Islam does never claim to be a new religion brought by Prophet Mohammed into Arabia in the seventh century, but rather to be a re-expression in its final form of the true religion of Almighty God, Allah, as it was originally revealed to Adam and subsequent prophets.-এর স্বপক্ষে আমরা দেখাতে পারি নিম্নোক্ত আয়াতগুলি-
তুমি আল্লাহর বিধানে পরিবর্তণ পাবে না এবং আল্লাহর রীতিনীতিতে কোনরকম বিচ্যুতিও পাবে না।-(৩৫:৪৩) তিনি তোমাদের জন্যে দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নির্ধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলাম নূহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার (মুহম্মদের) প্রতি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহিম, মূসা ও ঈসাকে এ মর্মে যে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি কোরও না।-(৪২:১৩)
অত:পর মুহম্মদের মাধ্যমে তা পরিপূর্ণতা লাভ করে-
“This day have I perfected your religion for you, completed My favour upon you, and have chosen for you Islam as your religion.” -
আর কোরআন ঘোষণা করেছে- "নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।-(৩:১৯) তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে?-(৩:৮৩) যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কষ্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থ।"-(৩:৮৫)
-উপরের এই আয়াতসমূহ থেকে একথা সুস্পষ্ট যে, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম (Religion with God)। সকল নবী-রসূল আদম, নূহ, ইব্রাহিম, ইয়াকুব, ইউসূফ, মূসা, দাউদ, ঈসা ও মুহম্মদ- সকলেই ছিলেন এই ধর্মের প্রবক্তা, অনুসারী ও প্রচারক। আর সর্বশেষ রসূল মুহম্মদের মাধ্যমে এই ধর্ম পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। এখন আমরা দেখি এ ধর্মটি কি-
খোদায়ী এই ধর্মের তাৎপর্য এর নামের মধ্যেই নিহীত। সালাম (সালামা) শব্দটি প্রাথমিক অর্থে শান্তিতে থাকা, কর্তব্য সম্পাদন করা, দেনাশোধ করা, পরিপূর্ণ শান্তির মধ্যে অবস্থান করা বোঝায়; আর গৌণ অর্থে যার সঙ্গে শান্তি স্থাপিত হয় তার কাছে আত্মসমর্পন করা বোঝায়। অর্থাৎ ইসলাম অর্থ-শান্তি, অভ্যর্থনা, নিরাপত্তা, পরিত্রাণ।
আর মুহম্মদ তার পিতৃব্য আবু তালিবকে তার ধর্ম কি তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছিলেন- ‘হে আমার পিতৃব্য, এই ধর্ম আল্লাহর, তার ফেরেস্তাদের, তার নবীদের এবং আমাদের পূর্বপুরুষ ইব্রাহিমের ধর্ম।'
আর মুহম্মদ তার পিতৃব্য আবু তালিবকে তার ধর্ম কি তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছিলেন- ‘হে আমার পিতৃব্য, এই ধর্ম আল্লাহর, তার ফেরেস্তাদের, তার নবীদের এবং আমাদের পূর্বপুরুষ ইব্রাহিমের ধর্ম।'
এখন আমরা দেখি কোরআন আরববাসীদের এবং সমগ্র মানবজাতিকে কি জ্ঞাত করছে- এটা এমন একটি গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ণ করেছি, খুব মঙ্গলময়, অতএব এর অনুসরণ কর এবং ভয় কর-যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও। এ এজন্যে যে, যাতে তোমরা বলতে না পার, ‘গ্রন্থ তো শুধু আমাদের পূর্ববর্তী দু‘সম্প্রদায়ের প্রতিই অবতীর্ণ হয়েছে এবং আমরা সেগুলোর পাঠ ও পঠন সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।’ কিম্বা বলতে না পার- ‘যদি আমাদের প্রতি কোন গ্রন্থ অবতীর্ণ হত, আমরা এদের চাইতে অধিক পথপ্রাপ্ত হতাম।’
অতএব, তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমান, হেদায়েত ও রহমত এসে গেছে।(৬:১৫৬-১৫৭)
এ সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই। এ যে ধর্মভীরুদের জন্যে সঠিক পথের সন্ধান। যারা অদৃশ্যে যারা বিশ্বাস করে, নামাজ কায়েম রাখে, আমি যে রুজী তাদেরকে দান করি তা থেকে খরচ করে এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার উপর যা নযিল হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখিরাত সম্পর্কে যারা আস্থাবান। এরাই তাদের পালনকর্তার পথগামী -এরাই যথার্থ সফলকাম।’(২:১-৫)
মুসলমান কারা? যারা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাদের সন্তানবর্গের উপর, আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলরা তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাদের কারও মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত।’(৩:৮৪)
নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদি, নাসারা ও সাবেইন (তাদের মধ্যে থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎ কাজ করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোন ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।(২:৬২)
আর হে নবী, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, তুমি তাদেরকে এমন জান্নাতের সুসংবাদ দাও, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, ‘এ তো অবিকল সেই ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে এবং সেখানে তাদের জন্যে শুদ্ধাচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। (২:২৫) সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিম্বা পশ্চিম দিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, কেয়ামত দিবসের উপর, ফেরেস্তাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলদের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্মীয়-স্বজন, এতিম মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসের জন্যে। আর যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা ক্রীত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী, তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেজগার।-(২:১৭৭)
মুসলমান তারাই যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরই ভালবাসেন। তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিম্বা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্যে হটকারিতা প্রদর্শণ করে না এবং জেনে শুনে তাই করতে থাকে না।-(৩:১৩৪-১৩৫)
আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্বের তথ্যাদিসহ খোদায়ী ধর্ম ইসলাম নিয়ে সর্ব প্রথম হযরত আদম দুনিয়াতে পদার্পণ করেন। তার তিরোধানের পর তার বংশধরের মধ্যেও দীর্ঘকাল এই তথ্যের চর্চা প্রচলিত ছিল। কালক্রমে প্রাথমিক যুগের আচার অভ্যাস, সভ্যতা-সংস্কৃতি প্রভৃতি সর্ববিষয়ের ব্যাপক পরিবর্তণ সূচিত হওয়ার পর হযরত নূহ আগমন করেন এবং মানুষকে ঐসব তত্ত্বের প্রতি আহবান জানান যা আদম তার বংশধরদের প্রতি জানিয়েছিলেন।
নূহের পর একে একে এলেন ইব্রাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব, ইউসূফ। অতঃপর মূসা ও হারুণের বংশে এলেন অনেক পয়গম্বর। এলেন তালুত, দাউদ, শলোমন, ইলিয়াস, ইউনূচ, অরামিয়া প্রমুখ। সকলেই আল্লাহর একত্বের বাণী প্রচার করেছিলেন।
দীর্ঘকাল পরে এলেন জাকারিয়া, ইয়াহিয়া, ঈসা এরাও সকলে আল্লাহর একত্বের ঐ একই বাণী প্রচার করেছিলেন। সবশেষে এলেন মুহম্মদ আল্লাহর একত্বের ঐ একই বাণী নিয়ে। তার উপরে নাযিল হল সর্বশেষ ঐশী কিতাব কোরআন।
মোটকথা, আদমের পর মানুষ যখনই আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যূত হয়েছে, তখনি পথহারা এসব মানুষকে সত্যের পথে ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ নবী বা রসূল প্রেরণ করেছেন এবং তারা তাঁর একত্বের বাণী ঐসব বিপথগামী মানুষের মাঝে প্রচার করেছেন। আদম থেকে মুহম্মদ পর্যন্ত একলক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাষায় এবং বিভিন্ন দেশে জন্মগ্রহণ করেন এবং তারা সবাই আল্লাহর একত্বের একই বাণী প্রচার করেন। এসকল রসূলদের অধিকাংশেরই পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ পর্যন্ত হয়নি। তাদের আবির্ভাবকালে গ্রন্থ রচনা ও প্রকাশনার জ্ঞানও বিকাশ সাধিত হয়নি যে, এক পয়গম্বর অন্য পয়গম্বরের গ্রন্থ ও রচনাবলী পাঠ করে একাত্মতা প্রকাশ করবেন। এছাড়া এমনও হয়েছে যে, একজন অন্যজন থেকে শতাব্দীর পর শতাব্দী অতিক্রমের পর জন্মগ্রহণ করেছেন। সুতরাং জাগতিক কোন উপকরণাদির মাধ্যমে পূর্ববর্তী পয়গম্বরদের অবস্থা তাদের জানা থাকারও কথা ছিল না। এমতাবস্থায় কেবলমাত্র আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত হবার অর্থাৎ নবূয়্যত প্রাপ্তির পর ওহী লাভ করেই তারা পূর্বসূরীদের যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছেন এবং আল্লাহর একত্ব ও সেসব অতীত তথ্য সম্বলিত আল্লাহর বাণী বিপথগামী মানুষের মাঝে প্রচার করেছেন।
আমি তোমার প্রতি ওহী পাঠিয়েছি, যেমন করে ওহী পাঠিয়েছিলাম নূহের প্রতি এবং সে সমস্ত নবী রসূলদের প্রতি যারা তার পরে প্রেরিত হয়েছে। আর ওহী পাঠিয়েছি, ঈসমাইল, ইব্রাহিম, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার সন্তানবর্গের প্রতি এবং ঈসা, আইয়ূব, ইউনূচ, হারুণ ও শলোমনের প্রতি। আর আমি দাউদকে দান করেছি যবুর কিতাব। এছাড়া এমন রসূল পাঠিয়েছি যাদের ইতিবৃত্ত আমি তোমাকে শুনিয়েছি ইতিপূর্বে এবং এমন রসূল পাঠিয়েছি যাদের বৃত্তান্ত তোমাকে শোনাইনি। আর আল্লাহ মূসার সাথে কথপোকথন করেছেন সরাসরি। সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শণকারী রসূলদের প্রেরণ করেছি, যাতে রসূলদের পরে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করার মত কোন অবকাশ মানুষের জন্যে না থাকে। আল্লাহ প্রবল পরাক্রমশালী, প্রাজ্ঞ। -(৪:১৬৩-১৬৫)
আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছি। এতে হেদায়েত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা এর মাধ্যমে ইহুদিদের ফয়সালা দিতেন। কেননা তাদেরকে এই খোদায়ী গ্রন্থের দেখা শোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তারা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিল।.. আমি এই গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখমসমূহের বিনিময় সমান যখম। অতঃপর যে ক্ষমা করে, সে পাপ থেকে পবিত্র হয়ে যায়। যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদানুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই অত্যাচারী।
আমি তাদের পিছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। সে পূর্ববর্তী তাওরাতের সত্যায়নকারী ছিল। আমি তাকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়েত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তাওরাতের সত্যায়ন করে, পথপ্রদর্শণ করে এবং এটি আল্লাহভীরুদের জন্যে হেদায়েত ও উপদেশবাণী। ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিৎ, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন, তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদানুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্য গ্রন্থ, যা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয় বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব তুমি তাদের পারষ্পারিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদানুযায়ী ফয়সালা কর এবং তোমার কাছে যে সৎপথ এসেছে তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ কোরও না।
আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি- যাতে তোমাদের যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব দৌঁড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তণ করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে।-(৫:৪৪-৪৮)
কোন ঐশীগ্রন্থ নাযিল হলেই কি মানুষ তা সরল মনে গ্রহণ করেছে? না, তারা বাক বিতন্ডা করেছে সংশ্লিষ্ট রসূলগণের সাথে, এমন কি কাউকে কাউকে হত্যা করেছে। খুব অল্পসংখ্যকই নির্বিবাদে মেনে নিয়েছে এবং ঈমান এনেছে আল্লাহ ও ঐ রসূলের উপর। আল্লাহ তো সর্বজ্ঞাতা, তাই সর্বশেষ কিতাব কোরআনের সত্যতার স্বপক্ষে তিনি নিজেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। কেননা তিনি জানতেন পৌত্তলিক, ইহুদি ও খ্রীষ্টানেরা এই কিতাবকে অস্বীকার করবে :
নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, যা আছে এক গোপন কিতাবে।-(৫৬:৭৭-৭৮) এটা লিখিত আছে সম্মানিত, উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে, লিপিকারের হস্তে, যারা মহৎ পূত চরিত্র।-(৮০:১৩-১৬) নিশ্চয় এ কোরআন আমার কাছে সমুন্নত অটল রয়েছে লওহে মাহফুজে।-(৪৩:৪)
আমি সত্যসহ এ কোরআন নাযিল করেছি এবং সত্যসহ এটা নাযিল হয়েছে।-(১৭:১০৫) এটা বিশ্ব পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। তবুও কি তোমরা এই বাণীর প্রতি শৈথিল্য প্রদর্শণ করবে? এবং একে মিথ্যে বলাকেই তোমরা তোমাদের ভূমিকায় পরিণত করবে?-(৫৬:৮০-৮২)
এই কোরআন মানুষের জন্যে হেদায়েত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্যে সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।-(২:১৮৫) নিশ্চয় এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের (জিব্রাইল) আনীত এবং এবং এটা কোন কবির কালাম নয়; তোমরা কমই বিশ্বাস কর এবং এটা কোন অতীন্দ্রিয়বাদীর কথা নয়; তোমরা কমই অনুধাবণ কর। এটা বিশ্বপালনকর্তার কাছ থেকে অবতীর্ণ। সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত, তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম, অতঃপর কেটে দিতাম তার গ্রীবা। তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারত না। এটা আল্লাহ ভীরুদের জন্যে অবশ্যই একটা উপদেশ। আমি জানি যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মিথ্যারোপ করবে। নিশ্চয় এটা অবিশ্বাসীদের জন্যে অনুতাপের কারণ। নিশ্চয় এটা নিশ্চিত সত্য।-(৬৯:৪০-৫১) তারা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতে অবশ্যই বহু বৈপরীত্য দেখতে পেত।-(৪:৮২)
এই কোরআন শয়তানরা অবতীর্ণ করেনি। তারা এ কাজের উপযুক্ত নয় এবং তারা এর সামর্থ্যও রাখে না। তাদেরকে তো শ্রবণের জায়গা থেকেও দূরে রাখা হয়েছে।-(২৬:২১০-২১২)
আমি এই কোরআনে মানুষের জন্যে সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা অনুধাবন করে। আরবী ভাষার এই কোরআন বক্রতামুক্ত, যাতে তারা সাবধান হয়ে চলে।(৩৯:২৭-২৮)
এই কোরআন তো বিশ্বজাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ। বিশ্বস্ত ফেরেস্তা একে নিয়ে অবতরণ করেছে তোমার অন্তরে, যাতে তুমি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভূক্ত হও, সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়। নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।(২৬:১৯২-১৯৬)
এই কোরআন বনি ইস্রায়েলীরা যেসব বিষয়ে মতবিরোধ করে তার অধিকাংশ তাদের কাছে বর্ণনা করে।(২৭:৭৬)
এই কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ণ করেছি বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমানকারী এবং যাতে তুমি মক্কাবাসী ও পার্শ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শণ কর।..(৬:৯২)
নিশ্চয় যারা কোরআন আসার পর তা অস্বীকার করে, তাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনার অভাব রয়েছে। এটা অবশ্যই এক সম্মানিত গ্রন্থ। এতে মিথ্যের প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই এবং পিছনের দিক থেকেও নেই। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। (৪১:৪১-৪২) আমি যদি একে অনারব ভাষায় কোরআন করতাম, তবে অবশ্যই তারা বলত, এর আয়াতসমূহ পরিস্কার ভায়ায় বিবৃত হয়নি কেন? কি আশ্চর্য যে, কিতাব অনারব ভাষায় আর রসূল আরবী ভাষায়!’(৪১:৪৪)
তারা আল্লাহকে সঠিক মূল্যায়ণ করতে পারেনি, যখন তারা বলল, ‘আল্লাহ কোন মানুষের প্রতি কোন কিছু অবতীর্ণ করেননি।’
তুমি জিজ্ঞেস কর, ‘ঐ গ্রন্থ কে নাযিল করেছেন, যা মূসা নিয়ে এসেছিল? যা জ্যোতি বিশেষ এবং মানবমন্ডলীর জন্যে হেদায়েতস্বরূপ, যা তোমরা বিক্ষিপ্ত পত্রে রেখে লোকদের জন্যে প্রকাশ করছ এবং বহুলাংশকে গোপন করছ। তোমাদেরকে এমন অনেক বিষয় শিক্ষা দেয়া হয়েছে যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা জানত না।’
তুমি বলে দাও, ‘আল্লাহ নাযিল করেছেন।’
অতঃপর তাদেরকে ক্রীড়ামূলক বৃত্তিতে ব্যাপৃত থাকতে দাও।-(৬:৯১)
সমাপ্ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন