৭ মার্চ, ২০১২

Muhammad: মুহম্মদ তার প্রভু কর্তৃক তিরস্কৃত হলেন।


মুহম্মদের ব্যক্তিত্বের বিনয় নম্রতা, আত্মার মহত্ত্ব ও হৃদয়ের পবিত্রতা, চরিত্রের তপশ্চর্যা, অনুভূতির সূক্ষ্মতা ও কোমলতা এবং কঠোর কর্তব্যপরায়ণতা, যা তাকে আল-আমিন উপাধিতে বিভূষিত করেছিল তা সমন্বিত হয়েছিল তার আত্মসমীক্ষার কঠোর বোধের সঙ্গে- যা ছিল তার চরিত্রের বিশিষ্টতা। একবার তিনি মক্কার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম বিষয়ে কথাবার্তা বলছিলেন, তখন একজন অন্ধ, বিনয়ী বিশ্বাসীকে তার সঙ্গদান থেকে বিমুখ করেছিলেন। তিনি সর্বদা অনুশোচনার সঙ্গে এ ঘটনার পুনরুল্লেখ করতেন এবং এ ব্যাপারে আল্লাহর অনুমোদনের কথা ঘোষণা করতেন।

বর্ণিত অন্ধ ব্যক্তিটি ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে মকতুম। তিনি অন্ধ হওয়ার কারণে এটা জানতে পারেননি যে, মুহম্মদ (Muhammad) অন্যের সাথে আলোচনায় রত রয়েছেন। তিনি মসজিদে প্রবেশ করেই তাকে কোরআনের একটি আয়াতের পাঠ জিজ্ঞেস করেন এবং কয়েকবার আওয়াজ দেন।

মুহম্মদ কুরাইশ নেতৃবর্গকে উপদেশ দিচ্ছিলেন। এই নেতৃবর্গ ছিলেন ওতবা ইবনে রাবিয়া, আবু জেহেল ইবনে হাশেম ও তার পিতৃব্য আব্বাস। মুহম্মদের বিরক্তির কারণ ছিল প্রথমতঃ আব্দুল্লাহর প্রশ্নটি ছিল মামুলি, আর তিনি তার এই মামুলি প্রশ্নের তাৎক্ষণিক জবাবের জন্যে পীড়াপীড়ি করছিলেন। তিনি সাচ্চা মুসলমান ছিলেন এবং সদাসর্বদা মজলিসে উপস্থিত থাকতেন। সুতরাং তার এ প্রশ্ন অন্যসময়ও রাখতে পারতেন।

অতঃপর এই আয়াত নাযিল হল- ‘সে (মুহম্মদ) বিরক্ত হল, মুখ ফিরিয়ে নিল, কারণ তার কাছে এক অন্ধ এসেছিল। তুমি ওর সম্বন্ধে কি জান? সে হয়তঃ পরিশুদ্ধ হত বা উপদেশ নিত ও উপদেশ থেকে উপকার পেত। যে নিজেকে পরিশুদ্ধ না করে, তবে তাতে তোমার কোন দোষ হত না। অথচ যে কিনা তোমার কাছে ছুটে এল, আর এল ভয়ে ভয়ে, তাকে তুমি অবজ্ঞা করলে, কখনও (তুমি এমন করবে) না এ এক উপদেশবাণী।(৮০:১-১১)

অতঃপর যখনই মুহম্মদ ঐ ব্যক্তিকে দেখতে পেতেন তখনি তাকে সম্মান দেখানোর জন্যে কাজ ফেলে এগিয়ে যেতেন এবং বলতেন, ‘সেই ব্যক্তিকে বারবার অভিনন্দন যার জন্যে প্রভু আমাকে তিরস্কার করেছেন।’ 

এই অন্ধ ব্যক্তিকে মুহম্মদ দু‘বার মদিনার গভর্ণর করেছিলেন।

সমাপ্ত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Moses: কোরাণিক ক্যানভাসে নবী মূসা।

Abu Hena Mostafa Kamal  01 May, 2017 মি সরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ফেরাউন। হঠাৎ করে তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। কিন্তু তিনি কোন উত্তরাধিকারী ন...