১৭ মার্চ, ২০১২

Hud: হু'দ ও তার সম্প্রদায় আ'দদের কাহিনী।


হযরত হুদ (Hud) শাদ্দাদকে সৎ পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে তার সম্প্রদায় আ‘দদের কাছে সত্য প্রচারের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তোমরা কি সাবধান হবে না?’ 
তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা অবিশ্বাস করেছিল তারা বলেছিল, ‘নির্বোধ! আমরা তো দেখছি তুমি একজন বোকা, আর আমরা তো তোমাকে মিথ্যেবাদী মনেকরি।’ 

হুদ বললেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমি নির্বোধ নই, আমি তো বিশ্ব-জগতের প্রতিপালকের রসূল। আমি আমার প্রতিপালকের বাণী তোমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি, আর আমি তোমাদের একজন বিশ্বস্ত উপদেষ্টা। তোমরা কি অবাক হচ্ছ যে, তোমাদের কাছে তোমাদেরই মত একজনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমাদেরকে সতর্ক করার জন্যে উপদেশ এসেছে? আর স্মরণ কর আল্লাহ তোমাদেরকে নূহের সম্প্রদায়ের স্থলাভিষিক্ত করেছেন আর তোমাদের দৈহিক শক্তিতে সমৃদ্ধ করেছেন।(এদের গঠন ও দৈহিক শক্তি সম্পর্কে কোরআনে উল্লেখ রয়েছে-যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি (৮৯:৭-৮))। সুতরাং তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, হয়ত: তোমরা সফলকাম হবে।’
তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদের কাছে এই উদ্দেশ্যে এসেছ যে, আমরা যেন শুধু আল্লাহর উপাসনা করি আর আমাদের পূর্বপুরুষগণ যার উপাসনা করত, তাকে বাদ দেই? সুতরাং তুমি সত্যবাদী হলে, আমাদেরকে যার ভয় দেখাচ্ছ তা আন।’
হুদ বললেন, ‘তোমাদের প্রতিপালকের শাস্তি ও গজব তো তোমাদের জন্যে ঠিক করাই আছে। তবে কি তোমরা আমার সাথে তর্ক করতে চাও এমন কতকগুলো নাম সম্বন্ধে, যা তোমরা ও তোমাদের পিতৃ-পুরুষগণ সৃষ্টি করেছ আর যে-সম্বন্ধে আল্লাহ কোন সনদ পাঠাননি? সুতরাং তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি।’
হুদ আরও বললেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর। তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তোমরা তো কেবল মিথ্যে বানাও। হে আমার সম্প্রদায়! আমি তার পরিবর্তে তোমাদের কাছে প্রতিদান চাইনে। আমার প্রতিদান আছে তাঁরই কাছে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। তোমরা কি বোঝার চেষ্টা করবে না? হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও, তারপর তাঁর দিকে ফিরে যাও। তিনি তোমাদের প্রচুর বৃষ্টি দেবেন। তিনি তোমাদের আরও শক্তি বৃদ্ধি করবেন। আর তোমরা অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিও না।’

ওরা বলল, ‘হে হুদ! তুমি আমাদের কাছে কোন স্পষ্ট প্রমাণ আননি। তোমার কথায় আমরা আমাদের উপাস্যদের উপাসনা ছেড়ে দেব না আর আমরা তোমাদের বিশ্বাস করিনে। আমরা তো বলি, আমাদের উপাস্যদের মধ্যে কেউ তোমাকে অশুভভাবে আচ্ছন্ন করেছে?’ 
হুদ বললেন, ‘আমি আল্লাহকে স্বাক্ষী করছি আর তোমরাও স্বাক্ষী হও যে, তোমরা যাকে আল্লাহর শরিক কর, আমার তার সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই তাঁকে ছাড়া, তোমরা সকলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর আর আমাকে অবকাশ দিয়োনা। আমি নির্ভর করি আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহর ওপর; এমন কোন জীব-জন্তু নেই যে তাঁর পূর্ণ আয়ত্ত্বাধীন না। আমার প্রতিপালক সরল পথে আছেন। তারপর তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে আমি যা নিয়ে তোমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছি আমি তো তা তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আর আমার প্রতিপালক তোমাদের থেকে অন্য কোন সম্প্রদায়কে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন আর তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আমার প্রতিপালক তো সমস্তকিছুর রক্ষণাবেক্ষণ করেন।’

তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা অবিশ্বাস করেছিল ও পরলোকের সাক্ষাৎকারকে অস্বীকার করেছিল এবং যাদেরকে আল্লাহ পার্থিব জীবনে প্রচুর ভোগসম্ভার দিয়েছিলেন তারা বলেছিল, ‘এ তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ এবং তোমরা যা পান কর সেও তাই পান করে। যদি তোমরা তোমাদেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তো তোমাদেরই ক্ষতি হবে। সে কি তোমাদেরকে এ প্রতিশ্রুতিই দেয় যে, তোমাদের মৃত্যু হলে এবং তোমরা মাটি ও হাঁড় হয়ে গেলে তোমাদেরকে আবার ওঠান হবে? তোমাদেরকে যে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা কখনও ঘটবে না, কখনও না! একমাত্র পার্থিব জীবনই আমাদের জীবন; আমরা মরি বাঁচি এখানেই, আর আমাদের আর ওঠান হবে না। সে তো এমন এক ব্যক্তি, যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যে বানিয়েছে, আর আমরা তাকে বিশ্বাস করিনে।’
হুদ বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য কর, কারণ ওরা আমাকে মিথ্যেবাদী বলে।’ 
আল্লাহ বললেন, ‘শীঘ্রই ওরা আফসোস করবে।’

আ’দ জাতির প্রতি হুদের এই আহ্বান এবং তাদের ধ্বংস সম্পর্কিত কোরআনের আয়াতসমূহ- আর আ‘দ জাতির কাছে ওদের ভাই হুদকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তোমরা কি সাবধান হবে না?’ 
তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা অবিশ্বাস করেছিল তারা বলেছিল,‘নির্বোধ! আমরা তো দেখছি তুমি একজন বোকা, আর আমরা তো তোমাকে মিথ্যেবাদী মনেকরি।’ 
সে বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমি নির্বোধ নই, আমি তো বিশ্ব-জগতের প্রতিপালকের রসূল। আমি আমার প্রতিপালকের বাণী তোমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি, আর আমি তোমাদের একজন বিশ্বস্ত উপদেষ্টা। তোমরা কি অবাক হচ্ছ যে, তোমাদের কাছে তোমাদেরই মত একজনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমাদেরকে সতর্ক করার জন্যে উপদেশ এসেছে? আর স্মরণ কর আল্লাহ তোমাদেরকে নূহের সম্প্রদায়ের স্থলাভিষিক্ত করেছেন আর তোমাদের দৈহিক শক্তিতে সমৃদ্ধ করেছেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, হয়ত তোমরা সফলকাম হবে।’
তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদের কাছে এই উদ্দেশ্যে এসেছ যে, আমরা যেন শুধু আল্লাহর উপাসনা করি আর আমাদের পূর্বপুরুষগণ যার উপাসনা করত, তাকে বাদ দেই? সুতরাং তুমি সত্যবাদী হলে, আমাদেরকে যার ভয় দেখাচ্ছ তা আন।’
সে বলল, ‘তোমাদের প্রতিপালকের শাস্তি ও গজব তো তোমাদের জন্যে ঠিক করাই আছে। তবে কি তোমরা আমার সাথে তর্ক করতে চাও এমন কতকগুলো নাম সম্বন্ধে, যা তোমরা ও তোমাদের পিতৃ-পুরুষগণ সৃষ্টি করেছ আর যে-সম্বন্ধে আল্লাহ কোন সনদ পাঠাননি? সুতরাং তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি।’(৭:৬৫-৭১)

সে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর। তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তোমরা তো কেবল মিথ্যে বানাও। হে আমার স¤প্রদায়! আমি তার পরিবর্তে তোমাদের কাছে প্রতিদান চাইনে। আমার প্রতিদান আছে তাঁরই কাছে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। তোমরা কি বোঝার চেষ্টা করবে না? হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও, তারপর তাঁর দিকে ফিরে যাও। তিনি তোমাদের প্রচুর বৃষ্টি দেবেন। তিনি তোমাদের আরও শক্তি বৃদ্ধি করবেন। আর তোমরা অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিও না।’

ওরা বলল, ‘হে হুদ! তুমি আমাদের কাছে কোন স্পষ্ট প্রমাণ আননি। তোমার কথায় আমরা আমাদের উপাস্যদের উপাসনা ছেড়ে দেব না আর আমরা তোমাদের বিশ্বাস করিনে। আমরা তো বলি, আমাদের উপাস্যদের মধ্যে কেউ তোমাকে অশুভভাবে আচ্ছন্ন করেছে?’ 
সে বলল, ‘আমি আল্লাহকে স্বাক্ষী করছি আর তোমরাও স্বাক্ষী হও যে, তোমরা যাকে আল্লাহর শরিক কর, আমার তার সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই তাকে (আল্লাহকে) ছাড়া, তোমরা সকলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর আর আমাকে অবকাশ দিয়োনা। আমি নির্ভর করি আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহর ওপর; এমন কোন জীব-জন্তু নেই যে তাঁর পূর্ণ আয়ত্ত্বাধীন না। আমার প্রতিপালক সরল পথে আছেন। তারপর তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে আমি যা নিয়ে তোমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছি আমি তো তা তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আর আমার প্রতিপালক তোমাদের থেকে অন্য কোন সম্প্রদায়কে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন আর তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আমার প্রতিপালক তো সমস্তকিছুর রক্ষণাবেক্ষণ করেন।’(১১:৫৫-৫৭)
তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা অবিশ্বাস করেছিল ও পরলোকের সাক্ষাৎকারকে অস্বীকার করেছিল এবং যাদেরকে আমি পার্থিব জীবনে প্রচুর ভোগসম্ভার দিয়েছিলাম তারা বলেছিল, ‘এ তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ এবং তোমরা যা পান কর সেও তাই পান করে। যদি তোমরা তোমাদেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তো তোমাদেরই ক্ষতি হবে। সেকি তোমাদেরকে এ প্রতিশ্রুতিই দেয় যে, তোমাদের মৃত্যু হলে এবং তোমরা মাটি ও হাঁড় হয়ে গেলে তোমাদেরকে আবার ওঠান হবে? তোমাদেরকে যে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা কখনও ঘটবে না, কখনও না! একমাত্র পার্থিব জীবনই আমাদের জীবন; আমরা মরি বাঁচি এখানেই, আর আমাদের আর ওঠান হবে না। সে তো এমন এক ব্যক্তি, যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যে বানিয়েছে, আর আমরা তাকে বিশ্বাস করিনে।’
সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য কর, কারণ ওরা আমাকে মিথ্যেবাদী বলে।’ 
আল্লাহ বলেন, ‘শীঘ্রই ওরা আফসোস করবে।(২৩:৩৩-৪০)

আ’দ জাতি তাদের প্রতিপালককে, প্রতিপালকের নিদর্শণকে এবং বিচার দিবসকে অস্বীকার করল। অস্বীকার করল তাঁর রসূলদেরকে। আর ওরা প্রত্যেকে ঔদ্ধ্যত স্বৈরাচারীর নির্দেশ অনুসরণ করত। তাই আল্লাহর নির্দেশ এসে পড়ল। এসময় হুদ ও তার সকল অনুসারীগণ আল্লাহর নির্দেশে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করলেন।
দিনের শেষভাগে লোকেরা একখন্ড মেঘকে তাদের উপত্যকা অভিমুখী দেখল। তারা বলল, ‘এ তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে।’
তাদের এই মনোভাব দেখে আল্লাহ মনে মনে বললেন, ‘বরং এটা সেই বস্তু যা তোমরা তাড়াতাড়ি চেয়েছিলে। এটা বায়ূ এতে রয়েছে মর্মন্ত্তদ শাস্তি। তার পালনকর্তার আদেশে সে সবকিছুকে ধ্বংস করে দেবে।’

প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে দিল। আর এই বিধ্বংসী ঝড় যার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল তাই চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছিল। আর তাই ভোরবেলায় এমন হয়ে গেল যে, তাদের বসতিগুলো ছাড়া আর কিছুই দৃষ্টিগোচর হল না।
আ’দ সম্প্রদায় ধ্বংস হল, ধ্বংস হল এক প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায়, যা আল্লাহ তাদের ওপর দিয়ে বইয়ে দিয়েছিলেন এক নাগাড়ে সাত দিন আট রাত।

এ সংক্রান্ত কোরআনের আয়াতসমূহ-‘আর যখন আমার নির্দেশ এল তখন হুদ ও তার সঙ্গে যারা বিশ্বাস করেছিল তাদেরকে আমি আমার অনুগ্রহে ক্ষমা করলাম ও তাদেরকে কঠিন শাস্তি থেকে রক্ষা করলাম। এই জাতি তাদের প্রতিপালকের নিদর্শণ অস্বীকার করেছিল। আর তাঁর রসূলদের অমান্য করেছিল, আর ওরা প্রত্যেকে ঔদ্ধ্যত স্বৈরাচারীর নির্দেশ অনুসরণ করত। এই পৃথিবীতে ওদের অভিশাপগ্রস্থ করা হয়েছিল; আর কেয়ামতের দিনেও (অভিশপ্ত হবে)।(১১:৫৮-৬০) 

অতঃপর তারা যখন শাস্তিকে মেঘরূপে তাদের উপত্যাকা অভিমুখী দেখল, তখন বলল, ‘এ তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে।’
বরং এটা সেই বস্তু যা তোমরা তাড়াতাড়ি চেয়েছিলে। এটা বায়ূ এতে রয়েছে মর্মন্ত্তদ শাস্তি। তার পালনকর্তার আদেশে সে সবকিছুকে ধ্বংস করে দেবে।’
অতঃপর তারা ভোর বেলায় এমন হয়ে গেল যে, তাদের বসতিগুলো ছাড়া আর কিছুই দৃষ্টিগোচর হল না।(৪৬:২৪-২৫)

যখন আমি তাদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলাম বিধ্বংসী ঝড়। এ যার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল তাই চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছিল। (৫১:৪১-৪২) জেনে রাখ, আ’দ সম্প্রদায় তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করেছিল। জেনে রাখ, ধ্বংসই ছিল হু’দের সম্প্রদায় আ’দদের পরিণাম।(১১:৬০) আর আ’দ সম্প্রদায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল এক প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায়, যা তিনি ওদের ওপর দিয়ে বইয়ে দিয়েছিলেন এক নাগাড়ে সাত দিন আট রাত।(৬৯:৬-৭)

ঐশী গজবের পর জীবিত আ‘দগণ পরবর্তীতে থেবাইড ও ইথোপিয়া বা কুশাইট প্রতিবেশীদের যুগ্ম সহযোগিতায় দক্ষিণ দিকে চুড়ান্তভাবে বহিস্কৃত হয়েছিল। একসময়ে তাদের একাংশ আরব উপদ্বীপে গমন করে এবং ক্রমে তারা খোকতান প্রবাহের মধ্যে মিশে যায়।

সমাপ্ত।
ছবি: Snopes.com (অবশ্য Square-cube law- এ ধরণের বিশাল আকৃতির মানুষের বাস্তব অস্তিত্ব নকচ করে দেয়।) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Moses: কোরাণিক ক্যানভাসে নবী মূসা।

Abu Hena Mostafa Kamal  01 May, 2017 মি সরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ফেরাউন। হঠাৎ করে তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। কিন্তু তিনি কোন উত্তরাধিকারী ন...