হারাম আরবী শব্দ যা অর্থ পাপকাজ যা নিষিদ্ধ। ইসলামী শরীয়তে হারাম বোঝান হয় এমন কোন কাজ যা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন and is one of five Islamic commandments (al-ahkam al-khamsah) that define the morality of human action. Acts that are haram are typically prohibited in the religious texts of the Qur'an and the Sunnah.The category of haram is the highest status of prohibition. মুসলিমদের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, বাম কাঁধের ফেরেস্তা হারাম (পাপ কাজসমূহ) লিপিবদ্ধ করে থাকে। If something is considered Haram, it remains prohibited no matter how good the intention is or how honorable the purpose is. আবার অনেকের মতে হারাম কাজসমূহ বিচার দিবসে ন্যায়বিচারের দাঁড়িপাল্লায় আমলনামা ওজনের সময় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মত কাজ করে পাপ কাজসমূহকে ভারী করে তুলবে।
The religious term Haram, based on the Qur'an, is applied to:
Prohibition of meat: He hath forbidden you only carrion, and blood, and Swineflesh, and that which has been immolated to (the name of) any other than God. But he who is driven by necessity, neither craving nor transgressing, it is no sin for him. Lo! God is Forgiving, Merciful. —[2:173 ]
How should ye not eat of that over which the name of God hath been mentioned, when He hath explained unto you that which is forbidden unto you unless ye are compelled thereto. But lo! many are led astray by their own lusts through ignorance. Lo! thy Lord, He is Best Aware of the transgressors. —[6:119 ]
Prohibition of fornication: And come not near unto Adultery. Lo! it is an abomination and an evil way. —[17:32 ]
Those who invoke not, with God, any other god, nor slay such life as God has made sacred except for just cause, nor commit fornication – and any that does this (not only) meets punishment. —[ 25:68 ]
All business and trade practices that do not result in free and fair exchange of goods and services are considered haram, such as bribery, stealing, and gambling. Therefore, all forms of deceit and dishonesty in business are prohibited in Islam.
Prohibition of unethical business practices: O ye who believe! Devour not Usury, doubling and quadrupling (the sum lent). Observe your duty to Allah, that ye may be successful. —[ 3:130 ]
Allah hath blighted usury and made almsgiving fruitful. Allah loveth not the impious and guilty. —[ 2:276 ]
যাহোক, এখন আমরা আমাদের মূল উপস্থাপনায় ফিরি-
মুহম্মদের নব্যুয়তের প্রথমভাগে মদ্যপান স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। তিনি যখন মদিনাতে হিযরত করেন, তখন মদিনাবাসীদের মধ্যে মদ্যপান ও জুয়া (Wine & Gambling) বহুল প্রচলিত ছিল। সাধারণ মানুষ এ দু'টি বস্তুর শুধু বাহ্যিক উপকারীতার প্রতি লক্ষ্য করেই এতে মত্ত ছিল। যদিও সাহাবীদের মধ্যে এমনকিছু লোক ছিলেন, যারা মদ কখনও স্পর্শ করেননি। মদিনায় পৌঁছার পর কতিপয় সাহাবী মদ্যপানের অকল্যাণগুলো অনুভব করলেন। তখন ওমর, মা'আজ ইবনে জাবাল এবং কিছু সংখ্যক আনসার নবী মুহম্মদের কাছে প্রশ্ন রাখলেন, "মদ ও জুয়া মানুষের বুদ্ধি বিবেচনাকে বিলুপ্ত করে ফেলে এবং ধন-সম্পদও ধ্বংস করে ফেলে। এ সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি?"
The religious term Haram, based on the Qur'an, is applied to:
- কাজ: বিবাহ বহির্ভূত সেক্স, মানুষ হত্যা, শরীরে উল্কি (Tattoo) আঁকা, আলস্যে নামাজ পরিত্যাগ।
- নীতি: যেমন- Riba বা রক্তের প্রতিশোধ।.
- স্থাপনা: যেমন- al-Masjid al-Haram ও al-Masjid al-Nabawi as Haram (Sacred) Mosques. In addition, the word Haram is used in the Qur'an to denote the sacred nature of the Ka'ba and the areas of Mecca, Medina, and Jerusalem.
- খাদ্য ও পানীয়: যেমন- শুকরের মাংস, মদ, হালাল খাদ্য কিন্তু রোজা অবস্থায়, দেব-দেবীর নামে উৎসর্গিত পশুর মাংস।
Prohibition of meat: He hath forbidden you only carrion, and blood, and Swineflesh, and that which has been immolated to (the name of) any other than God. But he who is driven by necessity, neither craving nor transgressing, it is no sin for him. Lo! God is Forgiving, Merciful. —[2:173 ]
How should ye not eat of that over which the name of God hath been mentioned, when He hath explained unto you that which is forbidden unto you unless ye are compelled thereto. But lo! many are led astray by their own lusts through ignorance. Lo! thy Lord, He is Best Aware of the transgressors. —[6:119 ]
Prohibition of fornication: And come not near unto Adultery. Lo! it is an abomination and an evil way. —[17:32 ]
Those who invoke not, with God, any other god, nor slay such life as God has made sacred except for just cause, nor commit fornication – and any that does this (not only) meets punishment. —[ 25:68 ]
All business and trade practices that do not result in free and fair exchange of goods and services are considered haram, such as bribery, stealing, and gambling. Therefore, all forms of deceit and dishonesty in business are prohibited in Islam.
Prohibition of unethical business practices: O ye who believe! Devour not Usury, doubling and quadrupling (the sum lent). Observe your duty to Allah, that ye may be successful. —[ 3:130 ]
Allah hath blighted usury and made almsgiving fruitful. Allah loveth not the impious and guilty. —[ 2:276 ]
যাহোক, এখন আমরা আমাদের মূল উপস্থাপনায় ফিরি-
মুহম্মদের নব্যুয়তের প্রথমভাগে মদ্যপান স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। তিনি যখন মদিনাতে হিযরত করেন, তখন মদিনাবাসীদের মধ্যে মদ্যপান ও জুয়া (Wine & Gambling) বহুল প্রচলিত ছিল। সাধারণ মানুষ এ দু'টি বস্তুর শুধু বাহ্যিক উপকারীতার প্রতি লক্ষ্য করেই এতে মত্ত ছিল। যদিও সাহাবীদের মধ্যে এমনকিছু লোক ছিলেন, যারা মদ কখনও স্পর্শ করেননি। মদিনায় পৌঁছার পর কতিপয় সাহাবী মদ্যপানের অকল্যাণগুলো অনুভব করলেন। তখন ওমর, মা'আজ ইবনে জাবাল এবং কিছু সংখ্যক আনসার নবী মুহম্মদের কাছে প্রশ্ন রাখলেন, "মদ ও জুয়া মানুষের বুদ্ধি বিবেচনাকে বিলুপ্ত করে ফেলে এবং ধন-সম্পদও ধ্বংস করে ফেলে। এ সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি?"
এ প্রশ্নের উত্তরে এই আয়াতটি নাযিল হল- তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহা অকল্যাণ। আর মানুষের জন্যে উপকারীতাও রয়েছে, তবে এগুলোর অপকারীতা, উপকারীতা অপেক্ষা অনেক বেশী। -(২:২১৯)
ইতিপুর্বে আল্লাহ তাওরাতে মদকে হারাম করেছিলেন শুধুমাত্র হারুণ ও তার বংশধরদের জন্যে যারা ঈমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন ও স্বাক্ষ্য তাম্বুর দেখাশোনা করবেন। অবশ্য এটা ঠিক যে, নবী হবকুকক একথা বলেছেন- "Woe unto him that giveth his neighbour drink, that puttest thy bottle to him, and makest him drunken also..."- Habakkuk 2:15. যাহোক, এখন এই আয়াতে তাওরাতের কোন আয়াতের পুনরুল্লেখ করা হয়নি এবং পরিস্কার ভাবে মদকে হারাম করাও হয়নি। শুধু এর অনিষ্ট ও অকল্যাণ দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। অবশ্য মদ্যপানের কূ-ফল সম্পর্কে নবী শলোমনও এমনতর বলেছেন-
কে হায় হায় বলে? কে হাহাকার করে?
কে বিবাদ করে? কে বিলাপ করে?
যারা দ্রাক্ষারসের সান্নিধ্যে থাকে,
যারা শূরার সন্ধানে যায়।
দ্রাক্ষারসের প্রতি দৃষ্টি দিও না,
যদিও তা রক্তবর্ণ দেখায়,
যদিও তা পাত্রে চকচক করে,
যদিও তা সহজে গলায় নেমে যায়,
কারণ অবশেষে তা দংশে সর্পের ন্যায়,
তার বিষ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তোমার মদির চক্ষু পরকীয়া নারীদেরকে ডাকবে,
তোমার চিত্ত কূটিল কথা বলবে;
তুমি তার তূল্য হবে, যে সমুদ্রের মধ্যস্থলে.
শায়িত জাহাজের মাস্ত্তলে।
তুমি বলবে, 'লোকে আমাকে মেরেছে,
কিন্তু আমি ব্যাথা পাইনি; আমাকে প্রহার করেছে,
কিন্তু টের পাইনি। আমি কখন জাগ্রত হব?
আর তার অন্বেষণে যাব।'
তুমি নারীদেরকে নিজের শক্তি দিও না,
যা বিনাশ করে, তাতে লিপ্ত হইও না।
রাজগণের জন্যে মদ্যপান উপযুক্ত নয়,
'শূরা কোথায়?' -সে কি শুধায়? পাছে হায়,
অতিরিক্ত পানে সে বিধি বিস্মৃত হয়
আর অবিচার করে ফেলে তার- যে বড় অসহায়।
মৃতকল্প ব্যক্তি শূরা পান করে, তিক্তপ্রাণ দ্রাক্ষারস;
ভুলতে চায় সে দৈন্যদশা, নতুবা কোন দীর্ঘশ্বাস।
তুমি যদি রাজা হও, শূরা পান ছাড়,
মনোযোগ কর মঙ্গলে,বিধবা ও অনাথের।
যদি হও শাসনকর্তা, তবে ন্যায়বিচার কর,
দু:খী ও দরিদ্রের।
যাহোক,ঐ আয়াত নাযিল হওয়ার পর কিছু সাহাবী তৎক্ষণাৎ মদ্যপান ত্যাগ করলেন, আর অন্যেরা মদ্যপান ত্যাগ না করলেও সতর্কতা অবলম্বণ করলেন।
একদিন আবদুর রহমান ইবনে আওফ তার কয়েকজন বন্ধুকে বাড়ীতে নিমন্ত্রণ করলেন। আহারাদির পর যথারীতি মদ্যপানের ব্যবস্থা করা হল এবং সবাই মদ পান করলেন। এমতাবস্থায় মাগরিবের নামাজের সময় হলে সবাই নামাজে দাঁড়ালেন এবং তাদের একজন ঈমামতির দায়িত্ব নিলেন। নেশাগ্রস্থ থাকায় ঈমাম নামাজের একটি সূরা ভুল পড়ে ফেললেন। অতঃপর নামাজরে ভাগ্য সর্ম্পকে মুহম্মদরে কাছে জানতে চাইলে এই আয়াত নাযিল হল- "হে ঈমানদারেরা! তোমরা যখন নেশাগ্রস্থ থাক, তখন নামাজের ধারে কাছেও যেও না, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ।" -(৪:৪৩)
এই আয়াত দ্বারা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজে দন্ডায়মান হতে নিষেধ করা হয়েছে, তবে অন্যান্য সময়ে তা পান করলে শাস্তিযোগ্য হবে বলে ঘোষণা করা হয়নি।
আতবান ইবনে মালেক তার বাড়ীতে কয়েকজন বন্ধুকে নিমন্ত্রণ করলেন। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাসও ছিলেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে মদ্যপানের প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেল। যখন সবাই কমবেশী নেশাগ্রস্থ তখন তাদের মধ্যে কবিতা প্রতিযোগীতা শুরু হল। সাদ একটি কবিতা আবৃত্তি করলেন, যাতে আনসারদের দোষারোপ করে নিজেদেরকে প্রশংসাকীর্তণ করা হয়েছে। এই কবিতা শুনে একজন আনসার রাগান্বিত হয়ে উটের গন্ড দেশের একটি হাঁড় সা'দকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারলেন। হাঁড়টি এসে সা'দের মাথায় আঘাত করল। এতে তিনি মারাত্মক আহত হলেন।
উৎসর্গের বেদী। |
"হে মুমিনেরা, এই যে মদ, জুয়া, উৎসর্গের বেদী (বেদীর উপর দেবতার নামে উৎসর্গীত পশু) এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ- এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব তোমরা এখনও কি বিরত হবে?" -(৫:৯০-৯১)
মদপান থেকে বিরত থাকার উপদেশ সম্বলিত কোরআনের এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর, নবীজীর প্রেরিত একব্যক্তি মদিনার অলি-গলিতে তা প্রচার করল। তখন যার হাতে মদের পাত্র ছিল তা সে সেখানেই ফেলে দিয়েছিল, যার ঘরে মদ ছিল সেও তৎক্ষণাৎ মদের পাত্র ঘর থেকে বের করে বাইরে ছুঁড়ে ফেলেছিল। আর যেসব মদ বাজারে ছিল ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে, নবীজীর নির্দেশে মালিকেরা সেগুলি নির্দিষ্ট স্থানে জড় করল ধ্বংসের উদ্দেশ্যে বিনা দ্বিধায়।
উৎসর্গের বেদী। |
তখন ঐ সাহাবী বিনা আপত্তিতে তার সমুদয় পূঁজির বিনিময়ে আনীত মদ ফিরে গিয়ে স্বহস্তে ঐ পাহাড়ের পাদদেশেই মাটিতে ঢেলে দিয়েছিলেন।
মদ থেকে বিরত থাকার উপদেশের আয়াতে বেদীতে উৎসর্গীত পশুর মাংস ও ভাগ্য নির্ধারণী শরকেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
কোন কাজ করার আগে আরবীয়রা ভাগ্য নির্ধারণ করত। আবার ভাগ্য নির্ধারণী বিভিন্ন রকম শরের খেলা তথা জুয়াও প্রচলিত ছিল। ধরি, দশ ব্যক্তি শরীক হয়ে একটি উট জবেহ করল। অতঃপর এর মাংস সমান দশভাগে ভাগ করার পরিবর্তে তারা দশ শরীকের জন্যে দশটি শর একটি তুনের মধ্যে রেখে নাড়াচাড়া করে প্রত্যেকে একটি করে শর তুলে নিত।
এই দশটি শরের সাতটিতে বিভিন্ন অংশের চিহ্ন অঙ্কিত থাকত। পাঁচটিতে এক, একটিতে দুই এবং একটিতে তিন অংশ অঙ্কিত থাকত, অবশিষ্ট তিনটি শর অংশীবিহীন সাদা থাকত। যার নামে যত অংশ বের হত সে তত অংশের অধিকারী হত এবং যার নামে অংশী বিহীন শর উঠত সে বঞ্চিত হত।
সমাপ্ত।
ছবি: ebibleteacher, traveljournels.
উৎস:
- Quran.
- Bible.
- Hadith.
- Wikipedea.
- Adamec, Ludwig (2009). Historical Dictionary of Islam, 2nd Edition. p. 102.
- Islam Annemarie Schimmel – 1992, p. 83
- Al-Qardawi, Yusuf (1999). The Lawful and the Prohibited in Islam. American Trust Publications. p. 26.
- The Holy City: Jerusalem in the theology of the Old Testament – p. 20, Leslie J. Hoppe – 2000
- The Palgrave Handbook of Spirituality and Business – p. 142, Luk Bouckaert, Laszlo Zsolnai – 2011
- Faruki, Kemal (March 1966). "Al-Ahkam Al-Khamsah: The Five Values". Islamic Studies 5: 43.
- Al-Qardawi, Yusuf (1999). The Lawful and the Prohibited in Islam. p. 22.
- The Encyclopaedia of Islam. p. 257.
- McAuliffe, Jane Dammen. "Forbidden". Encyclopaedia of the Qur'an 2: 224–225.
- Al Jallad, Nader (2008). "The concepts of al-haram in the Arab-Muslim culture:
- Al Jallad, Nader (2008). "The concepts of al-halal and al-haram in the Arab-Muslim culture:
- Siddiqui, Mona (2012). The Good Muslim. Cambridge University Press. p. 88.
- Samiullah, Muhammad (1982). "The Meat: Lawful and Unlawful in Islam".
- Al-Qardawi, Yusuf (1999). The Lawful and the Prohibited in Islam. American Trust Publications. p. 46.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন