২২ অক্টোবর, ২০১৫

Black Magic: উৎপত্তি, বিকাশ ও ব্যবহারের ইতিহাস।


প্রথাগতভাবে ব্লাক ম্যাজিক বা কালো জাদু বলতে বোঝায় শয়তানি ও স্বার্থপরতার উদ্দেশ্যে অতিপ্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহার। ব্লাক ম্যাজিক সর্বাপেক্ষা অনিষ্টকারী এবং উপকারী হোয়াইট ম্যাজিকের কাউন্টারপার্ট। সাধারণত: কারো ভালবাসা পেতে, কাউকে গন্ডিবদ্ধ বা ক্রীড়ানড়ক করতে, বাণ মেরে বা অভিশাপ দিয়ে কারও অমঙ্গল করতে, অন্যের করা অমঙ্গল বাইন্ডিং স্পেল দিয়ে অকার্যকর করতে বা তার অমঙ্গল তাকেই ফিরিয়ে দিতে, মৃতের সাথে যোগাযোগে, এমন কি অমরত্ব লাভে বা স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও মানুষ ব্লাক ম্যাজিকের আশ্রয় নেয়। ব্লাক ম্যাজিক করা হয় শয়তান জ্বিণের সাহায্যে। সুতরাং জাদুর সম্যক উপলব্ধিতে [উৎপত্তি ও বিকাশ] জ্বিণ কি, তা জানা অতি জরুরী।

জ্বিণ জাতি [সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্য, ক্ষমতা, কর্মপরিধি ও মানুষের সাথে সম্পর্ক ইত্যাদি]জ্বিণ মানুষের মত স্বাধীন চিন্তা-চেতনার অধিকারী। ফেরেস্তাগণ নূরের, জ্বিণ আগুনে ও মানুষ কাদামাটি থেকে সৃষ্ট। ফেরেস্তা ও জ্বিণ দৃশ্যমান নয়, কেননা তারা এমন এক কম্পাঙ্কে সৃষ্ট, যা আমাদের দৃষ্টিসীমার (৩৯০-৭০০ ন্যানো মিটার) বাইরে।তবে দৃশ্যমান জগতের সকল বস্তু বা প্রাণীর কম্পাঙ্ক জানা থাকায়,  তারা ইচ্ছে করলে যে কোন বস্তু বা প্রাণীর দৃশ্যমান রূপ নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হতে পারে বা মুহূর্তের মধ্যে কোন বস্তুকে স্থানান্তরিত করতে পারে। সেবার রানী বিলকিসের সেই বিশাল সিংহাসনটা নবী শলোমনের উপদেষ্টা এক জ্বিণ এভাবেই এনে হাজির করেছিল তার সম্মুখে। যেমন-

শলোমন আরও বলল, ‘হে আমার পরিষদবর্গ! তারা আমার কাছে আত্মসমর্পন করতে আসার পূর্বে তোমাদের মধ্যে কে তার সিংহাসন আমাকে এনে দেবে?’

এক শক্তিশালী জ্বীন বলল, ‘আপনি আপনার স্থান থেকে ওঠার আগেই আমি তা এনে দেব। এ ব্যাপারে আমি এমনই শক্তি রাখি। আর আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন।’
কিতাবের জ্ঞান যার ছিল সে বলল, ‘আপনি চোখের পলক ফেলার আগেই আমি তা এনে দেব।’ -[সূরা নমল, ২৭:৩৮-৪০]

অত:পর যখন তা আনা হল, তখন শলোমন ঐ জ্বিণকে সেটির আকৃতিতে সামান্য পরিবর্তন করতে বললে সে তাও করে দেয়। যেমন-


যখন তা সামনে রাখা দেখল, তখন (শলোমন) বলল, ........‘তার সিংহাসনের আকৃতিতে সামান্য পরিবর্তণ আনো; দেখি সে চিনতে পারে- নাকি ভুল করে।’ -(২৭:৩৮-৪১)


আর এ সামান্য পরিবর্তনের কারনে বুদ্ধিমতী বিলকিস দাবী করেননি ঐটি তার সিংহাসন, কিন্তু তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সেটি তারই। আর তাই শলোমনের প্রশ্নের দেয়া উত্তরে
 তার ঐ মনোভাবের প্রতিফলন ফুটে উঠেছে। যেমন- (বিলকিস) যখন পৌঁছিল তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হল, ‘তোমার সিংহাসন কি এ রকম?’
সে বলল, ‘এ তো এ রকমই। ...।’-(২৭: ৪২) -তার এ উত্তর হ্যাঁ- না দু’টোই অর্থ করেছে।

আবার, 
জাসাদান, এক শয়তান জ্বিণ শলোমনের রূপ ধরে তার স্ত্রী আমিনার কাছ থেকে তার সেই “ইসমে আযম” খোঁদিত অঙ্গুরী হস্তগত করে সিংহাসনে আসীন হয়। আর সে শলোমনের শরীর বেষ্টন করেও এক মায়াজাল (ফিকোয়েন্সি জাল) সৃষ্টি করে রাখে, তাতে তিনি অন্যের নিকট পরিবর্তিত রূপে দৃশ্যমান হন। এতে এমনকি তার স্ত্রী আমিনাও তাকে চিনতে না পেরে অস্বীকার করে বসে। তিনি সিংহাসন চ্যূত হয়ে পড়েন। অবশ্য এ ছিল খোদার এক পরীক্ষা। যেমন-

অার আমরা সোলায়মানকে পরীক্ষা করলাম এবং তার সিংহাসনে বসিয়ে দিলাম জাসাদানকে [এক শয়তান জ্বিণ, ফলে সে কিছুদিনের জন্যে সে সিংহাসনচ্যূত হয়েছিল]। অতঃপর সে আবারও ফিরে এল [ফিরে পেল তার সিংহাসন এবং রাজ্য খোদার দয়ায়] আনুগত্যে বিনীত হয়ে। সে বলল, “হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ক্ষমা কর, আর আমাকে এমন এক সাম্রাজ্য দান কর যা আমার পরে আর কেউ পাবে না। নিশ্চয় তুমি মহাদাতা।”- [৩৮:৩৪-৩৫] 

মানব জাতির সাথে বিরোধের সূত্রপাত:

মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর পৃথিবী ও তার আশেপাশের গ্রহ নক্ষত্রে আগুণের তৈরী জ্বিণ জাতিকে বসবাস করতে দেয়া হয়। অত:পর মানব সৃষ্টিরপর এ জাতির নেতা ইবলিস প্রথম মানব-মানবী- আদম-হাওয়ার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। কেননা আদম জ্ঞানে ফেরেস্তাদেরকে পিছনে ফেললে খোদা তার জ্ঞানের সম্মানে তাকে সিজদা করতে সকলকে নির্দেশ দেন। সকলে সিজদা করে ইবলিস ছাড়া।সে জ্ঞানে আদমের কাছে পরাজিত হলেও তাকে মর্যাদা দিতে রাজী হয়নি কেবল অহংকারের কারণে। ফলে খোদা তার জন্য বেহেস্তে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন। এতে আদমের উপর ক্ষেপে গিয়ে সে তাদের দু’জনকে প্রতারণার মাধ্যমে নিষিদ্ধ ফল খাইয়ে পথভ্রষ্ট করে দেয়। ফলত: মানবজাতির এ ধরায় আগমনের সূত্রপাত ঘটে।  

যাহোক, আদম হাওয়াকে পথভ্রষ্ট করার পর খোদা ইবলিসকে সমন জারি করলে সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি একে কি দেখেছ যাকে আমার উপরে তুমি মর্যাদা দিলে? কেয়ামত দিবস পর্যন্ত যদি আমাকে অবকাশ দাও, তাহলে আমি অল্প কয়েকজন ব্যতিত তার বংশধরদের সমূলে নষ্ট করে ফেলব।’-(১৭:৬২-৬৫)

তিনি বলেন, “এই স্থান থেকে নেমে যাও, এখানে থেকে অহংকার করবে তা হতে পারে না। সুতরাং বের হয়ে যাও, তুমি তো অধমদের একজন।” -(আরাফ-১২:১৫) “সুতরাং তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও, কারণ তুমি অভিশপ্ত...।” (হিজর, ৩২-৩৬); আর তোমার উপর আমার এ অভিশাপ কেয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে।’ (৭৮:৭৮) 
সে বলেছিল, ‘আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দাও।’
তিনি বলেন, ‘তোমাকে অবকাশ দেয়া হল সেইদিন পর্যন্ত-যা অবধারিত।-(৭৮:৭৯-৮১) 

সে বলেছিল- ‘যাদেরকে উপলক্ষ্য করে তুমি আমার সর্বনাশ করলে, আমিও তাদের চরম সর্বনাশ করব। আমি তোমার সরল পথে তাদের জন্যে অবশ্যই ওৎ পেতে থাকব। তারপর আমি তাদের সামনে, পিছনে, ডান ও বামদিক থেকে তাদের কাছে আসবই, আর তুমি তাদের অনেককেই কৃতজ্ঞ পাবে না।’-(৭:১৬-১৭). ‘আমি তোমার দাসদের এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার দলে নিয়ে ফেলব, আর আমি তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবই, তাদের হৃদয়ে মিথ্যে বাসনার সৃষ্টি করব। আমি তাদেরকে নিশ্চয় নির্দেশ দেব এবং তারা পশুর কান ফুটো করবে দেবদেবীকে উৎসর্গ করার জন্যে। আর আমি তাদেরকে নিশ্চয় নির্দেশ দেব এবং তারা তোমার সৃষ্টিকে বিকৃত করবে।’-(৪:১১৮-১১৯).

তিনি বলেন, ‘তোমার দলবল ও সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়।.... কিন্তু আমার দাসদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা থাকবে না। কর্মবিধায়ক হিসেবে তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট।’- (১৫:৩৯-৪০)
অার সে বলেছিল ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার যে সর্বনাশ করলে তার কসম! আমি পৃথিবীতে মানুষের কাছে পাপকে আকর্ষণীয় করব, আর আমি সকলের সর্বনাশ করব; তোমার নির্বাচিত দাস ছাড়া।’ -(১৫:৪১-৪২) 

উপরের আয়াতসমূহ থেকে সুষ্পষ্ট যে, জ্বিণজাতি মানুষের হৃদয়ে কামনা-বাসনা সৃষ্টি করতে পারে এবং তাদেরকে নির্দেশও দিতে পারে। স্বাধীন মতামতের অধিকারী কিছুকে কেবল তখনি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব যখন তার মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কোরআনে রয়েছে, ”আমি তোমার পূর্বে যে সমস্ত রসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পণা করার চেষ্টা করেছে, তখনই শয়তান তাদের কল্পনায় কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করে। এরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।-(২২:৫২) অর্থাৎ জ্বিণ মানুষের মনের কথাও পড়তে পারে এমনকি তাতে সংযোজন ও বিয়োজন করার ক্ষমতাও তার রয়েছে। এ আয়াত থেকে আরও আমরা জানতে পারছি সে মহাপ্রতারক, “আর আমি সকলের সর্বনাশ করব; তোমার নির্বাচিত দাস ছাড়া।”-খোদার নিকট করা তার ঐ প্রতিজ্ঞাও দুনিয়াতে এসে সে রক্ষা করেনি। ইতিপূর্বে সে আদম-হওয়াকেও প্রতারিত করেছিল উর্দ্ধ জগতে- “আমি তো তোমাদের একজন হিতৈষী” বলে। 

আবার জাগতিক সবকিছুর উপর শয়তানের এমন কর্তৃত্বভারের কথা আমরা নবী ইব্রাহিমের সহিফায়ও দেখতে পাই- God's heritage (the created world) is largely under the dominion of evil – i.e., it is "shared with Azazel"-(আব্রাহাম,২০:৫) আর এ কথা সত্য যে, দুনিয়াতে মানবের আগমনের বহু আগে থেকেই এ মহাবিশ্বে জ্বিন ইবলিস ও তার জাতি বসবাস করে আসছিল। ফলে এখানকার যাবতীয় বস্তু ও প্রাণীর সাথে তাদের সম্যক পরিচয় ছিল।

দুনিয়াতে মানুষের আগমনের পর সর্বপ্রথম দু’ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে শয়তান। আর তার প্ররোচনায় কাবিল হাবিলকে হত্যা করে। তারপর পিতার ভয়ে পালিয়ে গিয়ে সে যখন জঙ্গলে জঙ্গলে হতাশ হয়ে ঘুরে ফিরছিল, তখন লিলিথ (স্ত্রী জ্বিণ বা পরী) তাকে তাদের নগরীতে আশ্রয় দেয়। কাবিল তার কাছ থেকেই প্রথম অতিপ্রাকৃতিক শক্তির জ্ঞান লাভ করে। আর এভাবে মানব সমাজের একাংশের মধ্যে এ জ্ঞান সংগোপনে ছড়িয়ে পড়ে।

একসময় আদমপুত্র শীষের বংশে নবী ইদ্রিসের আগমন ঘটে। লোকেরা নানারকম উপঢৌকনসহ তার কাছে আসত তার মাধ্যমে খোদার করূণা লাভের আশায়। কিন্তু তিনি হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে (ইদ্রিস জিব্রাইলের সাথে ৪ঠা আসমানে ভ্রমণে গিয়ে ফিরে আসতে অস্বীকার করেন) আগত লোকেরা মূল্যবাণ উপঢৌকনসহ ফিরে যেতে লাগল। ইবলিস ঐসময় ইদ্রিসের সন্তানদেরকে প্ররোচিত করে তার পিতার মূর্ত্তি তৈরী করতে এবং এই কাজে সে দু’টি উপকারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিল। প্রথমত: ইদ্রিসের সন্তানেরা মূল্যবান উপঢৌকনগুলো পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হবে অন্যদিকে আগত লোকেরাও ইদ্রিসের মূর্ত্তির মাধ্যমে খোদার দয়া ও করুণা লাভ করবে। আর এভাবেই শয়তান দুনিয়াতে সর্বপ্রথম মূর্ত্তিপূজার সূচনা ঘটায়। আর এমন বক্তব্য যিশুর। গসপেলে রয়েছে-

যিশু তার শিষ্যদেরকে বলেন- Every evil has entered into the world under the pretext of the elders. ..who made idolatry to enter into the world, if not the usage of the elders? 

বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে তিনি বলেন- There was a king who exceedingly loved his father, whose name was Baal. Whereupon, when the father was dead, his son for his own consolation, caused to be made an image like to his father, and set it up in the market-place of the city. And he made a decree that every one who approached that statue within a space of fifteen cubits should be safe, and no one any account should do him hurt. Hence the malefactors, by reason of the benefit they received therefrom, began to offer to the statue roses and flowers, and in a short time the offerings were changed into money and food, insomuch that they called it god, to honour it. Which thing from custom was transformed into a law, insomuch that the idol of Baal spread through all the world;  -Gospel of Barnabas, ch-32

যা হোক, প্রসঙ্গে ফিরি, দুনিয়াতে মূর্ত্তিপূজা চালু করে দেবার পর শয়তান জ্বিণেরা অতীন্দ্রিয়বাদ ও জাদুবিদ্যা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে শুরু করে মূর্ত্তির সেবাদাসী তথা পিথিয়ার মাধ্যমে। লোকেরা পিথিয়ার কাছে এমনসব তথ্য জানতে আসত, যেগুলোর উত্তর কোন মানুষের পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিল না। শয়তান জ্বিণেরা উর্দ্ধাকাশে ফেরেস্তাদের আলোচনা শুনে তা নিজেদের মত করে পিথিয়ার মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছে দিত। নবী মুহম্মদের পিতামহ আব্দুল মুত্তালিবও পিথিয়ার স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন। আর ঐ পিথিয়ার বাণীর কল্যাণেই কিন্তু নবীজীর পিতা আব্দুল্লাহ দেবতার নৈবদ্য হয়েও রক্ষা পেয়েছিলেন। যা হোক, জ্বিণদের প্রসঙ্গে যা বলছিলোম-

নবী মুহম্মদের নব্যুয়তের অনেক আগে কোন এক শবে কদরের রাতে, ২৭শে রমজান, সম্পূর্ণ কোরআন অদৃশ্যলোক তথা লওহে মাহফূজ থেকে তুলে এনে ৪ঠা আসমানের আকাশে ছড়িয়ে দেয়া হয়, এবং সাড়ে ২৩ বৎসরে জিব্রাইল প্রয়োজন মত সেখান থেকে তা নিয়ে এসে নবী মুহম্মদের কাছে পৌঁছায়। আর ঐ সময়কালে ওহীর হেফাজত কল্পে জ্বিণদেরকে উর্দ্ধ আসমানে গমন, শ্রবণ ও সংগ্রহে বাঁধা দেয়া হয়। কোরআনে রয়েছে-

..(একদল জ্বিণ) বলল, আমরা বিষ্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি-(৭২:৩) অনেক মানুষ পুরুষ জ্বিণের আশ্রয় নিত, কিন্তু তাতে তারা তাদের ভ্রান্তি ও অবাধ্যতাই কেবল বাড়িয়ে দিত।-(৭২:৬) আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করেছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ। আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডকে ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে। -(৭২:৮-৯)

নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজীর দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে। ওরা উর্দ্ধ জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চারদিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়, ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশ্যে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি। তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাৎধাবন করে।-(৩৬:৬-১০)

জিওম্যান্টিক ফিগার
যা বলছিলাম, এভাবে জ্বিণেরা অতীন্দ্রিয়বাদ ও জাদুবিদ্যা ছড়িয়ে দিত মানুষের মাঝে। অবশ্য অতীন্দ্রিয়বাদ তথা ভূত-ভবিষ্যৎ জানার আরো একটা মাধ্যম আছে যাকে জিওম্যান্সি বলে। দুনিয়াতে সর্বপ্রথম এই গুপ্তবিদ্যার জ্ঞান অর্জণ করেন নবী ইদ্রিস। তিনি এটি শিখেছিলেন ফেরেস্তা জিব্রাইলের কাছ থেকে। 

তবে জিওম্যান্সির সাহায়্যে গণনা করা যিশুও জানতেন।ইহুদি আলেমগণ একজন বেশ্যাকে ঈসার নিকট শরীয়তী বিচারের জন্যে নিয়ে এলে তিনি এ্ই জিওম্যান্সির সাহায়্যে দ্রুত বের করে ফেলেন উপস্থিত ইহুদি আলেমগণের কার কার সাথে কোন কোন মহিলার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আর তিনি সংশ্লিষ্ট আলেমের নামের সাথে ঐ স্ত্রীলোকের নাম যুক্ত করে দ্রুত মাটিতে তা লিখে ফেলেন যা দেখতে পেয়ে আলেমগণ ঐ নারীকে ফেলে একে একে সেখান থেকে সঁটকে পড়েন।


প্রশ্ন হল, যিশু 
জিওম্যান্সি শিখলেন কোথা থেকে? তবে কি তারও শিক্ষক জিব্রাইল? না, জিব্রাইল যিশুর নবুয়্যতের শুরুর মূহূর্তে ও তাকে আসমানে তুলে নেবার সময় ব্যতিত কখনও তার কাছে আসেনি এবং আসার কোন প্রয়োজনও কখনও ছিল না। এর কারণ এ যে, খোদার বান্দা ও রসূল পরিচয় ছাড়াও যিশুর আরো একটি স্বতন্ত্র্য পরিচয় রয়েছে- খোদার বাণী [“ওয়ার্ড অব গড”]. তার এ পরিচয় এ সাক্ষ্য দেয় যে, ঐশী বাণী তথা গসপেল বা ইঞ্জিল হরকরা জিব্রাইলকে কষ্ট করে তার কাছে বয়ে আনতে হয়নি, বরং সেটা সরাসরি তার অন্তরে দিয়েছেন খোদা। অর্থাৎ নবুয়্যত প্রাপ্তির সাথেই তার আত্মার সাথে সংযুক্ত খোদায়ী নিয়ম-কানুন ও পদ্ধতি সনাক্ত ও বোধের আওতায় নিয়ে যাবার কারিগরি অংশ সচল হয়েছে। আর জিওম্যান্সিও তো তাই- "the art of divination, that based on the recognition of universal divine principle acting within the soul." 

যা হোক যা বলছিলাম, অত:পর হযরত মূসার সময়ে এই জাদুবিদ্যা মানুষের মধ্যে প্রভূত বিস্তার লাভ করে। কিন্তু তার কাছে জাদুকরদের নেতাদ্বয় যান্নি ও জাম্রি পরাজিত ও মুসলমান হবার পর এই বিদ্যার প্রচলন কমে যায়। কিন্তু নবী শলোমনের সময় বাবিলে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। 

জাদুর প্রভাবে সৃষ্ট ঘটনাবলী কারণের আওতা বহির্ভূত নয়। পার্থক্য শুধু এই যে এখানে কারণটি অদৃশ্য থাকে। জাদুকরেরা একপ্রকার মেসমারিজমের মাধ্যমে দর্শকদের কল্পণা শক্তিকে ক্রিয়াশীল করে দৃষ্টি বিভ্রাট ঘটিয়ে থাকে। একটি সোজা লাঠি আংশিক পানিতে নিমজ্জিত করলে তা আমাদের চেখে বাঁকা ঠেকবে এবং সেটিকে পানির বাইরে নিয়ে এলে সোজা দেখা যাবে। আবার আবরণের ব্যতিক্রমে একই তল চোখে অবতল কিম্বা উত্তল বোধ হতে পারে। এগুলো সবই মানুষের দৃষ্টি বিভ্রান্তি। মানুষের এই স্বভাবিক দুর্বলতার উপরই দৃশ্য-শিল্পী, জাদুকর এবং তাদের অনুরূপ লোকেরা নির্ভর করে এবং নিজেদের কৌশল দ্বারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। 

আর ‘কারণ’ না জানতে পেরে মূর্খ লোকেরা জাদুকে আলৌকিক বা মু‘জেযা মনে করে জাদুকরদেরকে সম্মানিত ও মাননীয় এবং অনুসরণযোগ্য মনে করতে থাকে। এমনকি অনেক বিশ্বাসীও পয়গম্বরদের মু‘জেযা ও জাদুর পার্থক্য বুঝতে না পেরে বিভ্রান্তিতে পতিত হয়। 

যারা জাদু অবলম্বণ করে তাদের জন্যে পরকালে কোন অংশ নেই। তাই জাদুর স্বরূপ এবং জাদুকরদের মুখোস উন্মোচনের জন্যে আল্লাহ ইতিপূ্ের্বে ফেরেস্তা হারুত-মারুতকে কিছু যাদুবিদ্যার জ্ঞান দিয়েছিলেন। কেননা, এই হারুত-মারুত ফেরেস্তাদ্বয় শাস্তিস্বরূপ মানুষরূপে মানুষের মাঝে বসবাস করছিল। আর তাদের তো কোন নির্দিষ্ট কাজও ছিল না। যা হোক, মূল কথা হারুত-মারুত দুনিয়াতে মানুষকে জাদুবিদ্যা শিক্ষা দিত শুধুমাত্র মানুষকে সতর্ক করতে যাতে তাদের বিভ্রান্তি দূর হয় এবং যেন তারা জাদুর প্রাকটিস ও জাদুকরদের অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকতে পারে। 

ইচ্ছে করলে আল্লাহ এই কাজে পয়গম্বরদেরকে নিয়োজিত করতে পারতেন। কিন্তু তাতে শয়তানের প্ররোচনায় মানুষ আরও বিভ্রান্তিতে পড়ত। তাই আল্লাহ পয়গম্বরদের ও জাদুকরদের মধ্যে পার্থক্য ফুটিয়ে তুলতে তৃতীয় এবং নিরপেক্ষ পক্ষ ফেরেস্তাদেরকেই এই কাজে নিয়োগ করাকে সমীচীন মনে করেছেন যাতে মানুষের মাঝে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মানুষ হারুত-মারুতের কাছ থেকে শিখে নেয়া জাদু অকল্যাণের কাজে লাগাতে লাগল। অবশ্য হারুত-মারুত -'আমরা তো তোমাদের উপর পরীক্ষা স্বরূপ। তোমরা আমাদেরকে অবিশ্বাস কোরও না’-এ কথা না বলে তারা কোন মানুষকে শিক্ষা দিত না। 

এদু’জনের কাছ থেকে লোকেরা এমন বিষয় শিক্ষা করত যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারত, তথাপি আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কারও কোন ক্ষতি করতে পারত না। তাই তারা যা শিক্ষা করত তা তাদের ক্ষতিসাধনই করত, কোন উপকারে আসত না। যা হোক, এই পতিত ফেরেস্তাদ্বয়ের কারণে সাবা নগরীতে এই বিদ্যার প্রচলন ও ব্যবহার বহূলরূপে বৃদ্ধি পায়।


জাদুর প্রভাব নবী শলোমনকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়, তিনি কিছুকালের (৪০ দিন) জন্যে রাজ্য হারিয়ে ফেলেন। আর 
শয়তান জাসাদান তার রূপ ধারণ করে তার সিংহাসনে বসে। আর 
When Solomon lost his kingdom and the devil Shakhr on his Throne, great numbers from among mankind and the jinn renegaded and followed their lusts. He and his gang write down sorcery such as- whosoever wants to do such and such, he should stand facing the sun and say such and such. And, whosoever wants to do such and such, he should stand giving his back to the sun and say such and such." They gave the title of the book they wrote as "This is what has been written by Asif Ibn Barkhiya by the order of King Solomon Ibn Dawud: from the treasures of knowledge." Then, they buried it under Solomon's throne.Verily, Solomon was not knowledgeable about the Unseen. 

অবশ্য রাজ্য ও রাজত্ব ফিরে পাবার পর শলোমন ঐ শয়তান জ্বিণ চখরকে কি করেছিলেন তা আমরা জানি না। তবে আমরা সেই বিখ্যাত “আরব্য রজনী” তথা “হাজার এক রাত্রির কাহিনী” থেকে যা জানি তা হল- এক জ্বিণ কিং শলোমনকে রাগান্বিত করায় তিনি তাকে বোতলে পুরে সমুদ্রে নিক্ষেপ করেন। আর যেহেতু ঐ বোতল তার মোহর দিয়ে মোহরাঙ্কিত ছিল, ফলে সেই জ্বিণ নিজেকে মুক্ত করতে পারেনি যতক্ষণ না বহু শতাব্দি পরে এক জেলে ঐ বোতল খুঁজে পেয়ে তাকে মুক্ত করে।

তবে নবী শলোমন জাদুর উৎস, ফেরেস্তা হারুত-মারুতকে বাবিল শহরের একটা কূপে বন্দী করে ফেলে ছিলেন যেন তাদের কারও দ্বারা জাদুর বংশবিস্তার আর হতে না পারে। কথিত আছে- তারা সেখানেই বন্দী অবস্থায় কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে।

অবশ্য শলোমনের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়। শয়তান নিজেকে ইস্রায়েলীদের মুখপাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং বলে: "ও লোকসকল! শলোমন কোন নবী ছিল না; সে তো এক গণক! যাও, তার বাসস্থান ও তল্পিতল্পায় তার গণকী মাজেযা খোঁজ।” আর সে তাদেরকে প্রোথিত “সম্পদ” খুঁজে পেতে নেতৃত্ব দেয়। 

অত:পর যখন শলোমনের সিংহাসনে নীচ থেকে জাদুর কিতাবটি বের হল, শয়তান বলল, ‘এটি শলোমনের উপর অবতীর্ণ কিতাব যা তিনি আমাদের নিকট থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। আর ঐ জাদুর কিতাবের সাহায্যেই তিনি রাজ্য পরিচালনা ও পশু-পক্ষী বশীভূত করেছিলেন।’ 


তখন যারা সেখানে উপস্থিত ছিল, তাদের অবিশ্বাসীরা বলল, "আল্লা স্বাক্ষী! শলোমন ছিল একজন গণক। আর সে তার জাদু দিয়ে আমাদেরকে তার অধীন করেছিল।" আর বিশ্বাসীরা তাদেরকে উপেক্ষা করে বলল, "না, তিনি ছিলেন বিশ্বস্ত এক রসূল।" 


আর এমন বিশ্বাসই প্রচলিত ছিল ইহুদিদের মাঝে। আর-রবি ইবনে আনাস বলেন, “
ইহুদিরা প্রায়শ: নবী মুহম্মদকে তাওরাতের বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন করত এবং যখনই তারা তা করত, খোদা তার কাছে প্রকাশ করতেন, যা দিয়ে তিনি তাদেরকে পরাভূত করে দিতেন এবং তাদের উপর আধিপত্য লাভ করতেন।এতে তারা বিষ্মিত হয়ে মন্তব্য করল: ”আমাদের কাছে যা নাযিল হয়েছে, মুহম্মদ তো দেখি আমাদের থেকেও তা ভাল জানে!” তখন তারা তার কাছে জাদু সম্পর্কে জানতে চায় এবং বলে যে, দাউদ পুত্র শলোমন ছিলেন একজন গণক, আর তিনি তার জাদু দিয়েই রাজ্য পরিচালনা করতেন।” 

জাদু করা কূফর। আর তাই কোরআন শলোমনের জাদু দ্বারা রাজ্য শাসনের কথা অস্বীকার করে এবং হারুত-মারুত ও তাদের জাদুর স্বরূপের সঠিক তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরে- 

‘আর শলোমনের রাজত্বে শয়তানেরা যা আওড়াত তারা (সাবাবাসীরা) তা মেনে চলত। শলোমন কূফর করেনি, বরং শয়তানই কূফর করেছিল। তারা মানুষকে শিক্ষা দিত (সেই) জাদু যা বাবিল শহরের দুই ফেরেস্তা হারুত ও মারুতের উপর অবতীর্ণ হয়েছিল। তাই ‘আমরা তো তোমাদের উপর পরীক্ষা স্বরূপ। তোমরা অবিশ্বাস কোরও না’-এ না বলে তারা কোন মানুষকে শিক্ষা দিত না।  


এ দু’জনের কাছ থেকে তারা এমন বিষয় শিক্ষা করত যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারত শুধু, আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কারও কোন ক্ষতি করতে পারত না। তাই তারা যা শিক্ষা করত তা তাদের ক্ষতিসাধনই করত, কোন উপকারে আসত না। আর তারা ভাল করেই জানত যে, যে-কেউ তা কিনবে পরকালে তার কোন অংশ নেই। আর যদি তারা জানত তারা যার বিনিময়ে নিজেদের বিক্রি করছিল তা কত নিকৃষ্ট! -(২:১০১-১০২)  


আর এভাবে নবী মুহম্মদ শলোমনকে নবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলে, মদিনার ইহুদিরা তা বিশ্বাস করল না, তারা বলল, “অবাক কান্ড! মুহম্মদ দাবী করছেন দাউদ পুত্র শলোমন ছিলেন একজন নবী, খোদা স্বাক্ষী, তিনি কেবল
ই ছিলেন একজন গণক।” 

দ্যা গ্রান্ড গ্রিমোইর
১৭৫০ সনে শলোমনের সমাধিতে পাওয়া।
দ্যা গ্রান্ড গ্রিমোইর বা শয়তানের গসপেল পুস্তিকাটি এন্টিনিও ভেনিটিয়ানা ডেল রাবিনা’র লেখা ব্লাক ম্যাজিকের একটি কিতাব। সম্ভবত: ভেনিটিয়ানা তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন কিং শলোমনের সংগৃহীত অরিজিন্যাল কিতাব থেকে -[স্পেন্স, লুইস, “দ্যা গ্রান্ড গ্রিমোইর”। এন এনসাইক্লোপিডিয়া অব অকাল্টিজম, কসমিও বুকস, পৃষ্টা ১৮৮

এই কিতাবটি রেড ড্রাগণ নামেও পরিচিত। এতে রয়েছে শয়তানের সাথে চুক্তি সম্পাদনের জন্যে তাকে সমন জারির নির্দেশনাবলী। মূল কপিটি সম্ভবত: হাইতিতে কোন ভুডো চর্চাকারীর কাছে আছে। দাবী করা হয় এটি সেইসব পুস্তকের একটি যা শলোমনের সিংহাসনের নীচে প্রোথিত ছিল এবং তার মৃত্যুর পর তা উত্তোলন করা হয়। অত:পর তার শবদেহের সাথে তার এক কপি সমাধিস্থ করা হয়, যা ১৭৫০ সনে তার সমাধির মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

The work is divided into two books.The first book contains instructions for summoning a Jinn and for the construction of tools with which to force the Jinn to do ones bidding. The second book is further divided into two parts: the Sanctum Regnum and "Secrets, of the magic art of the Grand Grimoire". 


The Sactum Regnum contain instructions for making a pact with the devil, allowing one to command the Jinn without the tools required in book one, but at greater risk. Secrets contains simpler spells and rituals one can employ after having performed the ritual in the first book. Some editions contain a short text between these two parts, The Magic Secret, or the Grand Art of being able to speaking with the dead, dealing with necromancy.


আধুনিক যাদুর স্বরূপ:

হোয়াইট ম্যাজিক ও ব্লাক ম্যাজিকের উৎপত্তিও আত্মার (জ্বিণের) আদিম উপাসনার আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। আর এমনই রূপরেখা দিয়েছেন রবার্ট এম প্লেসেস তার “জাদু ও রসায়ন”, ২০০৯, কিতাবে। প্লেসের মতে, ব্লাক ম্যাজিকের সমান্তরালে রয়েছে অশরীরি আত্মার ঘনিষ্টতা লাভে আদিম শামানিস্টিক প্রচেষ্টা। আধুনিক ব্লাক ম্যাজিকে যে সমস্ত আচার অনুষ্ঠান গড়ে উঠেছে, তা ডিজাইন করা হয়েছে ঐ একই আত্মাদেরকে আহবান করে চর্চাকারীর জন্য উপকারী ফলাফল সৃষ্টি করতে। প্লেস ব্লাক ও হোয়াইট ম্যাজিকের একটি বিস্তৃত আধুনিক সংজ্ঞাও দিয়েছেন। তিনি তাদেরকে "হাই ম্যাজিক" (হোয়াইট) ও "লো ম্যাজিক" (ব্লাক) রূপে উল্লেখ না করে বরং চর্চাকারীর প্রয়োগের ইচ্ছের উপর ভিত্তি করে তাদেরকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে, এ্ই বিস্তৃত সংজ্ঞা ("high" ও "low") suffers from prejudices as good-intentioned folk magic may be considered "low magic" while ceremonial magic involving expensive or exclusive components may be considered by some as "high magic", regardless of intent.

রেনেসাঁর সময়ে, বেশকিছু জাদুর চর্চা ও আচার-অনুষ্ঠানগুলোকে শয়তানি বা ধর্মবহির্ভূত এবং আরো বিস্তৃত অর্থে “ব্লাক ম্যাজিক” বিবেচনা করা হত। ডাইনীবিদ্যা এবং অ-মূলধারার গুপ্তবিদ্যার চর্চা, অনুশীলন ও গবেষণা নিষিদ্ধ ছিল এবং সেগুলোকে তদন্তের লক্ষ্যবস্ত করা হয়েছিল। ফলস্বরূপ, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের জন্য বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক ম্যাজিকের বিকাশ ঘটে। যেমন, মার্সিলিও ফাইকিনো, আরোৎ জোহানেস ট্রিথেমিয়াস, ও হেনরিখ কর্ণেলিয়াস আগরিপ্পা উচ্চতর গুপ্তবিদ্যা ও আচার-অনুষ্ঠানের গবেষণা করলেও উল্লেখযোগ্য কোনরূপ শাস্তির সম্মুখীন হননি।


যখন "ন্যাচারাল জাদু" ষষ্ঠ ও সপ্তদশ শতকের শিক্ষিত ও উচ্চ শ্রেণীর মাঝে সুপরিচিত হয়ে উঠল, তখনও প্রাচীন ও আচার-অনুষ্ঠান ভিত্তিক জাদুকে শাস্তিযোগ্য বিবেচনা করা হত। বিংশ শতকের লেখক মন্টাগু সামারস "সাদা" ও "কাল" জাদুর সংজ্ঞা পরস্পর বিরোধী বলে দৃশ্যত: প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তিনি ইচ্ছে নির্বিশেষে সাধারণত: ম্যাজিকের বিস্তৃতি কোন পর্য়ন্ত হলে তা ডার্ক বা ব্লাক হিসেবে বিবেচিত হবে তার উপর আলোকপাত করেছেন এবং সেই বিষয়ে উইলিয়াম পারকিন্সের পোসথুমোস- ১৬০৮ নির্দেশিকার উল্লেখ করেছেন্:


"ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত" সকল ডাইনীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর হবে। তিনি এর কোন ব্যতিক্রম রাখেননি এবং এই দন্ডাদেশের আওতায় পড়েছে- "সকল গণনাকারী, ঐন্দ্রজালিক, বাজিকর, জাদুকর, সাধারণভাবে যাদেরকে জ্ঞানী ব্যক্তি বা জ্ঞানী নারী বলা হয়"। অন্যদিকে, যারা চর্চা করে "good Witches যা ক্ষতিকর নয় বরং মঙ্গলকর, যা নষ্ট ও ধ্বংস করে না, বরং রক্ষা ও সহায়তা করে” -তারাও কঠোর শাস্তির অধীন হবে।.


বিশেষত:, যদিও, নিগ্রোম্যান্সার শব্দটি সাধারণভাবে তাদের জন্য নির্ধারিত যারা শয়তান এবং অন্যান্য দুরাত্মাকে আহবান করার অপরাধে দোষী, যারা তাদের প্রতিবেশীকে জাদুটোনা করে বা অভিশাপ দেয়, যারা বাণ মেরে গবাদি ও ফসল ধ্বংস করে এবং যারা তাদের মাটির দেহ ছেড়ে গিয়ে আত্মারূপে দূর-দূরান্ত ভ্রমণ করতে সক্ষম। সামারসও নিগ্রোম্যান্সার শব্দটির বুৎপত্তিগত উন্নয়ণের উপর আলোকপাত করেছেন যা দ্বাদশ থেকে প্রায় পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত সাধারণভাবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। আরও বৃহত্তর পরিসরে- এ শব্দটি ব্যবহার হত এমন কাউকে বোঝাতে “যে ব্লাক আর্টে পারদর্শী”।


আধুনিক প্রেক্ষাপটে, "হোয়াইট ম্যাজিক" ও "ব্লাক ম্যাজিক" এর মধ্যবর্তী সীমানা দাগ কিছুটা পরিস্কার এবং সর্বাধুনিক সংজ্ঞাও তাই অনুশীলন চর্চার চেয়ে অভিপ্রায়ের উপর কেন্দ্রীভূত। আধুনিক মায়া ও ডাইনীবিদ্যার অনুশীলনকারীদের অনেকে ব্লাক ম্যাজিক চর্চার যে সীমা আছে তা অতিক্রমের অভিপ্রায় থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে চাইছে। যারা অপরের ক্ষতি বা অমঙ্গল চায়, তারা মূলধারার উইকান গোষ্ঠীর কাছে তেমন একটা গ্রহনীয় নয়, কারণ এ্টা এমন একটা যুগ যখন  উপকারী জাদু ক্রমশ: সম্পৃক্ত হচ্ছে আধুনিক জ্ঞানবাদে ও আত্মনির্ভর আধ্যাত্মবাদে।


জনপ্রিয় সংস্কৃতির প্রভাব স্যাটানিজমের ধারণাসহ অন্যান্য চর্চাকে ব্লাক ম্যাজিকের বিস্তৃত ব্যানারের নীচে টেনে আনার অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে শয়তান বা আত্মার আহবান ব্লাক ম্যাজিকের একটা গ্রহণযোগ্য অংশ হওয়ায়, এই চর্চা এ ধরণের আত্মা সম্বলিত প্রাণীর উপাসনা বা দেবত্বারোপ থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র।


ধরে নেয়া হয়, হোয়াইট ম্যাজিক কেবল ভাল বা নিঃস্বার্থ উদ্দেশ্যে এবং ব্লাক ম্যাজিক নিজের স্বার্থে বা “শয়তানি”র জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে স্যাটানিজম এধরণের কোন বিভাজন রেখা টানেনি। জাদু জাদুই, তা সে সৎ বা অসৎ যে উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হোক না কেন। একজন স্যাটানিস্টকে- জাদুকর হিসেবে কোনটা ভাল তা বাঁছাই করতে পারার সাথে সাথে তার লক্ষ্য অর্জনে জাদুর শক্তি প্রয়োগ করার ক্ষমতাও থাকতে হবে। বস্তুত: স্যাটানিজম কোন সাদা আলোর ধর্ম নয়; এ ধর্ম জীবনের, পার্থিব, জাগতিক- যার সবকিছুই “বাম হাত পথ”এর মূর্তপ্রতীক শয়তান শাসিত।


কালো জাদু ও ধর্মের মধ্যে যোগসূত্র ও মিথস্ক্রিয়া অনেক এবং বৈচিত্র্যময়। স্যাটানিজম সংগঠনে বা খ্রিস্টানদের দ্বারা তার ঐতিহাসিক নিপীড়ন ও সেসবের তদন্তে কাল জাদুর যোগসূত্র ছাড়াও যোগসূত্র পাওয়া গেছে ধর্মের এবং জাদুর আচার-অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে। উদাহরণস্বরূপ, ব্লাক মাস হচ্ছে ক্যাথলিক মাস-এর এক কলুষিতাকারী প্যারোডি। এভাবে, ‘সেইনিং’, যদিও তা প্রাথমিকভাবে সাদা জাদুর একটি চর্চা, তথাপি এটি একটি শিশুর খৃস্টানীকরণ বা বাপ্তাইজমের অনুরূপ একটি উইকান অনুষ্ঠান। কথিত আছে, সপ্তদশ শতকের যাজক ইটেনি গুইবোর্গ, মাদাম ডি মন্টেস্পানের জন্য ব্লাক মাস আচার অনুষ্ঠানের জন্য ক্যাথরিন মনভোসিনের সঙ্গে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।


চর্চা ও আচার-অনুষ্ঠান:

“The lowest depths of black mysticism are well-nigh
as difficult to plumb as it is arduous to scale
the heights of sanctity. The Grand Masters of
the witch covens are men of genius - a foul genius,
crooked, distorted, disturbed, and diseased.”-------------------

এ.ই ওয়েট তার ব্লাক ম্যাজিক ও সেরিমোনিয়াল ম্যাজিকের কিতাবটিতে ব্লাক ম্যাজিকের বিভিন্ন চর্চা, আচার-অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যের একটি বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। পরবর্তীতে অন্যান্যরা চর্চার মাধ্যমে এসব আইডিয়াগুলোকে আরও সম্প্রসারিত করেছেন এবং তাদের নিজস্ব আচার-অনুষ্ঠান ও ধারণার বিস্তারিত তালিকা দিয়েছেন। সাধরণভাবে সকল ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা ও তার সকল আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে:


ক). সঠিক নামের বানান: ব্যক্তির প্রকৃত নাম জানলে তার উপর নিয়ন্ত্রণ আনা যায়। আবার এ সূত্র ঐ একই কারণে সঠিকও নয়, কারণ তা অন্য বক্তির সঙ্গে সংযোগে বা অন্যের নিয়ন্ত্রণ থেকে তাকে মুক্ত করার কাজেও ব্যবহার করা যায়। সুতরাং এটা গ্রে এরিয়ার মধ্যে রয়েছে।


খ). অমরত্বের আচার-অনুষ্ঠান: জীবন সসীম, এবং কারো স্বাভাবিক লাইফ স্প্যানের চেয়ে বেশী বেঁচে থাকার ইচ্ছে প্রকৃতির প্রবাহের সঙ্গে হবে না। এ ছাড়াও, অমরত্বের সঙ্গে আরও একটি বড় সমস্যা জড়িত। আর তা হচ্ছে- ফলাফলগুলো পরীক্ষা করার প্রয়োজনে সাবজেক্টকে হত্যা করা আবশ্যক হয়। তাছাড়া, আয়ূ বাড়ানোর একটি মন্ত্রও মঙ্গলকর নয়, কেননা প্রতিটি মন্ত্র কার্যকর হয় কেবলমাত্র অন্যের দেহ থেকে জীবনীশক্তি শোষণ করে নিয়ে। [সত্যি বলতে কি, জাদুর সাহায্যে সবকিছু করা গেলেও অমরত্ব লাভ সম্ভব না। কেননা, মানুষের আয়ূস্কাল সুনির্দিষ্ট এমনকি জ্বিণেরও, যেহেতু তা লেখা রয়েছে কিতাবে। তদুপরি যদি এটা বৃদ্ধি করা যেত, তবে দুনিয়াতে সবচেয়ে ক্ষমতাধর শয়তানকে তার আয়ূ বৃদ্ধির জন্য খোদার কাছে কখনও করূণা ভিক্ষা করা লাগত না।]


গ). নেক্রোম্যন্সি: এটা কেবল নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং একে সাধারণ ব্লাক ম্যাজিক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। কিন্তু এটা অন্য যে কোন জাদুর মত যা কেবল মৃত্যুর সাথে কাজ করে। মূলত:নেক্রোম্যন্সিতে পুনরুত্থানের বিপরীতে মৃতের আত্মাকে উত্থিত করা বা মৃতের আত্মাকে সমনজারী করা হয় -for the purpose of divination, imparting the means to foretell future events or discover hidden knowledge, or to use the deceased as a weapon. Rituals could be quite elaborate, involving magic circles, wands, talismans, and incantations.


কখনও কখনও নেক্রোম্যন্সিতে আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে শুরুতে কোন মানব বা পশুকে উৎসর্গ করা হয়, অত:পর উৎসর্গিত পশুর অন্ত্রের গঠন ও ন্যস্ততা পর্যবেক্ষণ করে (যেমন:আদিকালে পিথিয়ার ওরাকুলার বাণী পেতে বলির পশুকে স্নান করিয়ে তাকে পর্য়বেক্ষণে রাখা হত নিশ্চিত হতে যে, it shivered from the hooves upward, যা ওরাকুলার পাঠে অগ্রসর হবার ক্ষেত্রে একটা শুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হত। অত:পর পশুটি উৎসর্গ করে তার অঙ্গ, বিশেষত: যকৃত (liver) পরীক্ষা করা হত লক্ষণ শুভ তা সুনিশ্চিত হতে), ওরাকল ভাববাণী দেয় বা ডাইনীরা witchcrafting এর মাধ্যমে মৃত আত্মাকে হাজির করে। বাইবেলে আমরা দেখেছি তালুত এভাবে ঐণ-দোরের এক ডাইনীর স্মরণাপন্ন হন। ঐ ডাইনী তালুতের কথামত মৃত শমূয়েলের আত্মাকে তুলে আনলে তালুত তার সঙ্গে কথা বলে্ন। যেমন-


শমুয়েল বললেন, ‘কেন তুমি আমাকে তুলে এনে বিরক্ত করলে?’

তালুত বললেন, ‘আমি খুব বিপদে পড়েছি। একদিকে প্যালেস্টীয়রা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, অন্যদিকে খোদা আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি আর আমার ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। সেজন্যে এখন আমার কি করা উচিৎ তা জানার জন্যে আপনাকে ডেকে এনেছি।’
শমুয়েল বললেন, ‘খোদা প্যালেস্টীয়দের হাতে তোমাকে ও তোমার সঙ্গে ইস্রায়েলীদেরকে তুলে দেবেন। ফলে তুমি ও তোমার ছেলেরা আমার সঙ্গে থাকবে।’ 

মূসার শরীয়তে কাল জাদু, ডাকিনী, মায়া ও গণকবিদ্যা নিষিদ্ধ ও এর চর্চাকারীকে হত্যার আদেশ ছিল। বলা হয়েছিল-  A man also or woman that hath a familiar spirit, or that is a wizard, shall surely be put to death: they shall stone them with stones: their blood shall be upon them.-Leviticus, 20:27


আর বর্তমান বাইবেল আমাদেরকে জানাচ্ছে, তালুত নবী হয়েও থোদার আদেশ উপেক্ষা করে ডাইনীর স্মরণাপন্ন হয়েছেন। আর তাতে তিনি মৃত্যুদন্ডাদেশ পাননি, যেহেতু তিনি দেশের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, কিন্তু খোদা নিজেই তাকে এ দন্ডে দন্ডিত করেন যেমনটা শমূয়েল বলেছিলেন during conjuration.


যা হোক, যা বলছিলাম, নেক্রোম্যন্সি সম্পর্কে সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয় এর চর্চাকারীরা বিশ্বাস করে তারা তাদের নেক্রোম্যন্সির সাহায্যে তিনটি কাজ করতে পারে: will manipulation, illusions, and knowledge:


-Will manipulation affects the mind and will of another person, animal, or spirit Jinns are summoned to cause various afflictions on others, "to drive them mad, to inflame them to love or hatred, to gain their favor, or to constrain them to do or not do some deed."-[Kieckhefer 2011, pp. 159–162.]

-Illusions involve reanimation of the dead or conjuring food, entertainment, or a mode of transportation.
-Knowledge is allegedly discovered when Jinns provide information about various things. This might involve identifying criminals, finding items, or revealing future events.

The act of performing necromancy usually involved magic circles, conjurations, and sacrifices such as those shown in the Munich Manual of Demonic Magic:


-Circles were usually traced on the ground, though cloth and parchment were sometimes used. Various objects, shapes, symbols, and letters may be drawn or placed within that represent a occult ideas. Circles were believed to empower and protect what was contained within, including protecting the necromancer from the conjured Jinns.


-Conjuration is the method of communicating with the Jinns to have them obeying orders. It usually employs the power of special words and stances to call out the Jinns and often incorporated the use of verses from Holy Books. These conjurations may be repeated in succession or repeated to different directions until the summoning is complete.


-Sacrifice was the payment for summoning; though it may involve the flesh of a human being or animal, it could sometimes be as simple as offering a certain object. Instructions for obtaining these items were usually specific. The time, location, and method of gathering items for sacrifice could also play an important role in the ritual. -[Kieckhefer 2011, pp. 159–162.]


ঘ). বান ও অভিশাপ: অভিশাপ যদিও একটি জটিল আচার-অনুষ্ঠান, তথাপি তা কেবল কারো অমঙ্গল কামনা করার মত অতি সাধারণও বটে।


ব্লাক ম্যাজিকের মূল আচার -অনুষ্ঠানগুলো:

ব্লাক ম্যাজিকের আচার-অনুষ্ঠানগুলো নির্ভর করে ফলাফল কি চাওয়া হবে তার উপর। সব ধরণের ব্লাক ম্যাজিকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে, আছে সম্পদ লাভের জন্য মন্ত্র পাঠের আচার-অনুষ্ঠান, আছে মৃতকে কবর থেকে উত্থানের আচার-অনুষ্ঠান, আছে ভূত-ভবিষ্যৎ জানতে জ্বিণকে সমনজারী করে ডেকে আনার আচার-অনুষ্ঠান, আছে অমরত্ব লাভের আচার-অনুষ্ঠান, আছে বান ও অভিশাপের জন্য আচার-অনুষ্ঠান। আর আচার-অনুষ্ঠান গুলোর অধিকাংশ সম্পন্ন হয় নীচের ধাপগুলোর সমন্বয়ে-

ক). স্হান নির্বাচন: অভিশাপ ও মন্ত্র পাঠের জন্যে একটা সুবিধাজনক স্থান (জঙ্গল বা নির্জন কোন এলাকা) নির্বাচন করা।

খ). দিন ও ক্ষণ নির্বাচন: একটা সুবিধাজনক দিন (যেমন- শনি বা মঙ্গলবার, অমাবশ্যার রাত বা প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থা বা পঞ্চমী) ও  ক্ষণ (রাতের মধ্যভাগ বা ভরদুপুর অর্থাৎ দ্বিপ্রহর) নির্ধারণ করা। 
গ). পেন্টাগ্রাম আঁকা: নির্দিষ্ট দিন ও ক্ষণে নির্বাচিত স্থানের কোন সুবিধাজনক জায়গায় মাটিতে একটা বৃত্ত অংকন করে তার মাঝে একটা পেন্টাগ্রামে এঁকে ফেলা। এটাই সার্কেল অফ পাওয়ার।

ঘ). আনুসাঙ্গিক উপাদান: মোমবাতি, ধূপ-ধূনো, স্ফটিক, কবজ এবং আরো অনেক জিনিষ যা জ্বিণ বা আত্মাকে হাজির করার কাজে সহায়তা করে। এছাড়া শয়তানের সাথে সম্পর্কিত প্রাণী যেমন-কাল কুকুর বিশেষত: চোখের উপর যাদের দুটো সাদা ফোঁটা রয়েছে; ছাগল, ভেড়া, উট, হুতুম পেঁচা, কাল কাক, গজাল মাছ, ঘোড়া, এমনকি গাধা-খচ্চরও [বলআম বিন বাওরার গাধা ফেরেস্তা জিব্রা্ইলকে দেখে পথের মাঝে বসে পড়েছিল। -বা্ইবেল, গণনা পুস্তক, ২২:২১-৩০] ব্লাক ম্যাজিকের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কারণ, এসকল প্রাণী অশরীরি আত্মা বা জ্বিণের উপস্থিতি যেমন সনাক্ত করতে পারে, তেমনি এদের উপরও জ্বিণ সহজে ভরও করতে পারে। তবে আত্মার সঙ্গে যোগাযোগে শবদেহ, অমরত্ম লাভে জীবন্ত মানুষ, জাদুটোনা করতে ঐ ব্যক্তির চুল বা নখ এবং আনুসঙ্গিক আরো কিছু জিনিসপত্র লাগে। তবে সকল ক্ষেত্রে সব উপাদান সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হওয়া আবশ্যক। আর বাণ ও অভিশাপ দেবার কাজে অনেক সময় পাপেট তৈরী করে নেয়া হয়। পাপেট তৈরী ও তার ব্যবহার পদ্ধতিও এখানে বর্ণনা করা হবে।


আবার, জাদু সৃষ্টির বেশকিছু চর্চায়, বিশেষত: কোন একটি পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি বা ধ্বংস করতে কুকুর বা কুকুরের সঙ্গে সম্পর্কিত কোন বস্তু ব্যবহার করা হয়। -(ইবনে বকতিসু, fol.৯৪a; তনোকাবনী, পৃ.২২২;) জাদু বা মায়াজালে কুকুরছানার মস্তিষ্ক ব্যবহার করার কথাও শোনা যায়। -(হেদায়েত, পৃ.১১৬; ম্যাসি, ক্রোয়েন্সেস, পৃ.৩১৪) উল্লেখ্য, মায়াজাল হচ্ছে- বস্তুর নিজস্ব ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে সৃষ্ট কোন বস্তু বা বস্তুসমূহের দ্বারা সৃষ্ট কোন জগৎ, যা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও দৃশ্যমান কিন্তু তার অস্তিত্বের নিয়ন্ত্রণ প্রকৃতির হাতে নেই, অর্থাৎ বাস্তব অস্তিত্বহীন সৃষ্ট কোন বস্তু বা জগৎ।


ঙ). মন্ত্র পাঠ: শক্তির বৃত্তে প্রবেশ করে দাঁড়িয়ে বা বসে সঠিক উচ্চারণে নির্দিষ্ট মন্ত্রটি (যা প্রত্যাশিত ফলাফলের সাথে সম্পর্কিত) তিনবার পুনরাবৃত্তি করা ও মোমবাতি সম্পূর্ণ পুড়ে নিভে যাওয়া পর্যন্ত যথাস্থানে অপেক্ষা করা।


ব্লাক ম্যাজিক কিভাবে করা হয়:
মূলত: অতিপ্রাকৃতিক শক্তির আত্মা বা জ্বিণের দ্বারা ব্লাক ম্যাজিক করা হয়। সুতরাং এ ধরণের জাদু করার আগে নিশ্চিত হওয়া দরকার অভিপ্রায় সম্পর্কে। ব্লাক ম্যাজিককে বিবেচনা করা হয় “ডার্ক আর্ট” হিসেবে। কারণ, চর্চাকারী এর মাধ্যমে অন্য কাউকে ইচ্ছেমাফিক নিয়ন্ত্রণ করে। বলা বাহুল্য, হোয়াইট ম্যাজিক অপরের মঙ্গলার্থে করলেও চর্চাকারী ব্লাক ম্যাজিক করে কেবলমাত্র নিজস্বার্থে।

ব্লাক ম্যাজিকের একটা অনুষ্ঠান
ক্লাসিক্যাল আচার-অনুষ্ঠান ছাড়াও ব্লাক ম্যাজিক সম্পন্ন করার আরো কিছু পদ্ধতি রয়েছে। বাণ ও অভিশাপের কবজ তাবিজে ভরে কোন নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে সুরক্ষিত রাখা হয় নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে দূর্ভাগ্যের আবর্তে ফেলতে বা তাকে ইচ্ছাধীন ক্রীড়ানড়কে পরিণত করতে। অথবা ঐ ব্যক্তির পাপেট তৈরী করে তার উপর বাণ বা অভিশাপের মন্ত্র আওড়ানো যাতে করে ঐ ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণের জন্যে তৈরীকৃত পাপেট রিমুটের মত কাজ করে।

তবে বাণ ও অভিশাপের মন্ত্র ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বণ এবং অন্যকে অমঙ্গলের আবর্তে ফেলার যৌক্তিকতাও বারবার ভেবে দেখা প্রয়োজন। মোটকথা অতিপ্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহারে প্রজ্ঞারও ব্যবহার থাকতে হবে। কেননা, অদৃশ্য জ্বিণ. দূর্দান্ত শক্তিশালী প্রাণী, তাকে ব্যবহারে যথোপযুক্ত প্রজ্ঞা না থাকলে হিতে বিপরীত হতে পারে, পাহারার বদলে বেড়ায় ক্ষেত খেয়ে ফেলতে পারে। সুতরাং বিষয়টিকে কোন অবস্থায় হালকাভাবে নেয়া উচিৎ হবে না।

T
he threefold law (Wiccan Rede) states that what you put forth comes back to you threefold. Do you feel so strongly about using black magic that you're willing to suffer should the magic come back to harm you? Be sure that the outcome you are hoping to obtain is completely worth it.


ব্লাক ম্যাজিক করার জন্যে এমন একটি জায়গা বেঁছে নেয়া উচিৎ যেখানে মন্ত্রটি ভালভাবে কাজ করার সবচেয়ে উপযুক্ত। মূলত: জনবহুল স্থানে আত্মা বা জ্বিণের আগমন এবং তাদের উপস্থিতি জাহির করা বেশ কঠিন। সুতরাং জঙ্গল বা কোন নির্জনস্থান বাঁছাই করা ভাল, যেখানে মনুষ্য চলাচল কম। তবে মৃতের সাথে যোগাযোগের পরিকল্পণা করা হলে কবরস্থানই হবে উপযুক্ত জায়গা।


প্রথমে মাটিতে একটা বৃত্ত তৈরী করে তার মাঝে একটা পেন্টাগ্রাম আঁকতে হবে। এই পেন্টাগ্রাম ব্লাক ম্যাজিকের একটা শক্তিশালী প্রতীক। প্রথাগতভাবে মাটিতে এটি হিজল গাছের ডাল কুঁদে তৈরী কোন স্টিকের দ্বারা আঁকা হয়, তবে হিজল দন্ড না পাওয়া গেলে অন্য কোন লাঠির সাহায্যেও এটি করা যাবে।


এরপর ধূপ-ধূনো জ্বালিয়ে ও বৃত্তের সীমানা বরাবর কিছুদূর পরপর মোমবাতি (সাইজ বুদ্ধিমত্তার সাথে বাঁছাই করতে হবে) জ্বালিয়ে শক্তির বৃত্তে প্রবেশ করতে হবে। অত:পর মনোসংযোগ করে নিজের মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করে নিতে হবে, কেননা, মন্ত্র পড়তে মানসিক শক্তি দরকার। এরপর কেবল দাঁড়িয়ে বা বসে সঠিক উচ্চারণে গুরুগম্ভীর স্বরে নির্দিষ্ট মন্ত্রটি পাঠ করা।


স্মতব্য, মন্ত্রের প্রত্যেকটি শব্দের আলাদা আলাদা শক্তি আছে এবং ভাল ফলাফল পেতে সবগুলোর সমন্বিত প্রয়োগ যথোপযুক্ত হওয়া দরকার। আর যদি কোন আত্মা বা জ্বিণকে ডাকা হয়, তবে মন্ত্র উচ্চারণের পূর্বে অবশ্য্ই তার প্রকৃত নাম জানা থাকতে হবে। এছাড়াও মন্ত্রপাঠের সময় আশেপাশে কোন লোক থাকা চর্চাকারীর জন্যে ভয়ানক বিপদ বয়ে আনতে পারে।


মূলত:এমন কোন সুনির্দিষ্ট মন্ত্র নেই যা কারো ভালবাসা পেতে বা অমরত্বলাভে পুরোপুরি কাজ করবে। এ কারণে নিজ প্রয়োজন অনুসারে মন্ত্রটি তৈরী করে নেয়াই উত্তম বা কোন ভাল গ্রিমোয়ের থেকে সেটা খুঁজে নেয়া যেতে পারে। গ্রিমোয়ের হচ্ছে ব্লাক ম্যাজিকের মন্ত্রের টেক্সট বুক, যেখানে মন্ত্রসমূহ এবং সেগুলোর প্রয়োগ বিধি স্ববিস্তারে বর্ণিত থাকে (Actually, Grimoires contain a mix of spells, conjurations, natural secrets and ancient wisdom. Some best Grimoires are- The Sixth and Seventh Books of Moses, The Clavicule of Solomon, Petit Albert, The Book of St Cyprian, Dragon rouge, The Book of Honorius, The Fourth Book of Occult Philosophy, The Magus, The Necronomicon, Book of Shadows, etc)। তবে গ্রিমোয়ের থেকে নেয়া মন্ত্রই যে কেবল ভালভাবে কাজ করবে এমন নয়, ফলাফল কি চাই এর উপর ভিত্তি করে ঠিকমত লিখতে পারলেই হবে।


সেই ডুমুর গাছের কথা চিন্তা করেন, গাছটিকে ঈসা কেবল বলেছিলেন- “তোর ফল যেন আর কেউ কোনদিন না খায়।” এই সাধারণ বাক্যটিই ঐ গাছের উপর কাজ করেছিল এবং সেটি পরদিন মরে গিয়েছিল। ঈসা কোন জাদু করেননি, কিন্তু তার কথা কার্যকর হয়েছিল, কারণ, পবিত্র মুখের সকল কথাই জাদুর মত। আর তাই যখন তিনি অসুস্থ্য কাউকে বলেছেন- “তুমি সুস্থ্য হলে” তখন সে সুস্থ্য হয়েছে: যখন কোন মৃতকে বলেছেন “ওঠ” তখনি সে উঠে বসেছে; যখন জ্বিণগ্রস্থ কাউকে বলেছেন-“বের হয়ে যাও” তখন জ্বিণ ঐ শরীর ছেড়ে চলে গেছে; যখন মাটির তৈরী কোন পাখীর গায়ে ফূঁক দিয়েছেন, তখন সেটি জীবিত হয়ে উড়ে গেছে, ইত্যাদি। এমনই ছিল ফেরাউনের সাথে লড়াইয়ে মিসরীয়দের উপর আনা মূসার আঘাত। কিন্তু অন্য কেউ ঈসা বা মূসার ঐসব স্পেলের কোনটিকে কার্যকর করতে চাইলে তাকে ব্লাক ম্যাজিকের আশ্রয় নিতেই হবে।


যা হোক, যা বলছিলাম, পাঠ করা মন্ত্রটি কাজ করলে ফলাফল যেমন চাওয়া হয়েছিল তেমনি তা প্রকাশ পেতে থাকবে। আর যদি সমন পাঠিয়ে কোন ভাল বা খারাপ জ্বিণকে ডেকে আনা হয়, তবে তার সাথে সমীহের সাথে কথা বলাই ভাল।কারণ, সকল সমনজারীকারীর সাথে তাদের আনুগত্যের বন্ধন বা দায়বদ্ধতা নাও থাকতে পারে। তবে এটা ঠিক জ্বিণ মানুষ হত্যা করতে পারে না। এ ধরণের কোন ক্ষমতাই খোদা তাদেরকে দেননি, তবে তারা ভীতির সঞ্চার করতে পারে। আর তাতে দূর্বল লোকেরা হার্ট এ্যাটাকে মারা গেলেও যেতে পারে। সুতরাং পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কোনভাবেই মনোবল হারানো যাবে না।


বাণ ও অভিশাপের জন্য অব্যবহৃত কাল কাপড় কেটে ও সেলাই (মাথা ব্যতিত) করে একটা পাপেট তৈরী করে নিতে হবে। কাটা ও সেলাইয়ের সময় ভাবতে হবে যেন টার্গেটেড ব্যক্তিরই ক্ষুদ্র সংস্করণ সেটা। পাপেটটি অবশ্যই প্রাকৃতিক বস্তু দিয়ে তৈরী হতে হবে। কৃত্রিম সূতার কাপড়ে তৈরী পাপেট ভালভাবে কাজ করতে পারে না।


অত:পর পাপেটটি মাটি, কিছু শক্তিশালী স্ফটিক এবং টার্গেটেড ব্যক্তির কিছু চুল ও নখ দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। এবার মাথা সেলা্ই করে পাপেটটি সম্পূর্ণ করতে হবে।


এবার আগের মত বৃত্ত তৈরী করে তার মধ্যে পেন্টাগ্রাম আঁকতে হবে এবং ভিতরে প্রবেশের আগে বৃত্তের চারিদিকে মোমবাতি জ্বেলে দিতে হবে। অত:পর সার্কেলের ভিতর দাঁড়িয়ে পাপেটের উপর অভিশাপের মন্ত্রটি বর্ষণ,পরপর তিনবার।


যাকে কল্পণা করে পাপেটটি তৈরী, তাকে কোন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত রাখতে পাপেটকে এমন বাইন্ডিং স্পেল দিয়ে আাঁটকে ফেলতে হবে- "I bind your feet from bringing you to harm me. I bind your hands from reaching out to harm me. I bind your mouth from spreading tales to harm me. I bind your mind from sending energy to harm me." আর এ বলতে হবে পাপেটকে কাল ফিতা দিয়ে মোড়ানোর সময়।


আর ভালবাসা পাবার জন্যে পাপেটের উপর এমন ভালবাসার মন্ত্র (Love. Lust & Attraction Spells) আওড়াতে হবে, পরপর তিনবার - "Light the flame -Bright the fire -Red is the color -Of desire." এরপর মোমবাতি সম্পূর্ণ পুড়ে নিভে যাওয়ার পর বুঝতে হবে পুরো কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে।


সবশেষে, Black magic in general is the least stable of the schools—and the easiest to reverse on the caster. এটা মনে রাখতে হবে। আর নিয়মগুলো তো আগেই বলেছি তবু আবারও স্মরণ করিয়ে দেই ধাপগুলোর কিছু নির্দেশিকা:


Moon phase: Half or quarter At Most  (any more and you risk harming your target or yourself)

Mental imagery: Anger, annoyance, frowning faces, distrustful faces, broken chain links, cold, red and black

Where to cast: Indoors. Casting outdoors increases the risk assigning the spell to the wrong person. Make sure the moon is in full view the whole time, and that you are absolutely alone. Casting the spell with an accidental listener could have serious consequences for everyone involved. Use a black candle with this spell, but only one. যেমন-


`I need revenge

On this black day
To make my troubles go away
A curse, a pox, a chanted hex
Any one should do to make you, (target),
understand he hurting caused by you'.

Serious problems of casting spells should be mediated by non-magical authorities, like the court system or the police. You also risk incurring the Rule of Three if you overdo the spell, or if you use it in a way inconsistent with the general use of black magic.


বি:দ্র: ব্লাক ম্যাজিক শেখার জন্যে এ আটিকেল লেখা হয়নি, এ কেবল কাল জাদুর স্বরূপ বোঝার জন্যে। কাল জাদু শিখতে নিজের আত্মাকে শয়তানের কাছে বিক্রি করতে হয়। যেমন- শয়তান হাজির করে তাকে দিয়ে কাজ করাতে তার কাছে এমন প্রার্থনা নিবেদন করা লাগে-

“I implore Thee, O Thou Grand and Powerful ADONAY, Master of all Spirits! I beseech Thee, O ELOIM! I implore Thee, O JEHOVAH! O Grand ADONAY, I give unto Thee my soul, my heart, my inward parts, my hands, my feet, my desires, my entire being! O Grand ADONAY, deign to be favourable unto me! So be it. Amen.”

অত:পর সমনজারি: LUCIFER ✠, OUYAR ✠, CHAMERON ✠, ALISEON ✠, MANDOUSIN ✠, PREMY ✠, ORIET ✠, NAYDRUS ✠, ESMONY ✠, EPARINESONT ✠, ESTIOT ✠, DUMOSSON ✠, DANOCHAR ✠, CASMIEL ✠, HAYRAS ✠, FABELLERONTHON ✠, SODIRNO ✠, PEATHAM ✠, Come ✠, LUCIFER ✠. AMEN.

-আর তাই বলা হয়েছে, যে তা করবে পরকালে তার কোন অংশ নেই। কোরআনে বলা হয়েছে- “তারা মানুষকে শিক্ষা দিত (সেই) জাদু যা বাবিল শহরের দুই ফেরেস্তা হারুত ও মারুতের উপর অবতীর্ণ হয়েছিল।....যে-কেউ তা কিনবে পরকালে তার কোন অংশ নেই। আর যদি তারা জানত তারা যার বিনিময়ে নিজেদের বিক্রি করছিল তা কত নিকৃষ্ট!” -(২:১০১-১০২)

আর দুনিয়াতে জাদুকারীর অবস্থান! হম: বলে রাখা ভাল, তাওরাতে এমন কঠোর নির্দেশ রয়েছে- “মায়াবিনী কিম্বা গণকবিদ্যা ব্যবহার কোরও না। মায়াবিনী মৃত্যুদন্ডের সাজা পাবে।”
“জ্যোতিষ বা গণকের কাছে ভাগ্য অন্বেষণে যাবে না। ”
“পুরুষ কিম্বা স্ত্রীলোকের মধ্যে যে কেউ ভূতাড়িয়া বা গুণী হয়, তার প্রাণদন্ড হবে। লোকে তাকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করবে এবং তার রক্ত তারই উপর বর্তিবে।” -আর এ নির্দেশ দু’শ বৎসর আগেও ইহুদি ও খৃষ্টানগণ সোৎসাহে পালন করে এসেছে।

সমাপ্ত।

But not yet fully corrected.

উৎস:
Wikipedia
Quran
Sahih al-Bukhari
Sahih al-Muslim
The Zohar
Grahamster, How to do Black Magic, published in WikiHow.

J.Gordon Melton, ed. (2001). "Black Magic". Encyclopedia of Occultism & Parapsychology.
.....etc.

Q & A

# "ভাই, বুঝলাম না, কিভাবে বিলকিসের সিংহাসনটা জ্বিণ হাজির করল?"
সিম্পল, ঐ জ্বিণ প্রথমে দৃশ্যমান বস্তুর ফ্রিকোয়েন্সি সীমার বাইরের কোন নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে সিংহাসনটাকে পরিবর্তিত করেছে। তারপর শলোমনের সামনে জাস্ট সেটিকে তার নিজস্ব ফ্রিকোয়েন্সিতে ফিরিয়ে দিয়েছে।

# ”ভাই আমার ভাগ্যটা বদলে ফেলতে চাচ্ছিলাম, কিছু করা যায় কি?”
হা হা হা...... যাবে না কেন? নিয়মমত শক্তির সার্কেল তথা পেন্টাগ্রামের মাঝে দাঁড়িয়ে নীচের নমুনার মত মন্ত্র পাঠ করেন- হয়ে যাবে।

”The world is gray, the sky is black
I need some of my poor luck back
Although I’ve worked so very hard
On bent and hobbled knees
If fate could make sure my next card
Has fortune, I’d be pleased
And though I don’t ask out of greed
Believe me when I say
Any luck you give to me
Will be used in the best way.”

# পাঠক, আপনাদের কোন প্রশ্ন??


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Moses: কোরাণিক ক্যানভাসে নবী মূসা।

Abu Hena Mostafa Kamal  01 May, 2017 মি সরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ফেরাউন। হঠাৎ করে তিনি মৃত্যুবরণ করলেন। কিন্তু তিনি কোন উত্তরাধিকারী ন...