১০ মার্চ, ২০১২

David: তালুত ও জালুত কাহিনী।


প্যালেস্টীয়রা জালুতের নেতৃত্বে ইস্রায়েলীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তাদের সৈন্য সমাবেশ করল। সুতরাং তালুতও অভিযানের প্রস্তুতি নিলেন। তিনি ৭০ হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী সমবেত করলেন। তারপর তাদের  নিয়ে যাত্রা করলেন। অত:পর একস্থানে পানির অভাব হলে লোকেরা বিদ্রোহ করল। তখন শমূয়েল তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘পথে আল্লাহ একটা নদী দিয়ে তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন। তাই যে কেউ সেই নদী থেকে পানি পান করবে সে আমার দলে থাকবে না; আর যে ঐ পানি পান করবে না সে আমার দলে থাকবে। এছাড়া যে কেউ তার হাত দিয়ে এক আঁজলা পানি নেবে সেও।’ 

যখন তারা নদীর কাছে এল, তখন তারা ভীষণ পিপাসার্ত ছিল। অধিকাংশ সৈন্য তালুতের সতর্কবাণী ভুলে গেল এবং তাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া বেশীর ভাগ সৈন্যই নদী থেকে পানি পান করল। তারপর যারা পান করেছিল তারা শারিরিক ও মানষিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ল। তারা বলল, ‘আমাদের এমন শক্তি বা সাধ্য নেই যে, আজ জালুত ও তার সৈন্যদলের সাথে যুদ্ধ করি।’
তারা অনীহা প্রকাশ করে সেখানেই রয়ে গেল। 

কিন্তু তালুত ও তার সাঙ্গে যারা বিশ্বাস করেছিল তারা নদী পার হল। তারা ছিল অতি ক্ষুদ্র একটা দল। সংখ্যা যে এত কমে যাবে তা তালুত ভাবতেই পারেননি। তিনি তার সৈন্য গণনা করলেন। গণনা শেষে পাওয়া গেল ৩১৩ জন। সুতরাং তালুত তাদের মনোভাব জানতে চাইলেন। এসময় এই সৈন্যদল তাদের এই সংখ্যা কমে যাওয়াতে মনোবল কিন্তু হারিয়ে ফেলেনি। কারণ তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎকারে বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, তাই তারা বলল, ‘আল্লাহর অনুমতি ক্রমে কত ছোটদল কত বড়দলকে পরাস্ত করেছে? আর আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের পক্ষে রয়েছেন।’ 
সুতরাং তালুত তাদেরকে নিয়েই রওনা দিলেন।

তালুতের সেনাদল জালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হল। জালুতের বাহিনী, তালুতের বাহিনীর বহুগুণে বড় ছিল, এ দেখে কিন্তু বিশ্বাসীরা পালিয়ে গেল না, বা তাদের মনোবলে কোন চিঁড় ধরল না, তারা তখন কেবল খোদার কাছে প্রার্থনা করে বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ধৈর্য্য দাও; আমাদের পা অবিচলিত রাখ ও অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য কর।’

এ সম্পর্কে Book of Chamis জানায়- As soon as he was elected, Saul mustered the host of Israel, and marched against the Philistines at the head of seventy thousand men.

During their march through the wilderness, they were one day in want of water, so that a universal murmuring arose against Samuel and Saul. Samuel, who was following after the 'ark of the covenant', prayed to the Lord, and there sprung from out the rocky ground a fountain of water, which was as fresh as snow, as sweet as honey, and as white as milk. But when the soldiers came rushing toward it. Samuel cried, "You have grievously sinned against your king and against your God by reason of discontent and rebellion. Forbear to touch this water, that by abstinence you may atone for your sin!" 


But Samuel's words met with no regard. Only three hundred and thirteen men—as many as fought in the first engagement of the Mussulmans against the Infidels—mastered their appetite, barely refreshing themselves, while all the rest of the army yielded to the temptation, and drank in full draughts from the fountain.


When Talut beheld this, he disbanded the whole army, and, relying on the aid of Allah, marched against the enemy with the small number of his men who had conquered their desire. Among this little band were six sons of a virtuous man whose name was Isa (Jesse).-(Book of Chamis, by Husein ibn Muhammed.) 
আর এ সম্পর্কিত কোরআনের আয়াতসমূহ- ‘তারপর তালুত যখন সসৈন্যে অভিযানে বের হল তখন সে বলল, ‘আল্লাহ একটা নদী দিয়ে তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন। তাই যে কেউ সেই নদী থেকে পানি পান করবে সে আমার দলে থাকবে না; আর যে ঐ পানি পান করবে না সে আমার দলে থাকবে। এছাড়া যে কেউ তার হাত দিয়ে এক আঁজলা পানি নেবে সেও।’ 

কিন্তু (যখন তারা নদীর কাছে এল) তাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া বেশীর ভাগ লোকই তার থেকে পানি পান করল। যখন সে (তালুত) ও তার সাঙ্গে যারা বিশ্বাস করেছিল তারা তা পার হল। তখন তারা বলল, ‘আমাদের (এমন) শক্তি বা সাধ্য নেই যে, আজ জালুত ও তার সৈন্যের সাথে যুদ্ধ করি।’

কিন্তু যারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎকারে বিশ্বাস স্থাপন করেছিল তারা বলল, ‘আল্লাহর অনুমতি ক্রমে কত ছোট দল কত বড় দলকে পরাস্ত করেছে? আর আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের পক্ষে রয়েছেন।’ 

তারা যখন জালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হল তখন তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ধৈর্য্য দাও; আমাদের পা অবিচলিত রাখ ও অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য কর।’(২:২৪৯-২৫০)

প্যালেস্টিয় বীর জালুত প্রকাশ্যভাবে যে কোন ইস্রায়েলীকে তার সঙ্গে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে আহ্বান জানাল। কেননা মূল যুদ্ধ শুরুর পূর্বে এই ধরণের যুদ্ধের প্রচলন ছিল। এ দ্বারা প্রতিপক্ষকে বুঝিযে দেয়া হত তারা কি ধরণের কৌশলী এবং বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এসেছে। তাছাড়া এই একক যুদ্ধ দ্বারা বিজয়ী দলের সাধারণ যোদ্ধাদের মনে এক বিশেষ অনুপ্রেরণার সৃষ্টি হত এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা বিপুল বিক্রমে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে নিত। তালুত তা জানতেন। তাই তিনি জালুতের চ্যালেঞ্জে সাড়া দিচ্ছিলেন না। কেননা জালুতের উপযুক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে কাউকেও তিনি মনোনীত করতে পারছিলেন না। জালুত প্রতিদিন সূর্য্য ওঠার ও ডোবার সময় এগিয়ে এসে নিজেকে দেখাত আর তালুত বাহিনীকে টিটকেরী দিত। বিশালদেহী জালুতের মাথায় থাকত ব্রোঞ্জের টুপি, আর গায়ে থাকত মাছের আঁশের মত তৈরী ব্রোঞ্জের জামা- যার ওজন ষাট কেজি। তার হাটু থেকে গোঁড়ালী পর্যন্ত ব্রোঞ্জ দিয়ে ঢাকা থাকত, আর তার কোমরে থাকত ব্র্রোঞ্জের তলোয়ার। তার বর্শার ডাঁটিটা ছিল তাঁতীদের বীমের মত, যার লোহার ফলাটার ওজন ছিল সাত কেজি দু‘শ গ্রাম। যখন সে বের হত, তার অগ্রবর্তীতে থাকত তার ঢাল বহনকারী। 

চল্লিশ দিন পর্যন্ত তালুত ও জালুত বাহিনী পরস্পর পরস্পরের মুখোমুখী অবস্থানে ছিল। তথাপি জালুত বাহিনী ক্ষুদ্র তালুত বাহিনীকে আক্রমণ করেনি। এর কারণ এই যে, প্যালেস্টিয়রা কোন অবস্থাতেই এটা বিশ্বাস করতে পারেনি যে, তালুত এত ক্ষুদ্র একটা বাহিনী নিয়ে তাদের মত বিশাল বাহিনীর মুখোমুখী দাঁড়াবার সাহস করতে পারেন। তারা নিশ্চিত ছিল- এটা কেবল অগ্রবর্তী দল, পশ্চাৎবর্তী দলকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে তালুত আশেপাশে কোথাও লুকায়িত রেখেছেন।

যে সময় তালুত জালুতকে দমনের জন্যে এলা উপত্যাকায় সৈন্য সমাবেশ করেছিলেন, সেসময় দাউদ (David) ছিল বৈথেলহেমে তার নিজ বাড়ীতে। যিশয়ের প্রথম তিন পুত্র ইলীয়াব, অবীনাদব ও শম্ম তালুতের সঙ্গে তার সেনাবাহিনীতে ছিল। একদিন সে পুত্র দাউদকে বলল, ‘তুমি তোমার ভাইদের জন্যে খাবার-দাবার নিয়ে সেনা-ছাউনিতে যাও। আর তারা কেমন আছে তা দেখে এসো। তারা এখন তালুতের সেনাবাহিনীর সাথে এলা উপত্যকায় প্যালেস্টীয়দের সাথে যুদ্ধ করতে সেখানে রয়েছে।’

সকালে উঠে দাউদ তার ভেড়ারপাল অন্য রাখালদের হাতে দিয়ে পিতার আদেশ মত রওনা হল। সে যখন নদীর ধারে এল, তখন সেখানে পড়ে থাকা কয়েকটা মসৃণ নূড়ি পাথর ফিঙ্গা ছুঁড়ে মারার জন্যে কুড়িয়ে তার চামড়ার থলিতে রাখল। অতঃপর যখন সে সেনা ছাউনির কাছে এল, সে দেখল সৈন্যরা হাঁক দিতে দিতে সাঁরি বেঁধে বেরিয়ে যাচ্ছে। 

প্রতিদিনের মত ইস্রায়েলীরা ও প্যালেস্টীয়রা যুদ্ধ করার জন্যে মুখোমুখী তাদের সৈন্য সাঁজাল। তখন দাউদ তার জিনিসগুলো মালরক্ষকের কাছে রেখে দৌঁড়ে সেনাদলের মধ্যে ঢুকে ভাইদেরকে ভাল-মন্দ জিজ্ঞেস করল। সে যখন কথা বলছিল তখন জালুত আগের মতই সৈন্যদল থেকে বেরিয়ে এল এবং ইস্রায়েলীদের টিটকেরী দিতে লাগল। এ দেখে দাউদ আপন মনে বলল, ‘এই প্যালেস্টীয়টা কে, যে খোদার সৈন্যদলকে টিটকেরী দেয়।’

তার কথা শুনে কাছে দাঁড়িয়ে থাকা এক সেনা বলল, ‘তার নাম জালুত। সে প্যালেস্টীয় বিখ্যাত বীর যোদ্ধা, যার মোকাবেলায় আমাদের মধ্যে যোগ্য যোদ্ধা পাওয়া যাচ্ছে না।’
দাউদ বলল, ‘যে একে হত্যা করবে, তার প্রতি কি করা হবে?’
তারা বলল, ‘আমরা শুনেছি-যে তাকে হত্যা করতে পারবে, বাদশা তাকে প্রচুর ধন-সম্পত্তি দেবেন; তাকে নিজ কন্যাও দান করবেন। আর তার পরিবার-পরিজন খাজনা ও বাদশার অন্যান্য দাবী-দাওয়া থেকে রেহাই পাবে।’ 

দাউদ ও জালুত।
বড় ভাই ইলীয়াব, সেনাদের সঙ্গে দাউদের এইসব কথাবার্তা শুনে রাগে জ্বলে উঠল। সে কঠোরস্বরে বলল, ‘তুই কেন এখানে এসেছিস? ভেড়াগুলো কার তত্ত্বাবধানে রেখে এসেছিস? যুদ্ধ দেখতে আসা হয়েছে না?’
দাউদ বলল, ‘আমি কি করলাম? আমি তো কেবল জানতে চেয়েছি।’
সে সেখান থেকে সরে অন্য একজনের কাছে গিয়ে নিজের মনের ইচ্ছে ব্যক্ত করল- ‘বাদশার অনুমতি পেলে আমি তার সাথে লড়তাম।’
সেনারা তার কথাশুনে বিষ্মিত হল। কিন্তু তার সাহস ও আত্মবিশ্বাস দেখে তারা তাকে তালুতের কাছে নিয়ে গেল। 

তালুত দেখলেন, জালুতের সঙ্গে লড়তে যে অনুমতি প্রার্থনা করছে তার বয়স খুবই কম। সুতরাং তিনি বললেন, ‘তুমি তো একজন বালক, এই বয়সে যুদ্ধ সম্পর্কে কি অভিজ্ঞতাই বা তোমার আছে? সুতরাং জালুতের ন্যায় একজন বীরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কিভাবে তোমাকে মনোনীত করা যায়?’
দাউদ বলল, ‘হে মহামান্য বাদশা! আমি আমার পিতার মেষপাল চরাই। কোন হিংস্র পশু, তা সে সিংহ বা ভাল্লুক যাই হোক না কেন, পালে হানা দিয়ে কোন পশু নিয়ে গেলে আমি তার পিছনে পিছনে দৌঁড়ে সেটাকে হত্যা করে পশুটিকে রক্ষা করি। হয়েনা, ভাল্লুক দুই-ই এই অধমের হাতে নিহত হয়েছে। ঐ প্যালেস্টীয়টার দশা তো সেইরকমই হবে।’

দাউদ ও জালুত।
তালুত তার কথা শুনে বিষ্মিত হলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ তাকে অনুমতি দিয়ে বললেন, ‘তবে যাও, খোদা তোমার সঙ্গে থাকুন।’
তিনি তার যুদ্ধের সাঁজ পোষাক খুলে তাকে পরিয়ে দিলেন। আর তার মাথায় দিলেন ব্রোঞ্জের টুপি। এরপর দাউদ তার পোষাকের উপর তালুতের তলোয়ারটা বেঁধে হাঁটতে চেষ্টা করল, কিন্তু ঠিকমত পা ফেলতে পারছিল না। সুতরাং সে বলল, ‘এসব পরে আমি যেতে পারব না, কারণ এর আগে আমি তো কখনও এসব পরিনি।’
সে সেগুলো সেখানেই খুলে ফেলল। তারপর তার লাঠি ও ফিঙ্গা হাতে নিয়ে জালুতের দিকে অগ্রসর হল। 
উৎকন্ঠা আর উত্তেজনায় তালুত বাহিনীর সকল সেনার শ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম হল। তীব্র উত্তেজনা নিয়ে তারা ঘটনা প্রবাহের প্রতি নজর রাখল। 

দাউদ যখন জালুতের দিকে এগিয়ে গেল, তখন সে তার দিকে ভাল করে তাকিয়ে তার হাতে লাঠি ও থলিতে পাথর দেখে তাচ্ছিল্যের সাথে বলল, ‘ওহে বালক! তুমি কি কুকুর তাড়িয়ে দেবার জন্যে এসেছ?’
সে বলল, ‘তুমি তো কুকুরের থেকেও অধম। তুমি এসেছ তলোয়ার, বর্শা আর ছোরা নিয়ে, কিন্তু আমি এসেছি সর্বশক্তিমান আল্লাহর নাম নিয়ে। আজ তিনিই তোমাকে আমার হাতে তুলে দেবেন। আমি তোমাকে আঘাত করব, তারপর তোমার মাথাটা কেটে নেব।’

দাউদ ও জালুত।
‘এই দুধে বালক বলে কি!’-জালুত রাগান্বিত হয়ে তীব্র হুঙ্কার দিয়ে তাকে আক্রমণ করতে এগিয়ে এল। আর ওদিকে দাউদ ধীরে সুস্থ্যে তার থলি থেকে একটা পাথর বের করে নিয়ে ফিঙ্গাতে বসাল। তারপর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জালুতের দিকে তা ছুঁড়ে মারল। অব্যর্থ লক্ষ্য। পাথরটা জালুতের কপালে লেগে বসে গেল। আর বসে গেল এমনভাবে যেন ক্ষণকালের তরে মনে হল সেটা তার তৃতীয় চক্ষু। বিশালদেহী জালুতের চোখেমুখে তীব্র অবিশ্বাস। সে থমকে দাঁড়াল। তার কপাল দিয়ে চিকন রক্তের ধারা গড়িয়ে নামছে। তার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত বইতে লাগল। অতঃপর হাতে ধরা বিশাল বর্শাটাসহ সটান সেখানেই মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল। তখন দাউদ দৌঁড়ে গিয়ে তার মাথার পাশে দাঁড়াল। তারপর নীচু হয়ে তার সেই ব্রোঞ্জের তলোয়ারটা খাপ থেকে টেনে বের করে তার মাথাটা কেটে নিল। 

এই ঘটনা Book of Chamis -এ বর্ণিত হয়েছে একটু অন্যভাবে। আমরা এবার সেটা দেখব- But when, for a long time, no engagement took place between Israel and the Philistines, since no one had accepted the challenge to single combat with Goliath, by which a general battle was to be preceded, Isa (Jesse) sent also his seventh son into the camp, partly to carry fresh provisions to his brothers, and partly to bring him tidings of their welfare.

On his way he heard a voice from a pebble which lay in the midst of the road, calling to him, "Lift me up, for I am one of the stones with which the prophet Abraham drove Satan away when he would have shaken his resolve to sacrifice his son in obedience to his heavenly vision."

David placed the stone, which was inscribed with holy names, in the bag which he wore in his upper garment, for he was simply dressed like a traveler, and not as a soldier.

When he had proceeded a little farther, he again heard a voice from another pebble, crying, "Take me with thee, for I am the stone which the angel Gabriel struck out from the ground with his foot when he caused a fountain to gush forth in the wilderness for Ismael's sake."

David took this stone also, and laying it beside the first, went on his way. But soon he heard the following words proceeding from a third stone: "Lift me up, for I am the stone with which Jacob fought against the angels which his brother Esau had sent out against him."

David took this stone likewise, and continued his journey without interruption until he came to his brothers in the camp of Israel. On his arrival there, he heard how a herald proclaimed, "Whoever puts the giant Goliath to death shall become Saul's son-in-law, and succeed hereafter to his throne."

David sought to persuade his brothers to venture the combat with Goliath, not to become the king's son-in-law and successor, but to wipe off the reproach that rested on their people.

But, since courage and confidence failed them, he went to Saul, and offered to accept the giant's challenge. The king had but little hopes indeed that a tender youth, such as David then was, would defeat a warrior like Goliath; yet he permitted the combat to take place, for he believed that even if he should fall, his reproachful example would excite some others to imitate his heroic conduct.

On the following morning, when Goliath, as usual, challenged with proud speech the warriors of Israel, David, in his traveling apparel, and with his bag containing the three stones, stepped down into the arena. Goliath laughed aloud on seeing his youthful antagonist, and said to him, "Rather hie thee home to play with lads of thine own years. How wilt thou fight with me, seeing that thou art even unarmed?"

David replied, "Thou art as a dog unto me, whom one may best drive away with a stone;" and before Goliath was yet able to draw his sword from its scabbard, he took the three stones from his bag, pierced the giant with one of them so that he instantly fell lifeless on the ground, and drove with the second the right wing of the Philistines into flight, and their left wing with the third.-(Book of Chamis, by Husein ibn Muhammed.) 

যাইহোক, জালুত নাটকীয় ভাবে নিহত হবার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। প্যালেস্টীয়রা মহাভয়ে পালাতে শুরু করল। এসময় দাউদ ও তালুতের নেতৃত্বে ইস্রায়েলীরা পশ্চাদ্ধাবন করে তাদের অধিকাংশকে হত্যা করল। 

এই বিজয়ের পর তালুত খুশী হয়ে দাউদকে বললেন, ‘তোমাকে আর তোমার বাড়ীতে ফিরে যেতে হবে না, তুমি আমার সঙ্গেই থাকবে। আমি তোমাকে আমার দেহরক্ষী করব।’
অন্যদিকে যোনাথন আবেগে খুশীতে তার গায়ের উপরকার লম্বা জামা খুলে দাউদকে পরিয়ে দিল। আর তার যুদ্ধের পোষাক, তলোয়ার, ধনুক ও কোমর বাঁধনি তাকে উপহার হিসেবে দিল। 

এই বিজয় সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত- আল্লাহর হুকুমে বনি-ইস্রায়েলীরা তাদেরকে পরাজিত করল আর দাউদ জালুতকে হত্যা করল....।(২:২৫১) 

এই বিজয় দাউদকে বীরপুরুষে পরিণত করল। সেনারা দাউদকে মাথায় তুলে নাচতে লাগল। তারা বলছিল-  
‘তালুত বধিলেন সহস্র সহস্র
আর দাউদ বধিলেন অযুত অযুত।’

সমাপ্ত।
ছবি: Wikipedia, students.ou.edu, godtalkvermont.blogspot.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Moses: কোরাণিক ক্যানভাসে নবী মূসা।

Abu Hena Mostafa Kamal  01 May, 2017 মি সরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ফেরাউন। হঠাৎ করে তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। কিন্তু তিনি কোন উত্তরাধিকারী ন...