আহাব ইৎবালের কন্যা ইসাবেলাকে বিবাহ করেন। এই ইসাবেলা এক বিদ্রোহের মাধ্যমে সীদোন বা ফৈনিকীয়ার রানী হন। এ্ই রানী বা’ল দেবতার উপাসক ছিলেন এবং আহাবের সঙ্গে বিবাহের পর উৎসাহের সঙ্গে সর্বত্র এই উপাসনার প্রবর্তন করেন। এতে নতুন নতুন মন্দির স্থাপন ও পুরোহিত আমাদানী হয়। অচিরেই রানী আহাবকে বশীভূত ও ক্রীড়ানড়ক করে ফেলেন। তারপর তিনি একেশ্বরবাদীদের ধ্বংসের পরিকল্পণা ও হত্যা করা শুরু করেন। এসময় কয়েকজন যুবক এক খোদার উপর বিশ্বাসে অটল ছিল। আর খোদা তাদের মনোবল এবং সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
সুতরাং যুবকেরা নিজেদের এবং নিজেদের বিশ্বাসকে রক্ষা করতে একত্রিত হল এবং বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক। আমরা কখনই তার পরিবর্তে অন্য কোন উপাস্যকে ডাকব না; যদি করি তবে তা খুব খারাপ হবে। আমাদের এ জাত ভাইয়েরা তাঁর পরিবর্তে বহু উপাস্য গ্রহণ করেছে। এরা এসব উপাস্য সম্বন্ধে স্পষ্ট প্রমান উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যে বানায় সে ছাড়া বড় সীমালংঘনকারী আর কে? তোমরা যখন ওদের থেকে ও আল্লাহর পরিবর্তে যাদের উপাসনা করে তাদের থেকে আলাদা হলে তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে তার দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসূ করার ব্যবস্থা করবেন।’
যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আত্মগোপনের সিদ্ধান্ত নিল। আর যখন তারা গুহায় আশ্রয় নিল, তখন তারা হয়ে গেল খোদায়ী নিদর্শণ (Sign of God)। পরবর্তী কাহিনী এমন-
যখন যুবকেরা গুহায় আশ্রয় নিল তখন তারা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি নিজ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান কর ও আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর।’ তারা একসময় গুহায় ঘুমিয়ে পড়ল। আর আল্লাহ তাদেরকে সেখানে কয়েক বৎসর ঐ ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলেন। ওরা যখন গুহার প্রশস্ত চত্ত্বরে ঘুমিয়ে ছিল তখন সূর্য্য ওঠার সময় তাদের ডানে হেলে থাকত আর ডোবার সময় তাদের বাম পাশ দিয়ে পার হত। আর ওদের কুকুর সামনের দুই পা ছড়িয়ে ঘুমিয়ে ছিল গুহার দ্বার দেশে।
‘যে গৃহে কুকুর থাকে সেখানে ফেরেস্তা প্রবেশ করে না।’ বুখারী খন্ড-২,পৃ-৮৮০।
‘যে ব্যক্তি শিকারী কুকুর, শস্যক্ষেত অথবা জন্তুদের হেফাজতকারী কুকুর ব্যতিত অন্য কুকুর পালন করে, প্রত্যহ তার পূণ্য থেকে দু‘কীরাত (কীরাত একটি ছোট্ট ওজনের নাম।) হ্রাস পায়।’ -বুখারী নম্বর-৫০৮৫; ৫০৮৬।
-এসব হাদিসের ভিত্তিতে প্রশ্ন দেখা দেয়, আল্লাহ ভক্ত আসহাবে কাহফরা (al-Kahf) কুকুর সঙ্গে নিল কেন? এর উত্তরে বলা যায়- প্রয়োজন ব্যতিরেকে শখের বশে কুকুর পালনের নিষিদ্ধতা মুহম্মদের শরীয়তের। মূসার শরীয়তে এটা নিষিদ্ধ ছিল না। কুকুরের প্রভু ভক্তি সর্বজনবিদিত। তারা যখন শহর ছেড়ে রওনা হয়, তখন কুকুরও তাদেরকে অনুসরণ করেছিল।
-এসব হাদিসের ভিত্তিতে প্রশ্ন দেখা দেয়, আল্লাহ ভক্ত আসহাবে কাহফরা (al-Kahf) কুকুর সঙ্গে নিল কেন? এর উত্তরে বলা যায়- প্রয়োজন ব্যতিরেকে শখের বশে কুকুর পালনের নিষিদ্ধতা মুহম্মদের শরীয়তের। মূসার শরীয়তে এটা নিষিদ্ধ ছিল না। কুকুরের প্রভু ভক্তি সর্বজনবিদিত। তারা যখন শহর ছেড়ে রওনা হয়, তখন কুকুরও তাদেরকে অনুসরণ করেছিল।
সূরৎ আল কাহফ কেভ। |
কেউ কেউ বলল, ‘একদিন বা একদিনের কিছু অংশ।’
কেউ কেউ বলল, ‘আমরা কতকাল আছি তা আমাদের প্রতিপালকই ভাল করে জানেন। এখন আমাদের একজনকে এই টাকা দিয়ে শহরে পাঠাই, সে যেন দেখে কোন খাবার পবিত্র (তারা যখন শহর থেকে বেরিয়েছিল তখন সেখানে মূর্ত্তিদের নামে পশু জবেহ করা হত এবং বাজারে তাই বিক্রয় হত। যা মুসলমানদের জন্যে সম্পূর্ণ হারাম। তাই প্রেরিত ব্যক্তিকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।)। অতঃপর আমাদের জন্যে কিছু খাবার নিয়ে আসে। সে যেন বুদ্ধি করে কাজ করে ও কিছুতেই যেন আমাদের সম্বন্ধে কাউকে কিছু জানতে না দেয়। ওরা যদি আমাদের বিষয় জানতে পারে তবে তো আমাদেরকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবে বা ওদের ধর্মে ফেরাবে; আর তা হলে আমরা কখনই সফল হব না।’ তাদের একজন খাদ্য কিনতে শহরে গেল।
ইতিমধ্যে যুবকেরা গুহায় ঘুমিয়ে কাটিয়েছিল তিন’শ নয় বৎসর। তাই দোকানদার অতি প্রাচীন মূদ্রা দেখে অবাক হল। সুতরাং অতঃপর তাকে রাজকর্মচারীদের হাতে তুলে দেয়া হল। বাদশা ছিলেন ধার্মিক। সকল ঘটনা শ্রবণ শেষে তিনি তৎক্ষণাৎ তাকে সঙ্গে নিয়ে গুহায় গেলেন। তখন লোকেরাও তাদের বিষয়ে অবগত হল।
গুহার সঙ্গীগণ। |
অনেকে বলল, ‘ওদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।’ কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল তারা বলল, ‘আমরা তো অবশ্যই ওদের উপর মসজিদ গড়ব।’ অজানা বিষয়ে অনুমানের উপর নির্ভর করে অনেকে বলল, ‘তারা ছিল তিনজন, ওদের কুকুর নিয়ে চারজন।’ আর কেউ কেউ বলল, ‘ওরা ছিল পাঁচজন, ওদের কুকুর নিয়ে ছ’জন।’ আবার কেউ কেউ বলল, ‘ওরা ছিল সাতজন, ওদের কুকুর নিয়ে আটজন।’ ওদের সংখ্যা অল্প কয়েকজনই জানে। আর ওরা কতকাল ঘুমিয়ে ছিল তা আল্লাহই ভাল জানেন। আকাশ ও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান একমাত্র তাঁরই।
এ সম্পর্কিত কোরআনের আয়াতসমূহ- গুহা ও রাকিমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শণ গুলোর মধ্যে অন্যতম। যখন যুবকেরা গুহায় আশ্রয় নিল তখন তারা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি নিজ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান কর ও আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর।’
তারপর আমি তাদেরকে গুহায় কয়েক বৎসর ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। পরে আমি তাদেরকে জাগালাম এ জানবার জন্যে যে, দু’দলের মধ্যে কোনটি তাদের অবস্থানকাল ঠিক নির্ণয় করতে পারে। আমি ওদের বৃত্তান্ত সঠিকভাবে বয়ান করছি। ওরা ছিল কয়েকজন যুবক। ওরা ওদের প্রতিপালকের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। আর আমি ওদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
আর আমি ওদের চিত্ত দৃঢ় করে দিলাম, ওরা যখন উঠে দাঁড়াল তখন তারা বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক। আমরা কখনই তার পরিবর্তে অন্য কোন উপাস্যকে ডাকব না; যদি করি তবে তা খুব খারাপ হবে। আমাদের এ জাত ভাইয়েরা তাঁর পরিবর্তে বহু উপাস্য গ্রহণ করেছে। এরা এসব উপাস্য সম্বন্ধে স্পষ্ট প্রমান উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যে বানায় সে ছাড়া বড় সীমালংঘনকারী আর কে? তোমরা যখন ওদের থেকে ও আল্লাহর পরিবর্তে যাদের উপাসনা করে তাদের থেকে আলাদা হলে তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে তার দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসূ করার ব্যবস্থা করবেন।’
আর আমি ওদের চিত্ত দৃঢ় করে দিলাম, ওরা যখন উঠে দাঁড়াল তখন তারা বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক। আমরা কখনই তার পরিবর্তে অন্য কোন উপাস্যকে ডাকব না; যদি করি তবে তা খুব খারাপ হবে। আমাদের এ জাত ভাইয়েরা তাঁর পরিবর্তে বহু উপাস্য গ্রহণ করেছে। এরা এসব উপাস্য সম্বন্ধে স্পষ্ট প্রমান উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যে বানায় সে ছাড়া বড় সীমালংঘনকারী আর কে? তোমরা যখন ওদের থেকে ও আল্লাহর পরিবর্তে যাদের উপাসনা করে তাদের থেকে আলাদা হলে তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে তার দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসূ করার ব্যবস্থা করবেন।’
তারা গুহার প্রশস্ত চত্ত্বরে অবস্থান করছে। সূর্য্য ওঠার সময় তাদের গুহার ডানে হেলে আছে আর ডোবার সময় তাদের বাম পাশ দিয়ে পার হচ্ছে। ওরা ঘুমিয়ে ছিল। আমি ওদেরকে ডানে ও বামে পাশ ফেরাতাম। আর ওদের কুকুরের সামনের দুই পা ছড়িয়ে ছিল গুহার দ্বার দেশে। আর আমি এভাবেই ওদেরকে ওঠালাম যেন ওরা একে অপরকে জিজ্ঞেস করে। ওদের একজন বলল, ‘তোমরা কতকাল ধরে আছ?’
কেউ কেউ বলল, ‘একদিন বা একদিনের কিছু অংশ।’
কেউ কেউ বলল, ‘তোমরা কতকাল আছ তা তোমাদের প্রতিপালকই ভাল করে জানেন। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এ টাকা দিয়ে শহরে পাঠাও, সে যেন ভাল খাবার দেখে তোমাদের জন্যে কিছু খাবার নিয়ে আসে। সে যেন বুদ্ধি করে কাজ করে ও কিছুতেই যেন তোমাদের সম্বন্ধে কাউকে কিছু জানতে না দেয়। ওরা যদি তোমাদের বিষয় জানতে পারে তবে তো তোমাদেরকে পাথর মেরে খুন করবে বা তোমাদেরকে ওদের ধর্মে ফেরাবে; আর তা হলে তোমরা কখনই সফল হবে না।’
আর এভাবেই আমি (মানুষকে) ওদের বিষয় জানিয়ে দিলাম যেন তারা জানতে পারে যে, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্যি ও কেয়ামতে কোন সন্দেহ নেই। যখন তারা তাদের কর্তব্য বিষয়ে নিজেদের মধ্যে তর্ক করছিল তখন অনেকে বলল, ‘ওদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।’
তাদের প্রতিপালক ওদের বিষয়ে ভালকরে জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল তারা বলল, ‘আমরা তো অবশ্যই ওদের উপর মসজিদ গড়ব।’
অজানা বিষয়ে অনুমানের উপর নির্ভর করে অনেকে বলবে, ‘তারা ছিল তিনজন, ওদের কুকুর নিয়ে চারজন।’
আর কেউ কেউ বলবে, ‘ওরা ছিল পাঁচজন, ওদের কুকুর নিয়ে ছ’জন।’
আবার কেউ কেউ বলবে, ‘ওরা ছিল সাতজন, ওদের কুকুর নিয়ে আটজন।’
বল ‘আমার প্রতিপালকই ওদের সংখ্যা ভাল জানেন।’ ওদের সংখ্যা অল্প কয়েকজনই জানে। ওরা ওদের গুহায় ছিল তিন’শ নয় বৎসর। তুমি বল, ‘ওরা কতকাল ছিল তা আল্লাহই ভাল জানেন। আকাশ ও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই।’-(Al-Kahf, ১৮: ৯-২২,২৫)
যাহোক, এখন আমরা দেখি এ কাহিনীর “শানে নযুল” কি বা কোরআনে কেন এটি বর্ণিত হয়েছে-
মুহম্মদের নব্যুয়ত চর্চায় কুরাইশ নেতৃবর্গ খুবই বিব্রতবোধ করছিলেন, কেননা তিনি তাদের দেব-দেবীদেরকে তুচ্ছ প্রতিপন্ন করে যাচ্ছিলেন। তখন তারা মুহম্মদ সত্য নবী কিনা তা পরীক্ষা করতে চাইলেন। তাই তারা নাজার ইবনে হারেছ ও ওকাবা ইবনে আবী মুয়ীতকে মদিনার ইহুদি পন্ডিতদের কাছে প্রেরণ করলেন মুহম্মদ সম্পর্কে তাদের মন্তব্য কি তা জানার জন্যে। আর সেখানকার ইহুদি পন্ডিতগণ তাদেরকে বলেন, ‘তোমরা তাকে এই তিনটি প্রশ্ন করবে, যদি তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেন তবে বুঝবে তিনি প্রকৃতই আল্লাহর রসূল, অন্যথায় ভন্ড। ঐ প্রশ্ন তিনটি ছিল-
ক) ঐ সকল যুবকের ঘটনা কি, যারা প্রাচীন কালে শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিল?
খ) সেই ব্যক্তির ঘটনা কি, যিনি পৃথিবীর পূর্ব, পশ্চিম ও সারা বিশ্ব সফর করেছিলেন?
গ) রূহ কি?’
প্রতিনিধিদ্বয় ফিরে এসে সকলকে বললেন, “আমরা একটি চুড়ান্ত ফয়সালার ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আমরা এমন সব প্রশ্ন তার কাছে রাখব, যার উত্তর তিনি দিতে পারবেন না।” তারা সদলবলে প্রশ্নগুলো নিয়ে মুহম্মদের কাছে হাযির হলেন। সবকিছু শুনে মুহম্মদ বললেন, ‘তোমরা আগামীকাল এস।’ কিন্তু তিনি ‘আল্লাহ চাইলে’ অর্থাৎ ইনশাল্লাহ বলতে ভুলে গেলেন।
মুহম্মদ ওহী আগমনের অপেক্ষায় থাকলেন। কিন্তু পরদিন ওহী এল না। এভাবে দিনের পর দিন অতিক্রান্ত হতে লাগল। আর কুরাইশগণও তাকে ঠাট্টা করতে লাগলেন। তাদের অনেকে বলতে লাগলেন, ‘মুহম্মদের আল্লাহ তাকে পরিত্যাগ করেছেন।’
পনের দিন পর জিব্রাইল কুরাইশদের প্রশ্নের উত্তর সম্বলিত সূরা কাহফ নিয়ে এলেন। এই সূরায় ওহী বিলম্বের কারণ হিসেবে বলা হল-ভবিষ্যতে কোন কাজ করার ওয়াদা করলে ইনশাল্লাহ বলা উচিৎ। তুমি কোন কাজের বিষয়ে বলবে না যে, সেটি ‘আমি আগামীকাল করব’ ‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে (ইনশাল্লাহ)’ বলা ব্যতিরেকে। যখন ভুলে যাও, তখন তোমার পালনকর্তাকে অধিক ভাবে স্মরণ কর এবং বল, ‘আশাকরি আমার পালনকর্তা আমাকে এর চাইতেও নিকটতম সত্যের পথনির্দেশ করবেন।’ -(১৮:২৩-২৪)
এবার আমরা দেখি অন্যান্য তথ্যভান্ডার এ বিষয়ে কি বলেছে- সিরিয়ান বিশপ ইয়াকুব সারগ তার Seven Sleepers কাহিনীতে এটি এভাবে বর্ণনা করেছেন- The Emperor Decius comes to Ephesus and orders everyone to sacrifice to the pagan gods. Some boys (Achillides, Diomedes, Diogenus, Probatus, Stephanus, Sambatus, and Quiriacus) of the leading families refuse and go into hiding but they are denounced.
Decius orders that they be flogged and kept until he returns. The boys escape and hide in a cave near Ephesus. They take some of their parents’ money with them. In the cave they pray to God and God raises up their spirits into heaven and sends a watcher to guard their bodies. On his return, Decius the cave’s entrance orders to be blocked.
When, after the pagan era, God wants to awaken them, a man in need of building materials re-uses the stones at the cave’s entrance and the boys are awakened by the daylight. Then they decide to send one of their number, Iamlikha (=Iamblichus), to the city in order to see if Decius has already returned and they give him some small change to buy bread.
amlikha is utterly surprised to see crosses above the city gates and wonders whether it is really Ephesus. He tries to buy bread but among the bread-sellers his archaic coins raise the suspicion that he has found some treasure. He denies it but is taken to the bishop, who questions him. He says that he is the son of one of the leading citizens, but he fails to recognize anyone in the crowd who might rescue him.
When he asks where Decius is, people think he has gone mad since that would make Decius 372 years old. Then the boy tells the bishop how he and his companions escaped to the mountain to hide in a cave. The people go up to the mountain and the bishop enters the cave where he greets the boys. He sends a message to the Emperor Theodosius, who immediately comes to Ephesus.
Theodosius offers to build a shrine on the spot, but the boys decline and say all this has happened to prove the truth of the resurrection. They lie down, the Emperor covers them with his mantle, and again they sleep peacefully, i.e., they die. -Story of the Seven Sleepers, Jacob of Sarug, Syrian bishop (ca. 450-521)
ক্রিশ্চিয়ানরা কাহিনী তাদের দাবী করলেও তা অসার প্রমাণিত হয় এ কারণে যে, এ কাহিনী দার্শণিক এরিস্টোটলও উল্লেখ করেছেন খৃষ্টান ধর্ম পৃথিবীতে আসার অনেক আগে পদার্থ বিজ্ঞানে সময়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে- Aristotle is the first who briefly allude the stories about “long-sleepers”. In his Physics, he engages in a very subtle discussion of what exactly time is. In that context he says-
“Time does not exist without change, for when the state of our mind does not change at all, or we have not noticed its changing, we do not think that time has elapsed any more than those who are fabled to sleep among the “Heroes of Sardinia” do when they are awakened; for they connect the earlier ‘now’ with the later and make them one, cutting out the interval because of their failure to notice it.” -(Physics 4.11, 218b23-26).
Some allege that it is in Ephesus, Turkey; others cite a place near Amman, Jordan. Uyghur Muslims even suggest Tuyukhojam, Turpan is the location of the cave, because they believe that place matches the Qur'an's description.
সমাপ্ত।
ছবি: Wikipedia.
ছবি: Wikipedia.
উৎস:
• Pieter W. van der Horst (2011). Pious Long-Sleepers in Greek, Jewish, and Christian Antiquity.
• Fortescue, Adrian (1913). "The Seven Sleepers of Ephesus" . Catholic Encyclopedia.
• "The Seven Sleepers" . The Golden Legend.
• Jacobus (1899). "XV.—The Seven Sleepers" pp. 174–5
• Medieval and Tudor Drama, ed. John Gassner (1987), 245.
• "Surah 18. Al-Kahf" . Quran in English. (18:25).
• Hadhrat al-Hajj Mirza Bashirudeen Mahmood Ahmad – Khalifatul Masih II.
• Noorudin, Hadhrat al-Hajj Hafiz Hakim Maulana. Haqaiqul Furqan iii.
• Symeon Metaphrastes, "Lives of the Saints"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন