শেখ ফরিদ উদ্দিন আক্তার (Sheikh Farid ud-Din Attar) একজন পার্স্যিয়ান সূফিবাদী কবি। তার প্রকৃত নাম আবু হামিদ বিন আবু বকর ইব্রাহিম (Abu Hamid bin Abu Bakr Ibrahim)। তিনি সুপরিচিত তার Mantiq ut-Tayr কাব্য গ্রন্থটির জন্যে। তার জন্ম উত্তর-পূর্ব ইরানের নিশাপুরে (Nishapur) যা ওমর খৈয়ামেরও জন্মস্থান। বলা হয়ে থাকে যে, তার কবিতায় অনুপ্রাণিত হন রুমী এবং আরও অনেক সূফীবাদী কবি। রুমি বলেন- "Attar was the spirit, Sanai his eyes twain, And in time thereafter, Came we in their train". বাল্যকালে রুমি আক্তারের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন বলেও জানা যায় যদিও অনেক স্কলারই এ তথ্য ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন।
শেখ ফরিদ উদ্দিন আক্তারের প্রতিকৃতি। |
Attar অর্থ সুগন্ধি। অন্যদিকে কবি নিজেই বলেছেন যে তিনি তার কবিতার অধিকাংশই কম্পোজ করেছেন নিজ দারুখানে বা ঔষধালয়ে বসে। এ থেকে এ ধারণাও করা হয় যে, তিনি সুগন্ধির ব্যবসা অথবা ভেজস ঔষধির বিক্রয় বা চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত ছিলেন। অবশ্য এমনটাও কথিত আছে যে, তার দারুখানায় দিনে কয়েক শত রোগী ভেজস চিকিৎসা সেবা পেত।
আলী ইবনে মূসা আল-রেজার সমাধি সৌধ। |
ফরিদ উদ্দিন আক্তার তার বাল্যকালীন শিক্ষা সম্পন্ন করেন মাশহাদ (Mashhad) নগরীস্থ ৮ম শিয়া ঈমাম আলী ইবনে মূসা আল-রেজার ('Alī ibn Mūsā al-Riḍā) মাজার সংলগ্ন আধ্যাত্মিক বা ধর্ম-তত্ত্বীয় স্কূলে, যা আমাদের নিকট মাদ্রাসা হিসেবে সুপরিচিত। তারপর জ্ঞান অন্বেষণে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন।
তিনি রাঘিজ (Raghes-বর্তমান তেহরান), মিসর, দামেস্ক, মক্কা, তূর্কীমেনিস্থান ও ইন্ডিয়া ভ্রমন করেন। দেশ-বিদেশ ঘুরে যে জ্ঞান এবং তথ্য তিনি আহরণ করেছিলেন তা ছিল মূলত: মুসলিম দরবেশদের আত্ম-জীবনী ও তাদের উপদেশ বাণী। বহুদেশ ঘুরে অত:পর একসময় তিনি নিজ নগরীতে ফিরে আসেন এবং একটি ভেজস ঔষধির দোকান (Daru-Khan) খুলে বসে চিকিৎসা ও লেখনীর কাজে আত্মনিয়োগ করেন। দূর-দূরান্ত ভ্রমনে আহরিত তথ্য ও জ্ঞানে সংকলিত হয় তার ”তাজকেরাতুল আউলিয়া” (Tadhkirat al-Auliya) গ্রন্থটি।
তিনি রাঘিজ (Raghes-বর্তমান তেহরান), মিসর, দামেস্ক, মক্কা, তূর্কীমেনিস্থান ও ইন্ডিয়া ভ্রমন করেন। দেশ-বিদেশ ঘুরে যে জ্ঞান এবং তথ্য তিনি আহরণ করেছিলেন তা ছিল মূলত: মুসলিম দরবেশদের আত্ম-জীবনী ও তাদের উপদেশ বাণী। বহুদেশ ঘুরে অত:পর একসময় তিনি নিজ নগরীতে ফিরে আসেন এবং একটি ভেজস ঔষধির দোকান (Daru-Khan) খুলে বসে চিকিৎসা ও লেখনীর কাজে আত্মনিয়োগ করেন। দূর-দূরান্ত ভ্রমনে আহরিত তথ্য ও জ্ঞানে সংকলিত হয় তার ”তাজকেরাতুল আউলিয়া” (Tadhkirat al-Auliya) গ্রন্থটি।
Mantiq ut-Tayr কাব্যটির প্রচ্ছদ। |
নিজ শহরে বসবাসের এক পর্যায়ে ফরিদ উদ্দিন আক্তারের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। কেন এ অভিযোগ আনা হয়েছিল তা তার কাব্য Manṭiq-uṭ-Ṭayr পাঠে সহজেই অনুমেয়, তবে ঐ অভিযোগ আনা হয়েছিল তার ঐ কাব্যগ্রন্থের জন্যে নয় বরং তা তার অন্য একটি কবিতার দরুণ। যা হোক, বিচারে আক্তারকে নির্বাসিত এবং তার সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।EG. Browne তার "A Literary History
of Persia" গ্রন্থে (Vol. 2, p.509) উল্লেখ করেছেন যে, ঐ যুগে একজন আধ্যাত্মিক কবির জন্যে এ ধরণের শাস্তি আদৌ অপ্রত্যাশিত ছিল না।
Manṭiq-uṭ-Ṭayr কাব্যগন্থে অনেক সূফীর কাহিনী রয়েছে যারা তাদের বিশ্বাসের দরুণ নির্যাতিত হয়েছেন। আর তাই আক্তার যদি তার লেখনীর জন্যে সাজা প্রাপ্ত হন, তবে সুনিশ্চিতভাবে বলা চলে ঐ শাস্তি তার নিকট মোটেও বিষ্ময়ের ছিল না। যাহোক, নির্বাসন থেকে তিনি মৃত্যুর আগে ১১৯৩-১২৩৫ সনের মধ্যবর্তী কোন একসময়ে তার বাসভূমি নিশাপুরে ফিরে আসেন। আক্তারের প্রাথমিক জীবনী লেখকদের একজনের মতে সময়কালটা ছিল ১২২৯ সন (বা এপ্রিল ১২২১ সন), যখন আগ্রাসী মঙ্গলীয়রা তৈমূর লং এর নেতৃত্বে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে প্রচন্ড বেগে ধাবিত হয়ে বাগদাদ এবং তার আশেপাশের অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। এই সময় আক্তারের বয়স ছিল শতবৎসর বা তারও বেশী।
ফরিদ উদ্দিন আক্তারের সমাধি সৌধ। |
বর্বর মঙ্গলদের পারস্য আগ্রাসনের সময় নিজ শহর নিশাপুরে আক্তার এক মঙ্গলীয় সেনার হাতে বন্দী হন। এসময় কোন এক ব্যক্তি এক সহস্র রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে তার মুক্তি প্রার্থনা করে। আক্তার ঐ সময় ঐ মঙ্গলীয়কে ঐ মুদ্রায় তাকে বিক্রয় না করার উপদেশ দেয়। এক অশতিপর বৃদ্ধের বিনিময় মূল্য হাজার রৌপ্যমূদ্রা দেখে, মঙ্গলীয় ঐ সেনা আক্তারকে বহু মূল্যবান জ্ঞান করে এবং আরও লাভের আশায় সে আক্তারের উপদেশবাণী গ্রহণ করে ঐ মূল্যে তাকে বিক্রয়ে অসম্মতি জানায়।
কিন্তু পরবর্তীতে একজন মাত্র আক্তারকে ক্রয়ে আগ্রহী হয়েছিল এবং বিনিময়ে কেবল এক আঁটি খড় প্রদানে সম্মত হয়। এসময় আক্তার ঐ মঙ্গলীয়কে ঐ বিনিময় মূল্যে তাকে বিক্রি করতে উপদেশ দেয় এবং বলে বস্তুত: ঐ তার প্রকৃত মূল্য। এতে মঙ্গলীয় ঐ সেনা বিষ্মিত হয়। অত:পর তাকে বোকা বানানো হয়েছে দেখে রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে সে তৎক্ষণাৎ তরবারীর এক আঘাতে আক্তারের শিরোচ্ছেদ করে ফেলে। এই হচ্ছে তার মৃত্যুর প্রচলিত কাহিনী।
কিন্তু পরবর্তীতে একজন মাত্র আক্তারকে ক্রয়ে আগ্রহী হয়েছিল এবং বিনিময়ে কেবল এক আঁটি খড় প্রদানে সম্মত হয়। এসময় আক্তার ঐ মঙ্গলীয়কে ঐ বিনিময় মূল্যে তাকে বিক্রি করতে উপদেশ দেয় এবং বলে বস্তুত: ঐ তার প্রকৃত মূল্য। এতে মঙ্গলীয় ঐ সেনা বিষ্মিত হয়। অত:পর তাকে বোকা বানানো হয়েছে দেখে রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে সে তৎক্ষণাৎ তরবারীর এক আঘাতে আক্তারের শিরোচ্ছেদ করে ফেলে। এই হচ্ছে তার মৃত্যুর প্রচলিত কাহিনী।
শেখ ফরিদ উদ্দিন আক্তার। |
অবশ্য প্রচলিত এই কাহিনীকে অনেকেই অস্বীকার করেন এবং এটিকে সূফীবাদী শতবর্ষী এক বৃদ্ধ কবির বর্বর মঙ্গলীয়দের হাতে নৃশংস মৃত্যুর করুণ চিত্র অঙ্কণের প্রচেষ্টা বলে অভিমত দেন। তবে সত্য-মিথ্যা যাই হোক না কেন, this story is used
to teach the mystical insight that the personal self isn't of much real worth.
What is valuable is the Beloved's presence within us -and that presence isn't
threatened by the death of the body.
খোরাসানের নিশাপুরেই আক্তারের সমাধিটি রয়েছে। তার সমাধি সৌধ ঘিরে রয়েছে ছোট একটি বাগান। ১৫’শ শতকের শেষ দিকে তার সমাধি শিয়রে একটি প্রস্তর ফলক স্থাপন করা হয় যা কালের পরিক্রমায় এখনও অবশিষ্ট রয়েছে। অবশ্য ১৯৩০ সনে আক্তার এবং ওমর খৈয়ামের (Omar Khayyam) সমাধি সৌধ দু'টি সংরক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
পারস্যের পৌরাণিক পাখী- Simurgh। |
৭টি উপত্যাকা (Talab (Yearning), Eshq (Love), Marifat (Gnosis), Istighnah (Detachment), Tawheed (Unity of God), Hayrat (Bewilderment) and, finally, Fuqur and Fana (Selflessness and Oblivion in God) খোদার স্বরূপ জানতে প্রত্যেক তপস্বীকে এই ধাপগুলির প্রতিটি একে একে পাড়ি দিতে হয়।) পেরিয়ে কেবল ৩০টি পাখী গন্তব্যে পৌঁছে এবং সবিষ্ময়ে আবিস্কার করে যে, তাদের সম্মিলিত রূপই Simurgh (si ও murgh অনূদিত হয় ৩০টি পাখী হিসেবে।) যা তারা খুঁজছে।
এই কাব্য গ্রন্থের মাধ্যমে আক্তার আমাদেরকে এই গূঢ় শিক্ষা দিচ্ছেন যে, খোদার উপস্থিতি আমাদের মধ্যেই, নিজেকে জানলেই তাকে জানা যাবে। আর তাই তিনি মৃত্যুর আগেই এই গূঢ় তত্ত্বটি জেনে নিতে আমাদেরকে তাগিদ দিয়েছেন যাতে করে মৃত্যুর পরে আমরা আমাদের উপস্থিতির স্বরূপ জেনে যেতে পারি। তার কথায়-
before
life is taken from you.
If
while living you fail to find yourself,
to
know yourself,
how
will you be able to understand
the
secret of your existence
after
you die?
সব শেষে আমরা AJ Arberry-র অনুদিত আক্তারের একটি কবিতা দিয়ে অার্টিকেলের সমাপ্তি টানব।
-Farid ud-Din Attar
We
are the Magians of old,
Islam
is not the faith we hold;
In
irreligion is our fame,
And
we have made our creed a shame.
Now
to the tavern we repair
To
gamble all our substance there,
Now
in the monastery cell
We
worship with the infidel.
When
Satan chances us to see
He
doffs his cap respectfully,
For
we have lessons to impart
To
Satan in the tempter's art.
We
were not in such nature made
Of
any man to be afraid;
Head
and foot in naked pride
But
we, alas, aweary are
And
the road is very far;
We
know not by what way to come
Unto
the place that is our home.
And
therefore we are in despair
How
to order our affair
Because,
wherever we have sought,
Our
minds were utterly distraught.
When
shall it come to pass, ah when,
That
suddenly, beyond our ken,
We
shall succeed to rend this veil
That
hath our whole affair conceal?
What
veil so ever after this
Apparent
to our vision is,
With
the flame of knowledge true
We
shall consume it through and through.
Where
at the first in that far place
We
come to the world of space,
Our
soul by travail in the end
To
that perfection shall ascend.
And
so shall 'Attar Shattered be
And,
rapt in sudden ecstasy,
Soar
to godly vision, even
Beyond
the veils of earth and heaven.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন