পৃথিবীতে প্রাণের (Lives on Earth) উৎপত্তি সম্পর্কে বিজ্ঞান: আজ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন বৎসর পূর্বে সংঘটিত মহাবিষ্ফোরণের মাধ্যমে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে। মহাবিষ্ফোরণের ১০০ সেকেন্ড পর নবজাতক মহাবিশ্বের একমাত্র উপাদান কোয়ার্ক (মৌলকণা) এর স্যূপ ঘণীভূত হয়ে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং লিথিয়ামের নিউক্লিয়াস কেন্দ্র সৃষ্টি করেছিল। এরপর তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সৃষ্টি হয়েছে অন্যান্য মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ। অতঃপর সৃষ্টি হয় ছায়াপথ, নক্ষত্র, গ্রহ বা উপগ্রহ।
এভাবে পৃথিবী সৃষ্টির ৬০০ মিলিয়ন বৎসর পর (নিউপ্রোটেরজইক যুগের শেষে এক সুদীর্ঘ বরফ যুগের চুগান্ত পর্যায়ে) তাতে প্রাণের উন্মেষ ঘটে। আর পানিই হচ্ছে প্রাণের আদি উৎস।
এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে (বুধবার-৫/০২/০৯ লন্ডন ভিত্তিক বিজ্ঞান জার্নাল নম্রচারে প্রকাশিত) বলা হয়েছে- আজ থেকে সাড়ে তেষট্টি কোটি বৎসর আগে পৃথিবীতে প্রাণের আবির্ভাব ঘটেছিল। ওমানের শৈলস্তরের নীচে চাপা পড়া জীবাশ্বের সময় নিরূপণে এক ব্যতিক্রমী কৌশল ব্যাবহার করে দেখা গেছে, সেখানে সাড়ে ৬৩ কোটি বৎসর আগেই আদিমতম অনুজীব স্পঞ্জ বিকাশ লাভ করেছিল। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মেটাজোয়া নামে প্রাণীজগতের প্রথম প্রমান পাওয়া যায় জীব বৈচিত্র্যের কথিত ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ থেকে। এটি ছিল ৫৪ কোটি বৎসর আগেকার।
পৃথিবীতে প্রাণ তথা জীবনের প্রাচীনতম নিদর্শণের প্রথম হচ্ছে উদ্ভিদ জগৎ-প্রাণী জগতের আবির্ভাব ঘটে এর কিছু পরে। আর প্রাণী জীবনেরও উদ্ভব ঘটেছিল সমুদ্র থেকেই।
পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি সম্পর্কে কোরআন: এবং প্রতিটি জীবন্ত জিনিসকে আমি উঠিয়েছি পানি হতে। -(২১:৩০) তিনি সমস্ত প্রকারের প্রাণীকে পানি হতে সৃষ্টি করেছেন। ওদের কিছু বুকে ভর দিয়ে চলে, কিছু দুই পায়ে ও কিছু চার পায়ে। -(২৪:৪৫)
অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তির বিষয়ে (মানব এবং জ্বীন জাতি ব্যতিত) বিজ্ঞান এবং কোরআনের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।
অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তির বিষয়ে (মানব এবং জ্বীন জাতি ব্যতিত) বিজ্ঞান এবং কোরআনের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।
সমাপ্ত।
একজনের প্রশ্ন ছিল- “কি বলতে চাইছেন আপনি এই আর্টিকেল দিয়ে?”
আমি বললাম- “মানুষ বানরের বংশধর নয়, একথাটাই।”
একজনের প্রশ্ন ছিল- “কি বলতে চাইছেন আপনি এই আর্টিকেল দিয়ে?”
আমি বললাম- “মানুষ বানরের বংশধর নয়, একথাটাই।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন