা যান। খলিফা ওমর তার জানাজার নামাজ পড়ান। তাকে আল বাকীতে সমাহিত করা হয়।-Al-Isti'aab, 4/1912.
উম্মে হাবিবা: মক্কার কুরাইশদের অত্যাচারের কারণে মুসলমানদের দু'টি দল আবিসিনিয়ায় হিজরত করে এবং সেখানকার মহানুভব খৃষ্টান শাসক নাজ্জাসী তাদেরকে আশ্রয় দেন। মদিনাতে হিজরতের পর মুহম্মদ নাজ্জাসীর কাছে একটি পত্র দিয়েছিলেন। এতে সেখানে প্রবাসী মুসলমানদের পাঠিয়ে দেবার অনুরোধ ছিল। নাজ্জাসী মুহম্মদের এই অনুরোধ রক্ষা করেছিলেন।
প্রত্যাবর্তনকারী মুসলিম নরনারীদের মধ্যে আবু সুফিয়ানের কন্যা উম্মে হাবিবাও ছিলেন। আবিসিনিয়ায় তার স্বামী ওবায়দুল্লাহর মৃত্যুতে তিনি নিরাশ্রয় হয়ে পড়েন। এই ওবায়দুল্লা, ওবায়দুল্লা ইবনে জহস ছিলেন মুহম্মদের ম্ত্রী জয়নব বিনতে জহসের ভ্রাতা।
নবীজীর বিবাহ ও দাম্পত্যকাল। |
বিবি মায়মুনা: হিজরী সপ্তমবর্ষের শেষের দিকে (৬৩০ খৃষ্টাব্দ) ওমরা হজ্জ্ব পালনের জন্যে প্রায় দুই হাজার শিষ্যবৃন্দ সঙ্গে নিয়ে মুহম্মদ মক্কায় উপস্থিত হলেন। এই তীর্থযাত্রীদেরকে কুরাইশদের কিছু বলার ছিল না। যে তিনদিন ধরে উৎসব চলেছিল তারা নগর খালি করে দিয়েছিল এবং প্রতিবেশীর অট্টালিকার ছাদ থেকে তারা ভীষণ কৌতুহল নিয়ে মুসলমানদের হজ্জ্ববিধি পালন দেখেছিল।
নবীপত্নীদের সমাধি |
এই বিবাহের ফলে এবং যে আত্মসংযম ও অঙ্গীকৃত নীতির প্রতি বিবেকসম্পন্ন শ্রদ্ধাবোধ মুসলমানেরা দেখিয়েছিল তা ইসলামের শত্রুদের মধ্যে দৃশ্যতঃ বিশ্বাস সৃষ্টি এবং তাদের অনেককে ইসলাম গ্রহণে উৎসাহিত করেছিল। এসময় ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা ছিলেন আমর ইবনে আ‘স (আম্রত), খালিদ বিন ওয়ালিদ (মায়মুনার ভগ্নির পুত্র) যিনি ওহোদ যুদ্ধে কুরাইশদের অশ্বারোহী সৈন্য পরিচালনা করেছিলেন এবং ওসমান বিন তালহা। এরা অপ্রত্যাশিতভাবে মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহণ করেন।
সমাপ্ত।
ছবি: Wikipedia, muslim-academy, factsanddetails.
উৎস:
# # One of my reader said to me, -"So, Muhammad was a Paedophilic, what do you say?
I said, "you are an idolater, right?"
"How do you know"
"Because", I said, "Never a Jews or a Christian say so unless he is a knowledgeless stupid, as the Pedophilia that what we modern people means today, is deeply rooted to them. Their sacred text Talmud/Mishna teaches-"A girl three years and one day old is betrothed by intercourse."
Actually, it was normal in those days but an issue only in the 20th century. Even in the 19th century, a girl considered as ‘woman’ at the time she hits puberty.
Bible (Old Testament ie Torah) says- "Now therefore kill every male among the little ones (taph), and kill every woman that hath known man by lying with him. But all the female children (taph), that have not known a man by lying with him, keep alive for yourselves. -[Num. 31:17-18]
And on commenting on this verses, Professor Shaye J. D. Cohen says- “Moses enjoins upon the returning warriors to kill their Midianite female captives who have lain with a man, but ‘spare for yourselves every young woman who has not had carnal relations with a man’; We may be sure that`for yourselves' means that the warriors may 'use' their virgin captives sexuality. The law in numbers differs from the law in Deuteronomy- perhaps the most significant distinction is that the law in Deuteronomy does not care whether the captive is a virgin or not- but it too permits Israelite warrior to marry (or ‘marry) a foreign woman........... I do not know why the new Jewish version omits ‘for yourselves’; the Hebrew lakhem is unambiguous. That the intent of ‘for yourselves’ is sexual or matrimonial is obvious; the passage is correctly understood by Rabbi Simeon Yohai in the Sifrei ad loc (177 212H).” -[Shaye J. D. Cohen,The Beginnings of Jewishness: Boundaries, Varieties, Uncertainties, ch. 8, p. 255–256]
And on the Commentary (verse 18), Kretzmann says- “But all the women children that have not known a man by lying with him keep alive for yourselves, as slaves or handmaids, for marriage with such was not forbidden. The great God is terrible in His judgments, a fact which should teach us to fear His wrath and not act contrary to His commandments.” -[Paul E. Kretzmann, Bible Commentary, http://www.kretzmannproject .org /pent/num/ num_31.htm]
And McKinlay commenting on the same verse as- “Where the texts have a concern for the circumcised status, this clearly does not apply to women! And where there is a concern for lineage the importance of patrilineal descent meant a lesser concern regarding the potential mothers. So, in the war against Midian, Moses says to the people that of the captured Midian women, ‘all the young women who have not known a man by sleeping with him, keep alive for yourselves’. At times it seems as if the Bible wants to turn a blind eye to the matter altogether and allow free romance a freehand.”-[Judith E. McKinlay, Reframing Her: Biblical Women in Post colonial Focus, p. 27]
Then, what one may conclude? It is that the Bible encourages/sanctions pre-pubescent marriages and no doubt, Num. 31:18 referred to sexually, otherwise, what the hell the words means ‘keep alive for yourselves’? that soldiers can keep alive the female pre-pubescent for their own pleasure?
Now, for the case of Isaac's marriage, Bible says Isaac was forty years old when he took Rebeca as his wife, the daughter of Bethuel the Syrian of Padan Aram, the sister of Laban the Syrian.-[Genesis 25:20]
According to Rabbi Solomon Itzhaki (A.K.A. Rashi, the well-known Jewish Scholar), Rebecca was three years old when she married Isaac. His commentary on Genesis 25:20 says:
When Abraham came from Mount Moriah, he was informed that Rebecca had been born. Isaac was then thirty-seven years old, for at that time Sarah died, and from the time that Isaac was born until the “Binding” [of Isaac], when Sarah died, were thirty-seven years, for she was ninety years old when Isaac was born, and one hundred and twenty-seven when she died, as it is stated (Genesis 23:1): “The life of Sarah was a hundred and twenty-seven years.” This makes Isaac thirty-seven years old, and at that time, Rebecca was born. He waited for her until she would be fit for marital relations-three years-and then married her.— [Genesis Rabbah 57:1]
And on the commentary rabbi Solomon says- ‘When Abraham was come from Mount Moria, he received the joyful News of Rebecca. Isaac was at that Time Thirty seven years old; and then did Sarah die. The time, from birth of Isaac to the death of Sarah, was Thirty seven Years, And Sarah was Ninety Years old when Isaac was born; and One Hundred and Twenty Seven Years old when she died: As it is said in Gen 23:1. Sarah was one hundred and twenty-seven years old. Behold, the Age of Isaac was Thirty Seven Years, at the Time of the Birth of Rebecca. And when he had waited for her three Years, till she was fit for marriage, he took her to wife.” -[Rabbi Solomon in his comment on Genesis 31:18]
According to this Account, Rebecca was a very notable Girl at three years of age. But that a girl of three Years old is fit for marriage, is maintained very plainly in the Jewish writings; particularly, in Emek Hamelech, in the following passage,
‘our blessed sags, of blessed memory, say, that a female is not fit for marriage, ‘till she is arrived at the Age of three years and one day.’ The Talmud supports these Sages here, in the part entitled Avoda Sara. And the Sanhedrin says, A daughter, who is of the age of three years and one day, is, by being bedded with a Man, lawfully married.” -[Johann Buxtorf, Johann Andreas Eisenmenger, John Peter Stehelin, Rabinical literature: or, The traditions of the Jews, contained in their Talmud and other mystical writings.Vol. 1, p. 33– 34]
Some Christian Apologist say, “how can a three year old fetch water out of a well?” or, “a girl of that age could not do that she must be a lot older than three.” These statements do not disapprove anything. The way they make it seem, as if it is impossible for a girl to pull 1, 2 letters of water. Any three old girl could pull 1, 2 letters of water out of a well.
On commentry on The Zohar 1:136b, Daniel Chanan Matt also mention- “She was three years old when he embraced her the youngest legal age a female can be-married. See M Niddah 5:4; Seder Olam Rabbah 1; Soferim, add. 1:4 Rashi on Genesis 25:20 Tosafot, Yevamot 61b, s.v. ve-khen; sekhe; Tov, Genesis 24:14.-[The Zohar:, Volume 2, (2003) tr. by Daniel Chanan Matt, p. 264]
Commentry on Mishnah, 5:4, Jacob Neusner, an American academic scholar of Judaism. comments: "A girl three years and one day old is betrothed by intercourse. And if a Levir has had intercourse with her, he has acquired her. And they are laible on her account because of the law [Prohibiting intercourse with] a married woman. And she imparts uncleanness to him who has intercourse with her [when she is menstruating] to convey uncleanness to the lower as to the upper layer. [If] she was married to a priest, she eats heave offering. [If] one of those who are unfit [for marriage] has intercourse with her, he has rendered her unfit to marry into priesthood. [If] one of all those who are forbidden in the Torah to have intercourse with her, he is put to death on her account, but she is free of responsibility.-[The Comparative Hermeneutics of Rabbinic Judaism: Seder Tohorot. Tohorot through Uqsin, Vol. 6, p. 152]
And on Mishnah, 5:4-5, Jacob Neusner comments as: "..The girl three years and one day old is deemed capable of sexual relations,.......If the girl is less than three years and one day old, we do not regard the sexual relationship as of legal consequence. The theory is that the tokens of Virginity are restored before that time but not afterword." -[A history of the Mishnaic Law of Purities. 15. Niddah. p. 83]
Anglican Priest Herbert Danby says in his book -'the Mishnah', as: “A girl three years old and one day may be betrothed by intercourse; her deceased childless husband’s brother can acquire her by intercourse; and by connexion with her a man can be culpable by virtue of the Law of a married woman; and him that has connexion with her....’ if she married to a priest she may eat of Heave-offering; if one that is ineligible has connexion with her he renders her ineligible for marriage with a priest; if any of the forbidden degrees prescribed in the Law had connexion with her they are put to death on her account, but she is not culpable. If she is younger than this, it is as one that puts a finger in the eye.”-[The Mishnah: Explanatory notes Herbert Danby p. 750]
Edward Hendrie also echoes the same in his book -Solving the Mystery of Babylon the Great,: “Orthodox Judaism has a very permissive attitude towards sexual deviance. For example: Sanhedrin 55b: It is permitted to have sexual intercourse with a girl three years and one day old. [See also Yebamoth 57b, 60b; Abodah Zarah 37a. Kethoboth 11b:] When a grown-up man has intercourse with a little girl it is nothing, for when the girl is less than three years old it is as if one puts the finger into the eye, tears come to the eye again and again, so does virginity come back to the little girl under three years.”-[Edward Hendrie, Solving the Mystery of Babylon the Great, ch-16, p.147]
Professor Joshua A. Fogel in his book: ‘Reading Tractate Avodah Zarah of the Babylonian Talmud.’says: “The orevious daf ended with R. Yehudah ha-Nasi accepting the view of R. Chiyya that an idolater conveys the tumah of a zav from the nine years and one day (not just one day). When asked about this age, he replies that this is the age at which he is able to cohabit and thus convey the tumah of a zav. If nine seems on the young side, it’s three for girls. In other tractates of the Talmud, these ages, especially for a girl, become extremely relevant, such as in determining what constitutes rape or marriage by cohabitation; I mentioned in here only because how shockingly young it seems to my (and probably most) 21st century eyes. It is Ravina who argues for age of three for girls, rather than from birth which was put forth by Rav Nachman bar Yitzchack on the previous daf. Ravina contribution is to match age cohabitation with age of zav (or niddah) tumah capacity.” -[Joshua A. Fogel, Reading Tractate Avodah Zarah of the Babylonian Talmud, p. 84]
Robin Grille says in his -Parenting for a Peaceful World, as: “Among the ancient Hebrews, betrothal by sexual intercourse was permitted with girls aged three years and day, ....The Biblical woman and child were property, not persons. For the right to marry a pre-pubescent girl, one simply had to pay an agreed sum to her father. In India, child marriage was condemned by law until 1929, although around 80 per cent of the population was still practicing it.”-[Robin Grille, Parenting for a Peaceful World, p.35]
Mary De Young says in her -The sexual victimization of children, as: “The possession of Children by their parents was also given religious sanction in the teachings of both the Talmud and the Bible. Rush (1880) states that the Talmud teaches that a girl of ‘three years and one day’ could be betrothed through an act of sexual intercourse.” -[Mary De Young,The sexual victimization of children, p. 103]
Professor Geza Vermes, comments in his -The Changing Faces of Jesus, as : "The Mishnah, the oldest of the rabbinic codes, defines a virgin as a female who ‘has never seen blood even though she is married’ (mNiddah 1:4). The Tosefta, another early Jewish code of law, claims in the name of Rabbi Eliezer ben Hyrcanus (late first century ad) that such a woman would continue to count as a virgin even after she had conceived and borne children without prior menstruation (tNiddah 1:6)! To understand these statements, we must remember that in the InterTestamental and early rabbinic age, pre-puberty marriage was generally permitted. In fact rabbis seriously debated whether bloodstains found after the wedding night in nuptial bed of a minor, i.e. a ‘virgin in respect of menstruation’, marked her first period or the consummation of the marriage.”-[Geza Vermes, The Changing Faces of Jesus]
Do you need more?
Reverend Kathryn J. Riss, in her -Journey’s End, Removing Biblical Barriers Between Women and their Destiny, says: “The longest New Testament passage on marriage is found, not in Ephesians, but in 1 Corinthians chapter 7. In stark contrast to the legal positions and social expectations of the first century, here the rights and responsibilities of man and woman are upheld as equal. Although marriages were arranged by parents, who often espoused their pre-pubescent daughters to much OLDER MEN…” -[Rev. Kathryn J. Riss, Journey’s End: Removing Biblical Barriers Between Women and Their Destiny, p. 164]
Theological Dictionary of the Old Testament, states as: “One might counter that the expression mohar habbetulot (Ex. 22:16[17]) refers rather to the pretium virginitatis. In this case, the mohar would be compensation to the girl for the loss of her virginity. This explanation, however, is unacceptable, since it proceeds on the assumption that the term betula means ‘virgin.’ This may doubtlessly be the case in many passages, but in joel 1:8, betula thus refers to a married woman who had been ‘possessed’ by her husband (ba’al); betula thus refers to a marriageable girl who was physically able to cope with a man, ‘taking her into his possession.’ Here the term betula says nothing about her virginity. Ex.22:16 (17) (kesep yisqol kemohar hab betulot) can thus be translated ‘he shall weigh out as much silver as is required for marriageable girls.’ In this context we should point out that ancient Hebrew custom did not associate marriageability with puberty. In contrast to the marriageable girl (betula), the…. Alma refers to a girl in puberty capable of conception. Girls could in fact already be given marriage long before actual physical maturity, perhaps even as young as five years old (cf. Lev. 27:5), and it did happen that marriages were already consummated with prepubescent girls. -[G.Johannes Botterweck, Helmer Ringgren, Heinz-Josef Fabry [1997], Theological Dictionary of the Old Testament, Vol. 8, p. 144–145]
Zeʼev Wîlhelm Falq says in his book -Introduction to Jewish law, as: “A more common practice was the marrying off of minor daughters by their fathers. For instance King Agrippa(s) (41-44 C.E.), left three daughters: ‘of these, one, Berenice, who was sixteen years old, was married to Herod, her father’s BROTHER, and two were unmarried, namely Mariamne and Drusilla, aged respectively ten and six years. They had been promised by their fathers in marriage, Marriamne to Julius Archelaus, son of Helkias, and Drusilla to Epiphanes, the son of Antiochus, King of Commagene’ [Josephus, XIX Antiquites, 9.1. 354].
In such cases, marriage and consummation would be postponed until the BRIDE REACHED PUBERTY: it was held proper to marry off a minor daughter with her consent and not against her will. However, these rules were not only applicable to a minor daughter given in marriage by her father, since his right to do so is expressly mentioned in the Torah (Exodus XXI 7; Deuteronomy XXII 16).” -[Zeʼev Wîlhelm Falq, Introduction to Jewish law, part- 2, p. 278]
T. J. Wray's book -What the Bible Really Tells Us, states: “In the Hebrew Bible and New Testament, marriage is considered the natural state for men and women, .... Most women marry quite young, usually soon after the onset of menstruation, which of course, heralds fertility. Men typically marry later (in their twenties, or even thirties) and this most men are older than their wives.”-[T.J. Wray, What the Bible Really Tells Us, chapter 7, p. 146]
Harry L. Tabony, says in his -Christianity’s Source, It all came from ancient Egypt as: "The good book of Genesis says that after a few generations Abraham’s progeny had grown to sizeable numbers. That is understandable, considering the practice of multiple wives and marriage just after puberty for girls. Abraham’s many sons could father thousands of children, considering ample girls available from the natives of Canaan.” -[Harry L. Tabony, Christianity’s Source: It All Came from Ancient Egypt,]
Mark Avrum Ehrlich remarks as: “Girls were often married to their uncles on their father’s side, or to their cousins, in order to secure the family’s capital and in the hope that their kin would take good care of them. Minor girls were betrothed by their fathers (by Kidushin, a legally binding commitment) even before they came of age, and usually began living with their husbands-occasionally much older than them- at the age of puberty.”-[Mark Avrum Ehrlich, Encyclopedia of the Jewish Diaspora, vol. 1 , p. 258]
Isaac Klein says: “Child marriages were very common in ancient days. Since marriages were arranged by parents and the consent of parties was not necessary, age was not the factor in coming to an agreement. The physical factor related only to the consummation of the marriage. Hence, there was usually a waiting period between the agreement and the consummation. It is logical to assume that when a boy and a girl reached the age of puberty, and the sex urge demanded satisfaction, ancient society deemed marriage to be the answer. In time, other elements became factor in marriage: climate, social conditions, economic conditions, and even political conditions.”-[Isaac Klein, A Guide to Jewish Religious Practice, p. 396]
Gordon Wenham says: “In reality social custom and pressures greatly curtailed the sexual freedom of men in the Bible times. First, marriages were customarily arranged by parents, as soon as children passed puberty. This meant that there were few unattached girls: most females of marriageable age were either married or betrothed….” -[Gordon Wenham, Story as Torah: Reading the Old Testament Ethically, p. 84]
Professor David M. Carr says: “…ancient Israelite women did have to deal with a constant stream of pregnancies, from when they reached puberty in their teens until they died in their twenties or thirties.”-[Professor David M. Carr, The Erotic Word: Sexuality, Spirituality, and the Bible, p. 43]
Richard H. Lowery remarks: “A typical adult Israelite male had a life expectancy of forty years. Infant mortality rates were high, perhaps as high as 50 percent. So women typically had two pregnancies for every one child who reached age five. Since the economic survival of the household depended on the production of able-bodied children, women married immediately after puberty and were pregnant or nursing for a relatively large portion of their life.” -[Richard H. Lowery, Sabbath and Jubilee, p. 8]
Dr. Saba Soomekh says in her book -Between Religion and Culture, as: “In the early twentieth-century, Iranian Jewish women married at a very young age, either when they reached puberty or by their fifteenth year or sixteenth birthday. Similarly, Jewish women living in Ottoman Libya were married once a girl reached puberty and under Italian rule, ‘women married when they reached their fifteenth or sixteenth birthday, but at times, the brides were much younger.”-[Saba Soomekh, Between Religion and Culture, P. 65]
Professor Steven M. Lowenstein says: “The next great life cycle event in Jewish life after the bar Mirzvah is marriage. .....Marriages were arranged between families, with only the most perfunctory consultation with the couple to-be, and often involved complex financial arrangements such as dowries and trousseaus. In the middle ages the age at marriage seems to have been around puberty throughout the Jewish world. …” -[Professor Steven M. Lowenstein, The Jewish Cultural Tapestry, p. 108]
Rûth Lamdān says: “The numerous references to child marriage in the 16th- century Responsa literature and other sources, shows that child marriage was so common, it was virtually the norm. In this context, it is important to remember that in halakha, the term ‘minor’ refers to a girl under twelve years and a day. A girl aged twelve and a half was already considered an adult in all respects.”-[Rûth Lamdān, A Separate People: Jewish Women in Palestine, Syria, and Egypt in the sixteenth century, p. 47]
Philip J. King states: “A few anecdotal incidents, and a wealth of later documentation, suggests that women married young, while still in their teens, sometimes early teens, in fact; men waited until well into their twenties or even early thirties before marrying.” -[Philip J. King, Life in Biblical Israel, p. 37]
Ken Blady says: “Persian Jews married off their children very early: boys at ten or twelve, and girls at the very tender age of six or seven. Some girls were mothers by age twelve or thirteen. Polygamy was practiced only by men who could afford more than one wife. It was common for a prepubescent girl to marry a man who was old enough to be her grandfather.” -[Ken Blady, Jewish Communities in Exotic Places, P. 69]
Harvey E. Goldberg says: “Habbani Jewish ‘women’ were almost always prepubescent at their first marriage. Their first husbands were often in their late teens. Normally, there was neither bride price nor dowry, but a groom was expected to provide wedding jewelry and seven goats for the wedding festivities. The jewelry became a woman’s property. Occasionally, the bridegroom was far older than the bride.”-[Harvey E. Goldberg, Sephardi and Middle Eastern Jewries: History and Culture in the Modern Era, p. 267]
From all above it is clear that Judaism and Christianity in the past practised and allowed pre-pubescent marriages. So if they says Muhammad was a "Paedophilic", fuck them all, because Muhammad married not as a paedophilic, but according to conventional common law of the society that invented and adopted by Jews and Christian themselves, and for the case of Paedophilia, is only applicable for them as the Paedophilia deeply rooted to their blood, their culture. So, they are the guys from a bunch of paedophiles who are now relaxed and satisfied themselves with the News. -'Paedophilia is natural and normal for males' -Telegraph, Jul 5, 2014.
http://discover-the-truth.com/2013/09/14/bible-child-marriage-in-ancient-israelite-times-paedophilia/
• The Spirit of Islam by Syed Ameer Ali.
• As-Sirah an-Nabawiyyah by ibn Hisham.
• A Life of Mahomet by Sir William Muir.
• Mohammed and Mohammedanism, by Bosworth Smith.
• Ibn 'Abd al-Barr, Al-Isti'aab.
• Zad al-Ma'ad by Ibn al-Qayyim al-jawziyya.
• al-Tabaqat al-Kubra by Ibn Sa’d.
• al-Tabari, History of the Prophets and Kings.
• Abu Bakar Sirajuddin, Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন